০৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড এনসিপি বুলেট নিয়েও প্রস্তুত- নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি ৫টি ব্যাংক একীভূতকরণে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সেন্টারের নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান সরওয়ার ঢাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ

কপ৩০কে ‘ভুল ও ক্ষতিকর’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়

সম্মেলনের বিপরীত সুর
ব্রাজিলের বেলেং-এ যখন জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০ সহযোগিতা ও অর্থায়নের আহ্বান দিয়ে শুরু হচ্ছে, ঠিক তখনই এথেন্সে দেওয়া এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইট এই সম্মেলনকে “ক্ষতিকর ও ভ্রান্ত” বলে কটাক্ষ করেছেন—অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে এমনই। রাইটের যুক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানি দ্রুত ছাড়তে বলা হলে তা সাধারণ মানুষের জ্বালানি বিল বাড়াবে, শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং অনেক দেশকে আবার কয়লা বা জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে। এ বক্তব্য সরাসরি সাংঘর্ষিক কপ৩০-এর সেই বার্তার সঙ্গে, যেখানে ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও ঘন ঘন দুর্যোগের কথা তুলে ধরে ক্ষতিপূরণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে না থাকার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই আলোচ্য ছিল, কিন্তু মন্ত্রীর এমন প্রকাশ্য মন্তব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মনে আরও প্রশ্ন তুলেছে।
অর্থায়ন ও তেল-গ্যাস ত্যাগের ভবিষ্যৎ
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো বলছে, বড় দূষণকারী দেশগুলো একে একে যদি এমন অবস্থান নেয়, তাহলে জলবায়ু তহবিলে অর্থ জোগাড় করা বা জীবাশ্ম জ্বালানির ধাপে ধাপে অবসান নিয়ে একটি শক্ত ভাষার ঘোষণা আনাই দুরূহ হবে। ব্রাজিল আমাজন রক্ষার সফলতা দেখিয়ে উন্নয়ন-সহায়ক অর্থ চেয়েছিল, কিন্তু এখন এই উদ্যোগের বিরোধিতায় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো আরও শক্তি পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও জলবায়ু সহায়তার বাজেট নিয়ে যেহেতু কংগ্রেসে সংশয় আছে, রাইটের বক্তব্য সেটিকে বাড়তি যুক্তি দেবে—ফলে সমুদ্রের পানি ঢুকে যাওয়া অঞ্চল, খরা বা অতিরিক্ত তাপে ভোগা কৃষকেরা প্রয়োজনীয় অভিযোজন পুঁজির জন্য আরও অপেক্ষায় থাকবেন। অন্যদিকে ইউরোপ বা জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এখন বাড়তি প্রতিশ্রুতি দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে, নইলে কপ৩০-কে সাধারণ মানুষ আবারও “কথার সম্মেলন” বলেই মনে করবে। সব মিলিয়ে বার্তাটি পরিষ্কার: যুক্তরাষ্ট্র যখন দূরে থাকে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেও জলবায়ু আলোচনার বাস্তব ফল কমে যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

কপ৩০কে ‘ভুল ও ক্ষতিকর’ বলল যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়

০৭:০০:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

সম্মেলনের বিপরীত সুর
ব্রাজিলের বেলেং-এ যখন জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০ সহযোগিতা ও অর্থায়নের আহ্বান দিয়ে শুরু হচ্ছে, ঠিক তখনই এথেন্সে দেওয়া এক বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইট এই সম্মেলনকে “ক্ষতিকর ও ভ্রান্ত” বলে কটাক্ষ করেছেন—অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে এমনই। রাইটের যুক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানি দ্রুত ছাড়তে বলা হলে তা সাধারণ মানুষের জ্বালানি বিল বাড়াবে, শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং অনেক দেশকে আবার কয়লা বা জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে। এ বক্তব্য সরাসরি সাংঘর্ষিক কপ৩০-এর সেই বার্তার সঙ্গে, যেখানে ছোট দ্বীপরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও ঘন ঘন দুর্যোগের কথা তুলে ধরে ক্ষতিপূরণ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর দাবি তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে সক্রিয়ভাবে না থাকার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই আলোচ্য ছিল, কিন্তু মন্ত্রীর এমন প্রকাশ্য মন্তব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মনে আরও প্রশ্ন তুলেছে।
অর্থায়ন ও তেল-গ্যাস ত্যাগের ভবিষ্যৎ
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো বলছে, বড় দূষণকারী দেশগুলো একে একে যদি এমন অবস্থান নেয়, তাহলে জলবায়ু তহবিলে অর্থ জোগাড় করা বা জীবাশ্ম জ্বালানির ধাপে ধাপে অবসান নিয়ে একটি শক্ত ভাষার ঘোষণা আনাই দুরূহ হবে। ব্রাজিল আমাজন রক্ষার সফলতা দেখিয়ে উন্নয়ন-সহায়ক অর্থ চেয়েছিল, কিন্তু এখন এই উদ্যোগের বিরোধিতায় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো আরও শক্তি পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরেও জলবায়ু সহায়তার বাজেট নিয়ে যেহেতু কংগ্রেসে সংশয় আছে, রাইটের বক্তব্য সেটিকে বাড়তি যুক্তি দেবে—ফলে সমুদ্রের পানি ঢুকে যাওয়া অঞ্চল, খরা বা অতিরিক্ত তাপে ভোগা কৃষকেরা প্রয়োজনীয় অভিযোজন পুঁজির জন্য আরও অপেক্ষায় থাকবেন। অন্যদিকে ইউরোপ বা জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোকে এখন বাড়তি প্রতিশ্রুতি দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে, নইলে কপ৩০-কে সাধারণ মানুষ আবারও “কথার সম্মেলন” বলেই মনে করবে। সব মিলিয়ে বার্তাটি পরিষ্কার: যুক্তরাষ্ট্র যখন দূরে থাকে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেও জলবায়ু আলোচনার বাস্তব ফল কমে যায়।