০৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
দিল্লি–ইসলামাবাদে পরপর বিস্ফোরণ, সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা ঢাকায় ঘোষিত ‘লকডাউন’-এর আগে উত্তেজনা, সহিংসতার আশঙ্কায় উদ্বেগ গাজীপুর-৬ আসন বাতিলের প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াতের মহাসড়ক অবরোধ ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ঢাকায় ও আশপাশের জেলায় দোকানপাট, বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও শপিং মল বৃহস্পতিবার খোলা থাকবে ময়মনসিংহে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা এআই ডেটা সেন্টারের চাপ: যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিড-স্কেল ব্যাটারির ‘বুম সাইকেল’ মীর স্নিগ্ধর পোস্ট ঘিরে শাওনের মন্তব্য, রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে আলোচনা ফিলাডেলফিয়ায় ১ লাখ বর্গফুট ‘নেটফ্লিক্স হাউস’ চালু বেলেমের কপ৩০: কেন্দ্রবিন্দুতে আদিবাসী জনগোষ্ঠী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ স্থাপনায় তালা: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগাম প্রস্তুতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট ও বিজ্ঞান ভবনে তালা লাগানো হয়।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গসংগঠন ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচি সফল করতে ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিক সহিংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।


সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ফেসবুকে লেখেন,

“১৩ তারিখ সারাদিন, লকডাউন সফল করুন। লকডাউন বিএসএল—চারুকলা, আইইআর, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল, বিজ্ঞান ভবন।”

একই আহ্বান জানান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ, যিনি বলেন যে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তির অবস্থান নিতে হবে।”


 বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন,

“সকালে আমরা সব তালা খুলে ফেলেছি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সিকিউরিটি অফিসারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অফিস তদন্ত করছে। তবে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


ঘটনাটি ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
এ ছাড়া ফেসবুকে প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডের প্রচার ক্যাম্পাসে ভবিষ্যৎ সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করেছে বলে শিক্ষার্থীদের একাংশ মনে করছেন।


#ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রলীগ #লকডাউন #রাজনীতি #ক্যাম্পাস_সহিংসতা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট


জনপ্রিয় সংবাদ

দিল্লি–ইসলামাবাদে পরপর বিস্ফোরণ, সীমান্তজুড়ে বাড়ছে শঙ্কা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ স্থাপনায় তালা: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগাম প্রস্তুতি

০১:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৩ নভেম্বর ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে চারুকলা অনুষদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট ও বিজ্ঞান ভবনে তালা লাগানো হয়।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গসংগঠন ১৩ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় ‘লকডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। এ কর্মসূচি সফল করতে ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধারাবাহিক সহিংস কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।


সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ) সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ফেসবুকে লেখেন,

“১৩ তারিখ সারাদিন, লকডাউন সফল করুন। লকডাউন বিএসএল—চারুকলা, আইইআর, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল, বিজ্ঞান ভবন।”

একই আহ্বান জানান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এইচ এম আল আমিন আহমেদ, যিনি বলেন যে “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তির অবস্থান নিতে হবে।”


 বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন,

“সকালে আমরা সব তালা খুলে ফেলেছি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং সিকিউরিটি অফিসারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর অফিস তদন্ত করছে। তবে প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।


ঘটনাটি ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর পুনরায় সক্রিয় হয়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সক্ষমতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
এ ছাড়া ফেসবুকে প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডের প্রচার ক্যাম্পাসে ভবিষ্যৎ সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি করেছে বলে শিক্ষার্থীদের একাংশ মনে করছেন।


#ঢাকা_বিশ্ববিদ্যালয় #ছাত্রলীগ #লকডাউন #রাজনীতি #ক্যাম্পাস_সহিংসতা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট