০৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩  বিচারকের বাসায় হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামে মিলল খণ্ডিত মরদেহ: রাজধানীতে চাঞ্চল্য চার্টার ভাঙলে দায় নেবে না বিএনপি: প্রধান উপদেষ্টাকে খসরুর কড়া সতর্কবার্তা সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায় বাওতোকে কেন্দ্র করে চীনের রেয়ার আর্থ শিল্পে বড় রূপান্তর ভারতে জার্মান কায়দায় রিসিন সন্ত্রাস হামলার প্রস্তুতির অভিযোগ গুজরাটে রিচিন হামলা ষড়যন্ত্র: মুজাফ্‌ফরনগরের একই মাদ্রাসায় পড়তেন দুই অভিযুক্ত কাফরুল থানার সামনে ককটেল নিক্ষেপ: পালানোর সময় যুবক আটক তাইওয়ানি ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু: মালয়েশিয়ান র‍্যাপার নেমউই জামিনে মুক্ত, তদন্ত চলছে

ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন নেটওয়ার্কে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয় ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এরা ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন (UAV) উৎপাদনে সহায়তা করে, যার মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর পক্ষেও কাজ করা নেটওয়ার্ক রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার পটভূমি

এই পদক্ষেপটি ২৭ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল হওয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলোর অংশ, যা ইরানের পরমাণু প্রতিশ্রুতির ‘উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন’-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে কার্যকর হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক অস্ত্র উৎপাদন এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম মোকাবিলায় বিশেষভাবে লক্ষ্য করে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ১৭৩৭, ১৭৪৭, ১৮০৩ এবং ১৯২৯ অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরানের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল-সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

New Age | Sanctions against RAB will stay: US State Department

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

মার্কিন প্রশাসনের লক্ষ্য হলো ইরানের মিসাইল সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রচলিত অস্ত্র উন্নয়ন এবং IRGC-কে আর্থিক সহায়তা পাওয়া থেকে বিরত রাখা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা স্মারকলিপি (NSPM-2) অনুযায়ী, ইরানের এই আগ্রাসী কার্যক্রম রুখতে সব ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা তৃতীয় দেশের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকবে—যতক্ষণ তারা ইরানের মিসাইল বা ড্রোন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংগ্রহে সহায়তা করছে।

আইনি ভিত্তি

নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করা হয়েছে দুইটি নির্বাহী আদেশের (E.O.) আওতায়—

  • E.O. 13382: গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও তাদের সহায়তাকারীদের লক্ষ্য করে
  • E.O. 13224: সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে

মার্কিন অর্থ বিভাগের ঘোষণায় এ নিষেধাজ্ঞার অতিরিক্ত বিবরণ উল্লেখ রয়েছে।

 

#পররাষ্ট্র দপ্তর | ইরান নিষেধাজ্ঞা | মার্কো রুবিও | জাতিসংঘ | ব্যালিস্টিক মিসাইল | ড্রোন নেটওয়ার্ক

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩

ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন নেটওয়ার্কে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

০৫:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয় ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এরা ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন (UAV) উৎপাদনে সহায়তা করে, যার মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর পক্ষেও কাজ করা নেটওয়ার্ক রয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার পটভূমি

এই পদক্ষেপটি ২৭ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল হওয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলোর অংশ, যা ইরানের পরমাণু প্রতিশ্রুতির ‘উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন’-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে কার্যকর হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক অস্ত্র উৎপাদন এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম মোকাবিলায় বিশেষভাবে লক্ষ্য করে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ১৭৩৭, ১৭৪৭, ১৮০৩ এবং ১৯২৯ অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরানের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল-সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

New Age | Sanctions against RAB will stay: US State Department

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

মার্কিন প্রশাসনের লক্ষ্য হলো ইরানের মিসাইল সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রচলিত অস্ত্র উন্নয়ন এবং IRGC-কে আর্থিক সহায়তা পাওয়া থেকে বিরত রাখা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা স্মারকলিপি (NSPM-2) অনুযায়ী, ইরানের এই আগ্রাসী কার্যক্রম রুখতে সব ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা তৃতীয় দেশের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকবে—যতক্ষণ তারা ইরানের মিসাইল বা ড্রোন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংগ্রহে সহায়তা করছে।

আইনি ভিত্তি

নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করা হয়েছে দুইটি নির্বাহী আদেশের (E.O.) আওতায়—

  • E.O. 13382: গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও তাদের সহায়তাকারীদের লক্ষ্য করে
  • E.O. 13224: সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে

মার্কিন অর্থ বিভাগের ঘোষণায় এ নিষেধাজ্ঞার অতিরিক্ত বিবরণ উল্লেখ রয়েছে।

 

#পররাষ্ট্র দপ্তর | ইরান নিষেধাজ্ঞা | মার্কো রুবিও | জাতিসংঘ | ব্যালিস্টিক মিসাইল | ড্রোন নেটওয়ার্ক