নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সক্রিয় ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে। এরা ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন (UAV) উৎপাদনে সহায়তা করে, যার মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর পক্ষেও কাজ করা নেটওয়ার্ক রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার পটভূমি
এই পদক্ষেপটি ২৭ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল হওয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলোর অংশ, যা ইরানের পরমাণু প্রতিশ্রুতির ‘উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন’-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে কার্যকর হয়েছে। এসব নিষেধাজ্ঞা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক অস্ত্র উৎপাদন এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী কার্যক্রম মোকাবিলায় বিশেষভাবে লক্ষ্য করে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন ১৭৩৭, ১৭৪৭, ১৮০৩ এবং ১৯২৯ অনুযায়ী সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইরানের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল-সম্পর্কিত প্রযুক্তি ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
মার্কিন প্রশাসনের লক্ষ্য হলো ইরানের মিসাইল সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রচলিত অস্ত্র উন্নয়ন এবং IRGC-কে আর্থিক সহায়তা পাওয়া থেকে বিরত রাখা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিরাপত্তা স্মারকলিপি (NSPM-2) অনুযায়ী, ইরানের এই আগ্রাসী কার্যক্রম রুখতে সব ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা তৃতীয় দেশের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকবে—যতক্ষণ তারা ইরানের মিসাইল বা ড্রোন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংগ্রহে সহায়তা করছে।
আইনি ভিত্তি
নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর করা হয়েছে দুইটি নির্বাহী আদেশের (E.O.) আওতায়—
- E.O. 13382: গণবিধ্বংসী অস্ত্র ও তাদের সহায়তাকারীদের লক্ষ্য করে
- E.O. 13224: সন্ত্রাসী সংগঠন ও তাদের সহযোগীদের লক্ষ্য করে
মার্কিন অর্থ বিভাগের ঘোষণায় এ নিষেধাজ্ঞার অতিরিক্ত বিবরণ উল্লেখ রয়েছে।
#পররাষ্ট্র দপ্তর | ইরান নিষেধাজ্ঞা | মার্কো রুবিও | জাতিসংঘ | ব্যালিস্টিক মিসাইল | ড্রোন নেটওয়ার্ক
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















