ফেনী শহরের মুক্তবাজার এলাকায় নির্মিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ভোরের অন্ধকারে আগুন ধরিয়ে গেছে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত। চারদিকে নীরবতা। এর মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়—কেরোসিন ছিটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন।
ভিডিও সামনে আসতেই উদ্বেগ
সকালেই স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত অংশ দেখে বুঝতে পারেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। আশপাশের সিসিটিভিতে ধরা পড়া দৃশ্যও সেই ধারণা আরও স্পষ্ট করে।
জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধা নাহিদুর রহমান বলেন, এটি শহীদদের স্মৃতির প্রতি অবমাননা। সিসিটিভি ফুটেজ থাকায় দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা কঠিন হবে না।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া, বাড়ছে উত্তেজনা
ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল অভিযোগ করেন—এ ধরনের ঘটনা দেখিয়ে দেয়, নাশকতাকারীরা এখনও সক্রিয়। গত কিছুদিনে আরও কয়েকটি ঘটনায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাঁর দাবি, সতর্ক না থাকলে সামনে আরও বড় নাশকতা ঘটতে পারে। একই সাথে তিনি দলীয় কোন্দল এড়িয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
পুলিশের নজরদারি ও তদন্ত
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কখন, কারা এবং কীভাবে আগুন দিয়েছে—ফুটেজ বিশ্লেষণে তা স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।
এর আগে বরগুনা, পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে একইভাবে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাতের অন্ধকারে জ্বলে ওঠা আগুন যেন একটাই প্রশ্ন রেখে যায়—কে, কেন এই স্মৃতিস্তম্ভগুলোর দিকে হাত বাড়ায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















