লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় শনিবার রাতে এক স্থানীয় বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় অভ্যন্তরীণ বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে নিহতদের তালিকায় নতুন সংযোজন।
==============================
ঘটনার সময় ও স্থান
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের মুস্তাফা দোকানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
==============================
নিহতের পরিচয়
নিহত আবুল কালাম জাহির (৫০) ছিলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
==============================
স্থানীয়দের বক্তব্য
স্থানীয়দের দাবি, জাহির অতীতে মাদক ও মাটির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি এসব কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছিলেন। তাদের ধারণা, এলাকায় আধিপত্য ও ক্ষমতা দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

==============================
পুলিশের বক্তব্য
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি ফয়জুল আজিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর চিত্র পরিষ্কার হবে বলে তিনি জানান।
==============================
বিএনপির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি
৫ আগস্ট ২০২৪-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে বিএনপির ভেতরে দলীয় কোন্দল উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। মানবাধিকার সংস্থা এইচআরএসএস-এর গত মাসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০৪ জন বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে ৮৮ জনই নিহত হয়েছেন নিজেদের দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে। দল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে দীর্ঘ দুই দশক পর ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আশাবাদী হলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
==============================
লক্ষ্মীপুরের এই হত্যাকাণ্ড বিএনপির ভেতরের উত্তেজনা ও ক্ষমতার লড়াই যে কীভাবে প্রাণহানিতে রূপ নিচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ হিসেবে সামনে এসেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার ও স্থানীয়রা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















