০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্য চুক্তির পর দেশে বড় বিনিয়োগ ঘোষণা স্যামসাং ও হিউন্দাইয়ের চীন সফরে জার্মান অর্থমন্ত্রী: বাণিজ্য ঘাটতি, রেয়ার আর্থ সংকট ও ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েনে নতুন উত্তেজনা রাশিয়ার নোভোরোসিস্ক বন্দর আবারও তেল রফতানি শুরু করেছে  সাফা কবির: আলো-অন্ধকার ছুঁয়ে উঠে আসা এক তারকার আত্মজয়ের গল্প বিশাল উলি ম্যামথ ‘ইউকা’র জমাট দেহে চমকপ্রদ আবিষ্কার জামায়াত নেতার গাড়িতে অগ্নিসংযোগ মরমন স্ত্রীদের গোপন জীবন: আমেরিকার সাংস্কৃতিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি আইফোন পকেট: স্টাইলিশ নাকি অর্থের অপচয়? নস্ট্যালজিয়ায় জোয়ার—বয়স্কদের লেগো-ক্রেজ বাড়াচ্ছে নতুন প্রবণতা বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত কেন শক্তি বৃদ্ধি করছে?

নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজের প্রতিশ্রুতি

দীর্ঘ ক্যারিয়ার, অসংখ্য পুরস্কার এবং ফ্যাশনের স্মরণীয় মুহূর্ত থাকা সত্ত্বেও নিকোল কিডম্যানের গতি থেমে নেই। তিনি আজও উদ্যমীভাবে ঝুঁকি নেন, নতুন চরিত্রে ডুব দেন এবং আরও গভীরে সৃষ্টিশীলতার সন্ধান করেন। তাঁর প্রশ্ন— “থামব কেন?”


সংবেদনশীলতার আড়ালে শক্ত অভিনেত্রী

আগস্টের শেষ দিকে লন্ডনে একটি সাক্ষাৎকারে কিডম্যান ক্লান্ত ট্রান্স-আটলান্টিক যাত্রার পরও ছিলেন উজ্জ্বল ও মুগ্ধকর। তিনি বললেন, ২০০৬ সালে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর তাকে শেখানো হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত নারীদের কাহিনি কীভাবে শুনতে হয়—কারণ তিনি এতটাই সংবেদনশীল যে সেই বেদনা তাকে ভেতর থেকে আঘাত করত।

তিনি আরও বলেন, তাঁর ভেতরটা একেবারেই খোলা—অভিনয়েও তাঁর অনুভূতি ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মিশে যায়। পরিচালক অ্যান্থনি মিংগেলা একবার বলেছিলেন তিনি যেন “ত্বকহীন”—অর্থাৎ সবকিছু তীব্রভাবে অনুভব করেন।


দীর্ঘ ক্যারিয়ারের উত্থান–পতন

কিডম্যান মাত্র ১৪ বছর বয়সে সিডনিতে অভিনয় শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে হলিউডের শীর্ষ নায়িকাদের একজন হয়ে ওঠেন। টম ক্রুজের সঙ্গে বিয়ে, তাদের যৌথ সিনেমা, রেড কার্পেটের ঝলমলে বছর—সবই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের বড় অধ্যায়।

তবে একই সঙ্গে ছিল বিবাহবিচ্ছেদ, ‘দ্য আওয়ার্স’ চলচ্চিত্রে অস্কার জয়, এরপর গায়ক কিথ আরবানকে ঘিরে নতুন জীবন। চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি কখনও আর্টহাউস সিনেমা, কখনও ব্লকবাস্টার, কখনও থ্রিলার, কখনও কমেডি কিংবা টিভি সিরিজ—সবক্ষেত্রেই নিজের পরিসর বাড়িয়েছেন।


ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন

কিডম্যান জানান, বিশ্রাম তাঁর পছন্দ নয়। ঝুঁকি নেওয়াই তাঁর স্বভাব। ভুল হলে আবার উঠে দাঁড়ান, শিখে নেন। স্বাধীন, ছোট বাজেটের সিনেমা যেমন ভালো লাগে, তেমনি বড় স্টুডিওর চাপও তিনি সামলাতে প্রস্তুত।


‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক ২’: স্যান্ড্রা বুলকের সঙ্গে নতুন পথচলা

১৯৯৮ সালের জনপ্রিয় সিনেমার সিক্যুয়েলে তিনি স্যান্ড্রা বুলকের সঙ্গে আবার কাজ করছেন। কিডম্যান বলেন, বুলকের সঙ্গে কাজ করা আনন্দের। সিনেমায় নারীর ক্ষমতায়নকে “মজাদার ও রঙিন মোড়কে” তুলে ধরা হয়েছে।


নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজের প্রতিশ্রুতি

‘বিগ লিটল লাইস’-এর সাফল্যের পর তিনি প্রতিশ্রুতি দেন প্রতি ১৮ মাসে অন্তত একজন নারী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবেন। বাস্তবে তিনি দুই ডজনেরও বেশি নারী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস বলেন, সেটে কিডম্যানের উপস্থিতি সামরিক বাহিনীর “Attention!” শব্দের মতোই শক্তিশালী। তাঁর নেতৃত্বে কাজের পরিবেশ আরও গভীর ও মনোনিবেশী হয়ে ওঠে।


চরিত্রের বৈচিত্র্য ও ট্যাবু ভাঙার সাহস

কিডম্যানের অভিনয়ে যৌনতা, জটিল সম্পর্ক, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জ—সবই উঠে এসেছে বারবার। কখনও সাহসী দৃশ্য, কখনও বিতর্কিত চরিত্র—তিনি নিজের স্বভাবের তুলনায় অনেক বেশি উদার ও অনুসন্ধিৎসু।

তাঁর প্রিয় চরিত্র: ‘মুলিন রুজ’-এর স্যাটিন, ‘বিগ লিটল লাইস’-এর সেলেস্ট এবং ‘ডগভিল’-এর গ্রেস।


ফ্যাশন: শৈশবের স্মৃতি ও আত্মবিশ্বাসের উৎস

শৈশবে তাঁর মা ও দাদি পোশাক বানাতেন, সেলাই করতেন—এই স্মৃতি আজও তাঁকে ফ্যাশনের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট করে রেখেছে। রেড কার্পেটকে তিনি মনে করেন একধরনের পারফরম্যান্স, যেখানে পোশাকের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।

ফ্যাশন কখনো তাঁর বর্ম, কখনো খেলাচ্ছলে, কখনো বিদ্রোহী। তাঁর মতে, এটি একধরনের শিল্পচর্চা।


সমালোচনা ও অনলাইন বিদ্বেষ

কিডম্যান জানান, তিনি হেটার বা অনলাইন নেতিবাচকতার দিকে তাকান না। তাঁর পরামর্শ—“এগুলো থেকে দূরে থাকো, নাহলে ধ্বংস করবে।” তিনি নিজ সন্তানদেরও টেইলর সুইফটের মতো ‘Shake It Off’ শেখান।


বার্ধক্যভিত্তিক চরিত্র ও রূপান্তর

তিনি মেকআপ ছাড়া ছবিতে আসতে আপত্তি করেন না। চরিত্র অনুযায়ী বার্ধক্য বা ক্লান্ত চেহারা দেখাতে তাঁর কোনো সমস্যা নেই। ‘ডেস্ট্রয়ার’ সিনেমায় তাঁকে প্রায় চিনতেই না পারা যায়।

এ মুহূর্তে তিনি আরও একটি প্রকল্পে কাজ করছেন, যেখানে তাঁকে একেবারে ভিন্ন ও ভৌতিকভাবে দেখা যাবে।


ব্যক্তিগত ক্ষতি ও মানসিক শক্তি

এক বন্ধুর হঠাৎ মৃত্যুর কারণে সাক্ষাৎকার স্থগিত করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, জীবনে হঠাৎ মৃত্যু তাঁকে বহুবার আঘাত করেছে। নিজের মা–বাবার মৃত্যু তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি বলেন, এখন তিনি শিখেছেন নিজের মানসিক সুরক্ষা আগে রাখতে—এটি তাঁর মানবিক অধিকার।


প্রযোজনা ও পারিবারিক ভারসাম্য

নতুন সিরিজ ‘স্কারপেটা’ থেকে শুরু করে বহু প্রকল্প এখন তাঁর হাতে। শুটিং ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে তিনি সময় পরিকল্পনা করেন—যেমন ছুটির সময় সন্তানদের সঙ্গে থাকতে লন্ডনে শুটিং করতে চেয়েছিলেন।


বন্ধুত্ব, পরিবার ও কাজের শক্তি

তাঁর ন্যাশভিলের জীবন ভীষণ গুছানো। ঘনিষ্ঠ বন্ধু, চিকিৎসক, প্রতিবেশী অভিনেত্রী—সবাই মিলে তাঁর মানসিক শক্তির ভিত রচনা করেছেন।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: লেখা ও নতুন প্রকল্প

তিনি ডায়েরি লেখেন, স্বপ্ন লিখে রাখেন এবং পরে তা পুড়িয়ে ফেলেন। এখন তিনি লেখালেখি করার কথাও ভাবছেন। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ব্যস্ত—নতুন সিরিজ, চলচ্চিত্র সবই লাইনে।

জীবন, মৃত্যু, আনন্দ, শোক, সত্য, বাস্তবতা, অস্তিত্ব—সব বিষয়ে তাঁর দার্শনিক ভাবনা এখন আরও গভীর।

শেষে তাঁর ঘোষণা:
“আমি কেন থামব? আমাকে আটকাতে হলে বেঁধে রাখতে হবে। আমি কাজ থামাতে চাই না।”


#নিকোল_কিডম্যান #হলিউড #সিনেমা #ফ্যাশন #নারীর_ক্ষমতায়ন #বিগ_লিটল_লাইস #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া বাণিজ্য চুক্তির পর দেশে বড় বিনিয়োগ ঘোষণা স্যামসাং ও হিউন্দাইয়ের

নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজের প্রতিশ্রুতি

০৩:৪৫:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ক্যারিয়ার, অসংখ্য পুরস্কার এবং ফ্যাশনের স্মরণীয় মুহূর্ত থাকা সত্ত্বেও নিকোল কিডম্যানের গতি থেমে নেই। তিনি আজও উদ্যমীভাবে ঝুঁকি নেন, নতুন চরিত্রে ডুব দেন এবং আরও গভীরে সৃষ্টিশীলতার সন্ধান করেন। তাঁর প্রশ্ন— “থামব কেন?”


সংবেদনশীলতার আড়ালে শক্ত অভিনেত্রী

আগস্টের শেষ দিকে লন্ডনে একটি সাক্ষাৎকারে কিডম্যান ক্লান্ত ট্রান্স-আটলান্টিক যাত্রার পরও ছিলেন উজ্জ্বল ও মুগ্ধকর। তিনি বললেন, ২০০৬ সালে জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর তাকে শেখানো হয়েছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত নারীদের কাহিনি কীভাবে শুনতে হয়—কারণ তিনি এতটাই সংবেদনশীল যে সেই বেদনা তাকে ভেতর থেকে আঘাত করত।

তিনি আরও বলেন, তাঁর ভেতরটা একেবারেই খোলা—অভিনয়েও তাঁর অনুভূতি ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মিশে যায়। পরিচালক অ্যান্থনি মিংগেলা একবার বলেছিলেন তিনি যেন “ত্বকহীন”—অর্থাৎ সবকিছু তীব্রভাবে অনুভব করেন।


দীর্ঘ ক্যারিয়ারের উত্থান–পতন

কিডম্যান মাত্র ১৪ বছর বয়সে সিডনিতে অভিনয় শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে হলিউডের শীর্ষ নায়িকাদের একজন হয়ে ওঠেন। টম ক্রুজের সঙ্গে বিয়ে, তাদের যৌথ সিনেমা, রেড কার্পেটের ঝলমলে বছর—সবই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের বড় অধ্যায়।

তবে একই সঙ্গে ছিল বিবাহবিচ্ছেদ, ‘দ্য আওয়ার্স’ চলচ্চিত্রে অস্কার জয়, এরপর গায়ক কিথ আরবানকে ঘিরে নতুন জীবন। চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি কখনও আর্টহাউস সিনেমা, কখনও ব্লকবাস্টার, কখনও থ্রিলার, কখনও কমেডি কিংবা টিভি সিরিজ—সবক্ষেত্রেই নিজের পরিসর বাড়িয়েছেন।


ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন

কিডম্যান জানান, বিশ্রাম তাঁর পছন্দ নয়। ঝুঁকি নেওয়াই তাঁর স্বভাব। ভুল হলে আবার উঠে দাঁড়ান, শিখে নেন। স্বাধীন, ছোট বাজেটের সিনেমা যেমন ভালো লাগে, তেমনি বড় স্টুডিওর চাপও তিনি সামলাতে প্রস্তুত।


‘প্র্যাকটিক্যাল ম্যাজিক ২’: স্যান্ড্রা বুলকের সঙ্গে নতুন পথচলা

১৯৯৮ সালের জনপ্রিয় সিনেমার সিক্যুয়েলে তিনি স্যান্ড্রা বুলকের সঙ্গে আবার কাজ করছেন। কিডম্যান বলেন, বুলকের সঙ্গে কাজ করা আনন্দের। সিনেমায় নারীর ক্ষমতায়নকে “মজাদার ও রঙিন মোড়কে” তুলে ধরা হয়েছে।


নারী পরিচালকদের সঙ্গে কাজের প্রতিশ্রুতি

‘বিগ লিটল লাইস’-এর সাফল্যের পর তিনি প্রতিশ্রুতি দেন প্রতি ১৮ মাসে অন্তত একজন নারী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবেন। বাস্তবে তিনি দুই ডজনেরও বেশি নারী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস বলেন, সেটে কিডম্যানের উপস্থিতি সামরিক বাহিনীর “Attention!” শব্দের মতোই শক্তিশালী। তাঁর নেতৃত্বে কাজের পরিবেশ আরও গভীর ও মনোনিবেশী হয়ে ওঠে।


চরিত্রের বৈচিত্র্য ও ট্যাবু ভাঙার সাহস

কিডম্যানের অভিনয়ে যৌনতা, জটিল সম্পর্ক, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জ—সবই উঠে এসেছে বারবার। কখনও সাহসী দৃশ্য, কখনও বিতর্কিত চরিত্র—তিনি নিজের স্বভাবের তুলনায় অনেক বেশি উদার ও অনুসন্ধিৎসু।

তাঁর প্রিয় চরিত্র: ‘মুলিন রুজ’-এর স্যাটিন, ‘বিগ লিটল লাইস’-এর সেলেস্ট এবং ‘ডগভিল’-এর গ্রেস।


ফ্যাশন: শৈশবের স্মৃতি ও আত্মবিশ্বাসের উৎস

শৈশবে তাঁর মা ও দাদি পোশাক বানাতেন, সেলাই করতেন—এই স্মৃতি আজও তাঁকে ফ্যাশনের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট করে রেখেছে। রেড কার্পেটকে তিনি মনে করেন একধরনের পারফরম্যান্স, যেখানে পোশাকের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস গড়ে ওঠে।

ফ্যাশন কখনো তাঁর বর্ম, কখনো খেলাচ্ছলে, কখনো বিদ্রোহী। তাঁর মতে, এটি একধরনের শিল্পচর্চা।


সমালোচনা ও অনলাইন বিদ্বেষ

কিডম্যান জানান, তিনি হেটার বা অনলাইন নেতিবাচকতার দিকে তাকান না। তাঁর পরামর্শ—“এগুলো থেকে দূরে থাকো, নাহলে ধ্বংস করবে।” তিনি নিজ সন্তানদেরও টেইলর সুইফটের মতো ‘Shake It Off’ শেখান।


বার্ধক্যভিত্তিক চরিত্র ও রূপান্তর

তিনি মেকআপ ছাড়া ছবিতে আসতে আপত্তি করেন না। চরিত্র অনুযায়ী বার্ধক্য বা ক্লান্ত চেহারা দেখাতে তাঁর কোনো সমস্যা নেই। ‘ডেস্ট্রয়ার’ সিনেমায় তাঁকে প্রায় চিনতেই না পারা যায়।

এ মুহূর্তে তিনি আরও একটি প্রকল্পে কাজ করছেন, যেখানে তাঁকে একেবারে ভিন্ন ও ভৌতিকভাবে দেখা যাবে।


ব্যক্তিগত ক্ষতি ও মানসিক শক্তি

এক বন্ধুর হঠাৎ মৃত্যুর কারণে সাক্ষাৎকার স্থগিত করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, জীবনে হঠাৎ মৃত্যু তাঁকে বহুবার আঘাত করেছে। নিজের মা–বাবার মৃত্যু তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি বলেন, এখন তিনি শিখেছেন নিজের মানসিক সুরক্ষা আগে রাখতে—এটি তাঁর মানবিক অধিকার।


প্রযোজনা ও পারিবারিক ভারসাম্য

নতুন সিরিজ ‘স্কারপেটা’ থেকে শুরু করে বহু প্রকল্প এখন তাঁর হাতে। শুটিং ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে তিনি সময় পরিকল্পনা করেন—যেমন ছুটির সময় সন্তানদের সঙ্গে থাকতে লন্ডনে শুটিং করতে চেয়েছিলেন।


বন্ধুত্ব, পরিবার ও কাজের শক্তি

তাঁর ন্যাশভিলের জীবন ভীষণ গুছানো। ঘনিষ্ঠ বন্ধু, চিকিৎসক, প্রতিবেশী অভিনেত্রী—সবাই মিলে তাঁর মানসিক শক্তির ভিত রচনা করেছেন।


ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: লেখা ও নতুন প্রকল্প

তিনি ডায়েরি লেখেন, স্বপ্ন লিখে রাখেন এবং পরে তা পুড়িয়ে ফেলেন। এখন তিনি লেখালেখি করার কথাও ভাবছেন। তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ব্যস্ত—নতুন সিরিজ, চলচ্চিত্র সবই লাইনে।

জীবন, মৃত্যু, আনন্দ, শোক, সত্য, বাস্তবতা, অস্তিত্ব—সব বিষয়ে তাঁর দার্শনিক ভাবনা এখন আরও গভীর।

শেষে তাঁর ঘোষণা:
“আমি কেন থামব? আমাকে আটকাতে হলে বেঁধে রাখতে হবে। আমি কাজ থামাতে চাই না।”


#নিকোল_কিডম্যান #হলিউড #সিনেমা #ফ্যাশন #নারীর_ক্ষমতায়ন #বিগ_লিটল_লাইস #সারাক্ষণ_রিপোর্ট