টেকেন–নির্মাতার সঙ্গে নতুন জুটি
স্টার ওয়ার্স–এর রে চরিত্রে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ডেইজি রিডলি এবার পুরোপুরি অ্যাকশন–থ্রিলারের নায়িকা হিসেবে ফিরছেন ‘দ্য গুড সামারিটান’ ছবিতে। ছবিটি পরিচালনা করবেন ফরাসি নির্মাতা পিয়ের মোরেল, যিনি লিয়াম নিসন অভিনীত আলোচিত ছবি ‘টেকেন’ দিয়ে একসময় হলিউডের অ্যাকশন ঘরানায় নতুন ঢেউ তুলেছিলেন। প্রযোজনা করছে মিলেনিয়াম মিডিয়া, যারা ‘র্যামবো’ সিরিজের সাম্প্রতিক কিস্তিসহ বহু উচ্চ–অকটেন অ্যাকশন ছবিতে বিনিয়োগ করেছে। এখানে রিডলি অভিনয় করবেন এক সাধারণ নারী, যিনি হঠাৎ এক সহায়তা করার ঘটনা থেকে জড়িয়ে পড়েন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে এবং নিজের বাঁচার লড়াইয়ের পাশাপাশি অন্যদেরও রক্ষা করতে বাধ্য হন।
প্রযোজকেরা শুরু থেকেই ছবিটিকে সম্ভাব্য ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে ভাবছেন—যেখানে রিডলির চরিত্রকে ঘিরে ধারাবাহিকভাবে আরও সিক্যুয়েল বানানো যাবে। আসন্ন আন্তর্জাতিক ফিল্ম মার্কেটে প্রকল্পটি ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরা হবে; সেখানকার প্রতিক্রিয়াই নির্ধারণ করবে বাজেট থেকে শুরু করে মুক্তির সময়সূচি ও প্ল্যাটফর্ম কৌশল পর্যন্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্টুডিও ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো এমন নারী–নেতৃত্বাধীন অ্যাকশন গল্প খুঁজছে, যেগুলো একদিকে থিয়েটারে দর্শক টানবে, অন্যদিকে অনলাইনে দীর্ঘদিন ধরে দেখা যাবে। ডেইজি রিডলি ইতিমধ্যেই স্বাধীন সিনেমা ও বড় ফ্র্যাঞ্চাইজ—দুই ধারাতেই কাজ করেছেন, ফলে তার উপস্থিতি প্রকল্পটিকে বাড়তি ভারসাম্য দিচ্ছে।

স্ট্রিমিং–যুগে মাঝারি বাজেটের অ্যাকশনের লড়াই
এখনকার বাজারে মাঝারি বাজেটের অ্যাকশন ছবির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দর্শকের মনোযোগ কাড়তে পারা। থিয়েটার, স্ট্রিমিং ও সোশ্যাল মিডিয়া—তিনদিকে ভাগ হয়ে থাকা দর্শককে এক জায়গায় টানতে প্রয়োজন পরিষ্কার ধারণার গল্প, মনে থাকার মতো খলচরিত্র আর পরিকল্পিত অ্যাকশন দৃশ্য। মিলেনিয়াম মিডিয়া আগে থেকেই দেশভিত্তিক প্রি–সেলে অভ্যস্ত; কোন কোন অঞ্চলে কী দামে বিক্রি হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করবে ছবির প্রচার, ভিএফএক্সসহ নানা খাতে চূড়ান্ত ব্যয়।
এই বছরই আরও বেশ কিছু নারী–নেতৃত্বাধীন অ্যাকশন প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে; তাই ‘দ্য গুড সামারিটান’–কে আলাদা করে তুলতে হবে অভিনয় ও নির্মাণে। সমালোচকেরা মনে করেন, যদি ছবিটি কেবল ‘টেকেন’–এর পুনরাবৃত্তি মনে হয়, তবে দর্শক ধরে রাখা কঠিন হবে; কিন্তু নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, অনিশ্চিত মোড় আর চরিত্রের মানসিক টানাপোড়েন তুলে ধরতে পারলে এটি সহজেই সিরিজে পরিণত হতে পারে। ডেইজি রিডলির জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ—স্টার ওয়ার্স–এর ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ অ্যাকশন তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ। আর ক্রেতা ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে ছবিটি এমন এক প্যাকেজ—পরিচিত মুখ, পরীক্ষিত পরিচালক আর এমন গল্প, যা সহজেই ট্রেলারেই বোঝানো যায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















