০৩:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনায় এখন শুধু ‘ট্যাকটিক্যাল বিরতি’,সতর্ক করল সিঙ্গাপুর গানপাউডার–পেট্রোল দিয়ে ময়মনসিংহে ট্রেন বগিতে আগুন ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শীতেও কমছে না দাম: খুলনার কাঁচা বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট—বাংলাদেশের বিশেষ সম্মাননা চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি দখল বাড়ছে: নিয়ন্ত্রণ হারানোর শঙ্কা তীব্র যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের জন্য যে ধ্বংসাত্মক কৌশল বানিয়েছিল, এখন তার শিকার নিজেই

যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক স্টেলথ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে হোয়াইট হাউস বৈঠকের আগের দিনই তিনি এই ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ভারসাম্য, বিশেষ করে ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


ট্রাম্পের ঘোষণা ও এর তাৎপর্য

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এটি করব। আমরা এফ-৩৫ বিক্রি করব।” তবে তিনি কোনো বিশদ বিবরণ দেননি। এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়েছে।


ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা নিয়ে উদ্বেগ

উন্নত মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থা সৌদি আরবকে দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের গুণগত সামরিক সুবিধা (Qualitative Military Edge) কমে যেতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। ইহুদি ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটির জন হান্নাহ বলেন, “স্বাভাবিকীকরণের আগেই এফ-৩৫ সৌদি বাহিনীতে গেলে তা মার্কিন প্রভাব ব্যবহারের ভুল উদাহরণ হবে।” ইসরায়েল ইতিমধ্যে এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইরানসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে।


সৌদি আরবের লক্ষ্য: নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও এআই

মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের অন্যতম লক্ষ্য উন্নত মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর ও এআই প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার, সম্ভাব্য বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা, এবং নিরাপত্তা স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের সমন্বিত অবস্থান। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল রাটনি বলেন, “সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি আগ্রহী উন্নত চিপ-রপ্তানির বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য চুক্তির প্রতি।”


কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রেক্ষাপট

এই সফরকে রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ এবং পরদিন কেনেডি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি সৌদি আরবের দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ, যা শুরু হয় বাইডেন প্রশাসনের সময় এবং ট্রাম্পের সময় তা আরও ত্বরান্বিত হয়।


মানবাধিকার প্রশ্নে সমালোচনা

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ক্রাউন প্রিন্স নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করলেও দেশের ভেতরে দমন-পীড়ন অব্যাহত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন প্রধান সারাহ ইয়াগার বলেন, “রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড, ব্যাপক দমন-পীড়ন—এই বাস্তবতা থেকে দৃষ্টি সরাতে দেওয়া উচিত নয়।”


নিরাপত্তা চুক্তির অগ্রগতি ও সীমাবদ্ধতা

মার্কিন-সৌদি নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব চুক্তিটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা চুক্তিপত্র (treaty) হবে না, অর্থাৎ সেনেটে অনুমোদন লাগবে না। বাইডেন প্রশাসনের সময় যে প্রতিরক্ষা চুক্তির আলোচনা হয়েছিল, তা সৌদি আরবকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিত এবং এর লক্ষ্য ছিল সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে উৎসাহ দেওয়া।


গাজা যুদ্ধ ও স্বাভাবিকীকরণ প্রশ্ন

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলা এবং পরবর্তী গাজা যুদ্ধ সৌদি-ইসরায়েল স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। সৌদি আরব বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্পষ্ট পথ ছাড়া তারা আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যুক্ত হবে না। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যাতে পুনর্গঠনের আইনি কাঠামো, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করা হয়েছে। সৌদি আরব এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।


পারমাণবিক সহযোগিতা আলোচনার সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব একটি বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এখনো স্পষ্ট নয় সৌদি আরব দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে কি না, এবং সামরিক উদ্দেশ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝুঁকি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


কংগ্রেসে অনুমোদন প্রক্রিয়া

এফ-৩৫ বিক্রির জন্য কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক নোটিফিকেশন দিতে হবে। সেনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ উভয়ই আপত্তির প্রস্তাব পাশ করলে বিক্রি বন্ধ হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট ভেটো দিলে তা অকার্যকর করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। ইতিহাসে কখনও কংগ্রেস সফলভাবে এমন বিক্রি আটকে দিতে পারেনি।


প্রযুক্তি নিরাপত্তা ও চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরবের চীন-ঘনিষ্ঠতা বিশেষভাবে নজরদারি প্রয়োজন। চীন সৌদি আরবের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে সহায়তাকারী। ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিস-এর ব্র্যাডলি বোম্যান বলেন, “ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা বজায় রাখা আইনগত বাধ্যবাধকতা। তাই সৌদি আরবকে এফ-৩৫ দিলে তার প্রভাব কী হবে, তা কংগ্রেসের জানা প্রয়োজন।” অতীতে চীন-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণে আমিরাতকে এফ-৩৫ বিক্রি স্থগিত করা হয়েছিল।


সৌদি আরবকে এফ-৩৫ বিক্রির সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভারসাম্য, ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা, মানবাধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি কৌশলগত সম্পর্কের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। চুক্তি বাস্তবায়ন, প্রযুক্তি নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সমর্থন—সবই এখনো অনিশ্চিত।


#USSaudi #F35Deal #MiddleEastSecurity #Trump #Israel #DefensePolicy

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী

যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে: ট্রাম্প

০১:১৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে অত্যাধুনিক স্টেলথ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে হোয়াইট হাউস বৈঠকের আগের দিনই তিনি এই ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ভারসাম্য, বিশেষ করে ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।


ট্রাম্পের ঘোষণা ও এর তাৎপর্য

ট্রাম্প বলেন, “আমরা এটি করব। আমরা এফ-৩৫ বিক্রি করব।” তবে তিনি কোনো বিশদ বিবরণ দেননি। এই সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি আরবের ভূমিকা থাকা সত্ত্বেও ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়েছে।


ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা নিয়ে উদ্বেগ

উন্নত মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থা সৌদি আরবকে দিলে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের গুণগত সামরিক সুবিধা (Qualitative Military Edge) কমে যেতে পারে বলে উদ্বেগ রয়েছে। ইহুদি ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটির জন হান্নাহ বলেন, “স্বাভাবিকীকরণের আগেই এফ-৩৫ সৌদি বাহিনীতে গেলে তা মার্কিন প্রভাব ব্যবহারের ভুল উদাহরণ হবে।” ইসরায়েল ইতিমধ্যে এফ-৩৫ ব্যবহার করে ইরানসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে।


সৌদি আরবের লক্ষ্য: নিরাপত্তা, প্রযুক্তি ও এআই

মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফরের অন্যতম লক্ষ্য উন্নত মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর ও এআই প্রযুক্তির প্রবেশাধিকার, সম্ভাব্য বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচিতে সহায়তা, এবং নিরাপত্তা স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের সমন্বিত অবস্থান। সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল রাটনি বলেন, “সৌদি আরব সবচেয়ে বেশি আগ্রহী উন্নত চিপ-রপ্তানির বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য চুক্তির প্রতি।”


কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রেক্ষাপট

এই সফরকে রাষ্ট্রীয় সফরের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ এবং পরদিন কেনেডি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ সম্মেলন অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি সৌদি আরবের দীর্ঘ প্রচেষ্টার অংশ, যা শুরু হয় বাইডেন প্রশাসনের সময় এবং ট্রাম্পের সময় তা আরও ত্বরান্বিত হয়।


মানবাধিকার প্রশ্নে সমালোচনা

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ক্রাউন প্রিন্স নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করলেও দেশের ভেতরে দমন-পীড়ন অব্যাহত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়াশিংটন প্রধান সারাহ ইয়াগার বলেন, “রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড, ব্যাপক দমন-পীড়ন—এই বাস্তবতা থেকে দৃষ্টি সরাতে দেওয়া উচিত নয়।”


নিরাপত্তা চুক্তির অগ্রগতি ও সীমাবদ্ধতা

মার্কিন-সৌদি নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব চুক্তিটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা চুক্তিপত্র (treaty) হবে না, অর্থাৎ সেনেটে অনুমোদন লাগবে না। বাইডেন প্রশাসনের সময় যে প্রতিরক্ষা চুক্তির আলোচনা হয়েছিল, তা সৌদি আরবকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিত এবং এর লক্ষ্য ছিল সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে উৎসাহ দেওয়া।


গাজা যুদ্ধ ও স্বাভাবিকীকরণ প্রশ্ন

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলা এবং পরবর্তী গাজা যুদ্ধ সৌদি-ইসরায়েল স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। সৌদি আরব বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্পষ্ট পথ ছাড়া তারা আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যুক্ত হবে না। সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যাতে পুনর্গঠনের আইনি কাঠামো, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করা হয়েছে। সৌদি আরব এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে।


পারমাণবিক সহযোগিতা আলোচনার সম্ভাবনা

যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব একটি বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এখনো স্পষ্ট নয় সৌদি আরব দেশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে পারবে কি না, এবং সামরিক উদ্দেশ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের ঝুঁকি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।


কংগ্রেসে অনুমোদন প্রক্রিয়া

এফ-৩৫ বিক্রির জন্য কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক নোটিফিকেশন দিতে হবে। সেনেট ও প্রতিনিধি পরিষদ উভয়ই আপত্তির প্রস্তাব পাশ করলে বিক্রি বন্ধ হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট ভেটো দিলে তা অকার্যকর করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। ইতিহাসে কখনও কংগ্রেস সফলভাবে এমন বিক্রি আটকে দিতে পারেনি।


প্রযুক্তি নিরাপত্তা ও চীনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সৌদি আরবের চীন-ঘনিষ্ঠতা বিশেষভাবে নজরদারি প্রয়োজন। চীন সৌদি আরবের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নে সহায়তাকারী। ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিস-এর ব্র্যাডলি বোম্যান বলেন, “ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা বজায় রাখা আইনগত বাধ্যবাধকতা। তাই সৌদি আরবকে এফ-৩৫ দিলে তার প্রভাব কী হবে, তা কংগ্রেসের জানা প্রয়োজন।” অতীতে চীন-সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগের কারণে আমিরাতকে এফ-৩৫ বিক্রি স্থগিত করা হয়েছিল।


সৌদি আরবকে এফ-৩৫ বিক্রির সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক নিরাপত্তা ভারসাম্য, ইসরায়েলের সামরিক সুবিধা, মানবাধিকার এবং যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি কৌশলগত সম্পর্কের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। চুক্তি বাস্তবায়ন, প্রযুক্তি নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক সমর্থন—সবই এখনো অনিশ্চিত।


#USSaudi #F35Deal #MiddleEastSecurity #Trump #Israel #DefensePolicy