০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
হানি সিংহের পুনর্জাগরণ: দুবাইয়ের ছোট ঘর থেকে বিশ্বমঞ্চে তার ফিরে আসার গল্প কংগ্রেসের টালমাটাল অবস্থা: রাহুল গান্ধীর বারবার ‘হাওয়া হওয়া’ প্রশ্নের মুখে দুবাই এয়ারশো ২০২৫: বিশাল বিনিয়োগে বদলে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিমান খাত পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা স্মুদি সাজেশন অবসাদের প্রথম ১৮০ দিনই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ: গবেষণায় নতুন সতর্কবার্তা আরামের গুরুত্ব: শিশুদের ঘুমের জন্য সঠিক ঘুমের পোশাক কেন জরুরি দুবাইয়ের লাইব্রেরিয়ান থেকে বিশ্বব্যাপী গল্প-আন্দোলন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল রঘুনাথের উদ্যোগ আইডিএফ–এর ‘হামাস গ্রাম’ প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভেতরে: আরবান গেরিলা যুদ্ধের নতুন রূপরেখা ঘরকে মাকড়সার হাত থেকে রক্ষা করুন—জালমুক্ত রাখার ৮টি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর উপায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কেন জড়ো হয়েছেন প্রায় দেড়শো মানুষ?

আরব সাগরে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ

পাকিস্তান নৌবাহিনী আরব সাগরে একটি বড় ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মেথঅ্যামফিটামিন (আইস) জব্দ করেছে। এই অভিযানকে দেশটির সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মূল ঘটনা: সন্দেহজনক নৌযান আটক
পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস তাবুক আরব সাগরে একটি সন্দেহজনক, রাষ্ট্রহীন ধৌ বা ছোট নৌকা থামিয়ে তল্লাশি চালায়। সেখানে ২,০০০ কিলোগ্রাম ও বেশি আইশ পাওয়া যায়। নৌবাহিনীর ডিরেক্টরেট জেনারেল পাবলিক রিলেশনস (ডিজিপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে অভিযান
এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি প্যাট্রোল (আরএমএসপি) কর্মসূচির অংশ হিসেবে। পাশাপাশি এটি সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কম্বাইন্ড টাস্ক ফোর্স–১৫০ (সিটিএফ–১৫০)-এর সহায়তায় সম্পন্ন হয়, যা কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্স (সিএসএফ)-এর অধীনে পরিচালিত।

তিন মাসে তৃতীয় সফল অভিযান
ডিজিপিআর জানায়, পিএনএস তাবুকের এই অভিযান গত দুই মাসে পাকিস্তান নৌবাহিনীর টানা তৃতীয় সফল মাদক আটক। এর আগের মাসে পিএনএস ইয়ারমুক দুটি পৃথক অভিযানে আরব সাগর থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছিল।

সিএসএফ-এর প্রশংসা
কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস জানায়, পিএনএস ইয়ারমুকের ক্রুরা কয়েক টন আইস এবং অল্প পরিমাণ কোকেন জব্দ করতে সক্ষম হয়েছিল। সৌদি নৌবাহিনীর কমোডর ফাহাদ আল জাওয়াদ এটিকে সিএসএফ-এর ইতিহাসে অন্যতম সফল মাদকবিরোধী অভিযান বলে উল্লেখ করেন।

মার্কিন প্রশংসা
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে সাধুবাদ জানায়। তারা বলে, এসব অভিযান শুধু মাদকই নয়, অস্ত্র চোরাচালান রোধ করতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

সিএসএফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা
ডিএমএফ হচ্ছে ৪৭ টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি বহুজাতিক নৌবাহিনী জোট, যার মাধ্যমে ৩.২ মিলিয়ন বর্গমাইল বিস্তৃত আন্তর্জাতিক জলসীমার নিরাপত্তা রক্ষা করা হয়। এর সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর অবস্থান
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, এসব সফল অভিযান পাকিস্তান নৌবাহিনীর দৃঢ় সংকল্প ও অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। সিএসএফ-এর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে বহুজাতিক সহযোগিতাও আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান জাতীয় সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাতিসংঘের আইন সম্মত সামুদ্রিক নীতি (ইউএনসিএলওএস) অনুসরণ করে বৈশ্বিক সমুদ্র নিরাপত্তায় অবদান রাখতে থাকবে।

#tags: সংবাদ • পাকিস্তান • সেনাবাহিনী • মাদক বিরোধী অভিযান • আরব সাগর

জনপ্রিয় সংবাদ

হানি সিংহের পুনর্জাগরণ: দুবাইয়ের ছোট ঘর থেকে বিশ্বমঞ্চে তার ফিরে আসার গল্প

আরব সাগরে ১৩০ মিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ

০১:৩৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পাকিস্তান নৌবাহিনী আরব সাগরে একটি বড় ধরনের মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মেথঅ্যামফিটামিন (আইস) জব্দ করেছে। এই অভিযানকে দেশটির সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

মূল ঘটনা: সন্দেহজনক নৌযান আটক
পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস তাবুক আরব সাগরে একটি সন্দেহজনক, রাষ্ট্রহীন ধৌ বা ছোট নৌকা থামিয়ে তল্লাশি চালায়। সেখানে ২,০০০ কিলোগ্রাম ও বেশি আইশ পাওয়া যায়। নৌবাহিনীর ডিরেক্টরেট জেনারেল পাবলিক রিলেশনস (ডিজিপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে।

আন্তর্জাতিক টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে অভিযান
এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে রিজিওনাল মেরিটাইম সিকিউরিটি প্যাট্রোল (আরএমএসপি) কর্মসূচির অংশ হিসেবে। পাশাপাশি এটি সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কম্বাইন্ড টাস্ক ফোর্স–১৫০ (সিটিএফ–১৫০)-এর সহায়তায় সম্পন্ন হয়, যা কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্স (সিএসএফ)-এর অধীনে পরিচালিত।

তিন মাসে তৃতীয় সফল অভিযান
ডিজিপিআর জানায়, পিএনএস তাবুকের এই অভিযান গত দুই মাসে পাকিস্তান নৌবাহিনীর টানা তৃতীয় সফল মাদক আটক। এর আগের মাসে পিএনএস ইয়ারমুক দুটি পৃথক অভিযানে আরব সাগর থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করেছিল।

সিএসএফ-এর প্রশংসা
কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস জানায়, পিএনএস ইয়ারমুকের ক্রুরা কয়েক টন আইস এবং অল্প পরিমাণ কোকেন জব্দ করতে সক্ষম হয়েছিল। সৌদি নৌবাহিনীর কমোডর ফাহাদ আল জাওয়াদ এটিকে সিএসএফ-এর ইতিহাসে অন্যতম সফল মাদকবিরোধী অভিযান বলে উল্লেখ করেন।

মার্কিন প্রশংসা
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই অভিযানকে সাধুবাদ জানায়। তারা বলে, এসব অভিযান শুধু মাদকই নয়, অস্ত্র চোরাচালান রোধ করতে বড় ভূমিকা রেখেছে।

সিএসএফ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা
ডিএমএফ হচ্ছে ৪৭ টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি বহুজাতিক নৌবাহিনী জোট, যার মাধ্যমে ৩.২ মিলিয়ন বর্গমাইল বিস্তৃত আন্তর্জাতিক জলসীমার নিরাপত্তা রক্ষা করা হয়। এর সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর অবস্থান
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, এসব সফল অভিযান পাকিস্তান নৌবাহিনীর দৃঢ় সংকল্প ও অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। সিএসএফ-এর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে বহুজাতিক সহযোগিতাও আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান জাতীয় সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাতিসংঘের আইন সম্মত সামুদ্রিক নীতি (ইউএনসিএলওএস) অনুসরণ করে বৈশ্বিক সমুদ্র নিরাপত্তায় অবদান রাখতে থাকবে।

#tags: সংবাদ • পাকিস্তান • সেনাবাহিনী • মাদক বিরোধী অভিযান • আরব সাগর