শারজাহর হোলি কুরআন একাডেমি এবং ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেসকো) কুরআনিক বিজ্ঞান, অলঙ্কারশাস্ত্রভিত্তিক তাফসির গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং যৌথভাবে সেমিনার-সম্মেলন আয়োজনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে।
একাডেমি সফর ও প্রতিনিধি দলের উপস্থিতি
আইসেসকোর মহাপরিচালক ড. সালিম মোহাম্মদ এ. আল মালিক একাডেমি সফর করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ড. ওসামা হাইকাল (মিডিয়া ও কমিউনিকেশন সেক্টর প্রধান), সালিম ওমর সালিম (শারজাহ আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক), ড. সালিম হিলাল আল-হাবসি (ন্যাশনাল কমিশন ও কনফারেন্সের মহাসচিব), ড. মোহাম্মদ জিন আল-আবেদীন (কালচার ও কমিউনিকেশন সেক্টর প্রধান), ড. আব্দুলহাকিম আল-সেনান (বাকু আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক) এবং প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল সালিহি (পার্টনারশিপ ও এক্সটার্নাল রিলেশনস কর্মকর্তা)।
হোলি কুরআন একাডেমির মহাসচিব ড. আবদুল্লাহ খালাফ আল-হোসানি এবং একাডেমির বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান।
একাডেমির জাদুঘর ও গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন
প্রতিনিধি দল একাডেমির বিশাল জাদুঘর, বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা সুবিধা ও বিভিন্ন সংগ্রহ পরিদর্শন করে। সেখানে তারা একাডেমির গবেষণা, সংরক্ষণ, পান্ডুলিপি প্রদর্শনী ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করে।

একাডেমির গুরুত্ব তুলে ধরলেন আইসেসকো মহাপরিচালক
ড. সালিম বিন মোহাম্মদ আল মালিক বলেন, হোলি কুরআন একাডেমি শুধু অসাধারণ স্থাপত্যের জন্যই নয়, বরং মূল্যবান পান্ডুলিপি, ঐতিহাসিক সংগ্রহ ও জ্ঞানভাণ্ডারের কারণে একটি বৃহৎ বৈজ্ঞানিক আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি উল্লেখ করেন, এখানে সংরক্ষিত পান্ডুলিপিগুলো কুরআন লেখার ইতিহাস, তার প্রাচীন বিজ্ঞান এবং যারা কুরআনের সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন—তাদের ইতিহাস তুলে ধরে।
শারজাহর শাসকের ভূমিকায় প্রশংসা
ড. আল মালিক শারজাহ শাসক এবং সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য হিজ হাইনেস ড. শেখ সুলতান বিন মোহাম্মদ আল কাসিমির প্রশংসা করে বলেন, তাঁর প্রচেষ্টায় এই অনন্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা গবেষক, শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের জন্য একটি বিশ্বমানের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও এখান থেকে সভ্যতা, ইতিহাস ও ধর্মীয় জ্ঞানের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার লাভ করবে।

কুরআনের পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণে শারজাহর ভূমিকা
ড. আল মালিক জানান, কুরআনের বিরল পান্ডুলিপি রক্ষা ও কুরআনি ইতিহাস সংরক্ষণে শারজাহর যত্নশীল ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি প্রমাণ করে যে পবিত্র কিতাবের সেবায় শারজাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এই একাডেমি বিশ্বব্যাপী কুরআনের পরিচিত কিরাত ও সাব্যস্ত পাঠশৈলী শেখার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
আইসিসির ভবিষ্যৎ সহযোগিতা পরিকল্পনা
ড. আল মালিক ঘোষণা করেন যে আইসেসকো হোলি কুরআন একাডেমির সঙ্গে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ ও যৌথ প্রকল্প হাতে নেবে, যা কুরআনিক গবেষণা ও শিক্ষায় নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, একাডেমিটি রুলার অব শারজাহর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় এটি আন্তর্জাতিক গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















