০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
খুলনার লবণচরা এলাকায় যুবককে গুলি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ওপর মুখোশধারীদের হামলা, ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ ‘রেড জোন’ সিলেট: বড় ভূমিকম্পে ধসে পড়তে পারে হাজারো ভবন, নতুন করে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা টঙ্গীতে জুটের বস্তার ৫ গুদামে আগুন, মসজিদের এসি পুড়ে গেছে বরিশাল ভূমিকম্পের পর হঠাৎ ভাঙনে বানারীপাড়ায় বসতবাড়ি ও জমি সন্ধ্যা নদীগর্ভে কুতুবদিয়া উপকূল থেকে ২৮ জেলেসহ ফিশিং ট্রলার ধরে নেওয়ার অভিযোগ, পরিবারগুলোর কান্না থামছে না ভূমিকম্পে সাবেক মেয়র মনজুরের ৭ তলা ভবন হেলে পড়ায় এলাকা ঘিরে কড়া পুলিশি প্রহরা কেরানিগঞ্জ জিনজিরায় ৭ তলা ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্ক, বাসিন্দাদের রাত কাটছে রাস্তায় সাভারে আবার কম্পন, কারখানা–মহল্লা জুড়ে টানা উদ্বেগ বিজেপির অভিযোগ—অবৈধ ভোটার রক্ষা করতে এসআইআর বাধা দিচ্ছে তৃণমূল

যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা

ওয়াশিংটনে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ ও আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত মিলেছে।


বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি

হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে বসে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেন যে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন এ উন্নীত করতে চায়। যদিও তিনি এই প্রতিশ্রুতির কোনো সময়সীমা বা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। পরের দিন যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি ব্যবসায়িক ফোরামে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প হাস্যরস করে যুবরাজকে আরও বড় বিনিয়োগে উৎসাহ দেন, এবং বলেন, “এটা কি ১.৫ ট্রিলিয়ন করা যায়?” এর মাধ্যমে উভয়পক্ষই বিনিয়োগ বাড়ানোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।


২৭০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও বড় ব্যবসায়িক ঘোষণা

কেনেডি সেন্টারে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে দুই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে ছিল সৌদি সরকারের সমর্থিত এআই প্রতিষ্ঠান HUMAIN-এর পক্ষ থেকে এনভিডিয়ার ৬ লাখ এআই চিপ কেনার পরিকল্পনা, যা সৌদির এআই অবকাঠামো গঠনে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইসঙ্গে HUMAIN ও ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান xAI যৌথভাবে সৌদি আরবে অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে, যার মধ্যে একটি ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার অত্যাধুনিক স্থাপনা হিসেবে পরিকল্পিত। এছাড়া MP Materials ঘোষণা করে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর ও সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত খনি প্রতিষ্ঠান মাদেনের সহযোগিতায় সৌদি আরবে একটি রেয়ার আর্থ রিফাইনারি নির্মাণ করবে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রক্রিয়াকরণে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থান শক্তিশালী হয়। একই সময়ে সৌদি আরামকোও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ১৭টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার সম্ভাব্য আর্থিক মূল্য ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।


কর্পোরেট আমেরিকার শীর্ষ নির্বাহীদের উপস্থিতি ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন শেভরন, কোয়ালকম, সিস্কো, জেনারেল ডায়নামিক্স, ফাইজার, আইবিএম, গুগল, সেলসফোর্স, আন্দ্রিসেন হরোভিটজ, বোয়িং, হ্যালিবার্টন, অ্যাডোবি, স্টেট স্ট্রিট ও পারসন্স কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়েন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক এবং এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং। তারা ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। মাস্ক বলেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে কাজ করা মানুষের জন্য “ঐচ্ছিক” হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে হুয়াং মত দেন যে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান কাঠামো এআই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে বদলে দেবে।


সৌদি আরবের জন্য সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সৌদি আরবের জন্য সহজ লক্ষ্য নয়। কারণ দেশটি ইতোমধ্যেই এনইওএমের মতো ভবিষ্যতধর্মী শহর, ভিশন ২০৩০-এর বিপুল প্রকল্প, বিশ্বকাপ ২০৩৪ আয়োজনের স্টেডিয়াম নির্মাণসহ বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে ব্যয়ভার বৃদ্ধি ও বিলম্বের মুখোমুখি। তবে সৌদি আরবের বিস্তীর্ণ ভূমি, সস্তা জ্বালানি, এবং অবকাঠামো নির্মাণের সক্ষমতা দ্রুতগতিসম্পন্ন এআই শিল্প তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এ কারণেই মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটি ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রশ্ন

ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের কয়েকজনের সৌদি ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে রিয়েল-এস্টেটসহ নানা খাতে বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে বলে নানা সময়ে সমালোচনা উঠেছে। তবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি এখন তাঁর ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁর পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে খুব কমই ব্যবসা করেছে। এর মাধ্যমে তিনি স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন।


পূর্বের প্রতিশ্রুত চুক্তির কার্যকারিতা

চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে দুই দেশ প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছিল। এবারের সফরের সময় ওই চুক্তিগুলোর কয়েকটি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়। এতে বোঝা যায়, দুই দেশের প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে আরও বিস্তৃত হচ্ছে।


সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিস্তৃত সহযোগিতা ভবিষ্যতের অর্থনীতি ও ভূরাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক চুক্তি ও প্রতিশ্রুতিগুলো উভয় দেশের জন্যই সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।


#tag US-Saudi #tag Investment #tag AI #tag Trump #tag Middle-East

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনার লবণচরা এলাকায় যুবককে গুলি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে

যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা

০১:১৯:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

ওয়াশিংটনে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা কয়েক শ বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ ও আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ইঙ্গিত মিলেছে।


বিন সালমানের যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি

হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাশে বসে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষণা করেন যে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিনিয়োগ ৬০০ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন এ উন্নীত করতে চায়। যদিও তিনি এই প্রতিশ্রুতির কোনো সময়সীমা বা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি। পরের দিন যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি ব্যবসায়িক ফোরামে বক্তৃতাকালে ট্রাম্প হাস্যরস করে যুবরাজকে আরও বড় বিনিয়োগে উৎসাহ দেন, এবং বলেন, “এটা কি ১.৫ ট্রিলিয়ন করা যায়?” এর মাধ্যমে উভয়পক্ষই বিনিয়োগ বাড়ানোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।


২৭০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও বড় ব্যবসায়িক ঘোষণা

কেনেডি সেন্টারে আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে দুই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ও বিক্রয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে ছিল সৌদি সরকারের সমর্থিত এআই প্রতিষ্ঠান HUMAIN-এর পক্ষ থেকে এনভিডিয়ার ৬ লাখ এআই চিপ কেনার পরিকল্পনা, যা সৌদির এআই অবকাঠামো গঠনে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইসঙ্গে HUMAIN ও ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান xAI যৌথভাবে সৌদি আরবে অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার নির্মাণ করবে, যার মধ্যে একটি ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার অত্যাধুনিক স্থাপনা হিসেবে পরিকল্পিত। এছাড়া MP Materials ঘোষণা করে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর ও সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত খনি প্রতিষ্ঠান মাদেনের সহযোগিতায় সৌদি আরবে একটি রেয়ার আর্থ রিফাইনারি নির্মাণ করবে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ প্রক্রিয়াকরণে মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থান শক্তিশালী হয়। একই সময়ে সৌদি আরামকোও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ১৭টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার সম্ভাব্য আর্থিক মূল্য ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।


কর্পোরেট আমেরিকার শীর্ষ নির্বাহীদের উপস্থিতি ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু

ইভেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ছিলেন শেভরন, কোয়ালকম, সিস্কো, জেনারেল ডায়নামিক্স, ফাইজার, আইবিএম, গুগল, সেলসফোর্স, আন্দ্রিসেন হরোভিটজ, বোয়িং, হ্যালিবার্টন, অ্যাডোবি, স্টেট স্ট্রিট ও পারসন্স কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা। বিশেষভাবে দৃষ্টি কাড়েন টেসলা সিইও ইলন মাস্ক এবং এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং। তারা ভবিষ্যতের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। মাস্ক বলেন, আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে কাজ করা মানুষের জন্য “ঐচ্ছিক” হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে হুয়াং মত দেন যে ভবিষ্যতের কর্মসংস্থান কাঠামো এআই প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে বদলে দেবে।


সৌদি আরবের জন্য সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সৌদি আরবের জন্য সহজ লক্ষ্য নয়। কারণ দেশটি ইতোমধ্যেই এনইওএমের মতো ভবিষ্যতধর্মী শহর, ভিশন ২০৩০-এর বিপুল প্রকল্প, বিশ্বকাপ ২০৩৪ আয়োজনের স্টেডিয়াম নির্মাণসহ বেশ কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে ব্যয়ভার বৃদ্ধি ও বিলম্বের মুখোমুখি। তবে সৌদি আরবের বিস্তীর্ণ ভূমি, সস্তা জ্বালানি, এবং অবকাঠামো নির্মাণের সক্ষমতা দ্রুতগতিসম্পন্ন এআই শিল্প তৈরি করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। এ কারণেই মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটি ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।


ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রশ্ন

ট্রাম্প ও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের কয়েকজনের সৌদি ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে রিয়েল-এস্টেটসহ নানা খাতে বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে বলে নানা সময়ে সমালোচনা উঠেছে। তবে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি এখন তাঁর ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁর পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে খুব কমই ব্যবসা করেছে। এর মাধ্যমে তিনি স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন।


পূর্বের প্রতিশ্রুত চুক্তির কার্যকারিতা

চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে দুই দেশ প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণা করেছিল। এবারের সফরের সময় ওই চুক্তিগুলোর কয়েকটি আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়। এতে বোঝা যায়, দুই দেশের প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে আরও বিস্তৃত হচ্ছে।


সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন করে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বিস্তৃত সহযোগিতা ভবিষ্যতের অর্থনীতি ও ভূরাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক চুক্তি ও প্রতিশ্রুতিগুলো উভয় দেশের জন্যই সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই সম্পর্ক আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।


#tag US-Saudi #tag Investment #tag AI #tag Trump #tag Middle-East