০৩:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ওপর মুখোশধারীদের হামলা, ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ ‘রেড জোন’ সিলেট: বড় ভূমিকম্পে ধসে পড়তে পারে হাজারো ভবন, নতুন করে সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা টঙ্গীতে জুটের বস্তার ৫ গুদামে আগুন, মসজিদের এসি পুড়ে গেছে বরিশাল ভূমিকম্পের পর হঠাৎ ভাঙনে বানারীপাড়ায় বসতবাড়ি ও জমি সন্ধ্যা নদীগর্ভে কুতুবদিয়া উপকূল থেকে ২৮ জেলেসহ ফিশিং ট্রলার ধরে নেওয়ার অভিযোগ, পরিবারগুলোর কান্না থামছে না ভূমিকম্পে সাবেক মেয়র মনজুরের ৭ তলা ভবন হেলে পড়ায় এলাকা ঘিরে কড়া পুলিশি প্রহরা কেরানিগঞ্জ জিনজিরায় ৭ তলা ভবন হেলে পড়ায় আতঙ্ক, বাসিন্দাদের রাত কাটছে রাস্তায় সাভারে আবার কম্পন, কারখানা–মহল্লা জুড়ে টানা উদ্বেগ বিজেপির অভিযোগ—অবৈধ ভোটার রক্ষা করতে এসআইআর বাধা দিচ্ছে তৃণমূল নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানিকে ট্রাম্পের প্রশংসা, হোয়াইট হাউসে উষ্ণ সাক্ষাতে সহযোগিতার অঙ্গীকার

মেলেন্দেজ ভ্রাতৃদ্বয়ের চোখে কুয়েত: দ্বিতীয় বাড়ির উষ্ণতা

স্পেনের সেভিয়া থেকে আসা প্যাডেল তারকা পেদ্রো ও আলভারো মেলেন্দেজ — যাদের সবাই ‘সেভিলানো ব্রাদার্স’ নামে চেনে — কুয়েতকে তাদের দ্বিতীয় বাড়ি মনে করেন। প্রতি বছর তারা এখানে প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ফিরে আসেন। সাম্প্রতিক এফআইপি ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়ার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে তারা আবারও সেই পরিচিত উষ্ণতা অনুভব করেছেন।


কুয়েতে বারবার ফিরে আসার কারণ

পেদ্রো বলেন, “এটা হয়তো আমাদের পঞ্চম বা ষষ্ঠবার এখানে আসা। প্রথম এসেছিলাম কোভিডের পর, ২০২২ সালে। তখন আবুধাবিতে টুর্নামেন্ট খেললাম, তারপর দোহা, এরপর প্রশিক্ষণের জন্য কুয়েতে আসি।”
তিনি যোগ করেন, “এখানে আমাদের অনেক বন্ধু রয়েছে — স্ট্যান্ডে তাকালেই তাদের দেখতে পাবেন।”

আলভারোও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান: “প্রথমদিন থেকেই সবাই আমাদের অবিশ্বাস্যভাবে আপন করে নিয়েছে। টুর্নামেন্ট থাকুক বা না থাকুক — আমরা প্রতি বছর ফিরে আসি। কুয়েতে এসে সবসময়ই ভালো সময় কাটে, তাই স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটা ফিরে আসার মতো হয়ে ওঠে।”


সংস্কৃতির পরিচিত উষ্ণতা

আলভারোর ভাষায়, “স্পেন থেকে এত দূরের দেশে এসে একই ধরনের শক্তি ও অনুভূতি পাওয়া সত্যিই অসাধারণ। এখানে মানুষ আমাদের মতোই — উৎসাহী, বন্ধুত্বপূর্ণ, খেলাধুলাপ্রেমী। এই সমর্থন অবিশ্বাস্য। তাই কুয়েত আমাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ি মনে হয়।”


শৈশব থেকে প্যাডেল যাত্রার শুরু

ভ্রাতৃদ্বয় ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে খেলছেন। আলভারো তিন-চার বছর বয়সে শুরু করেন, আর পেদ্রো সাত বছর বয়সে। তারা জানান, বাড়ির কাছেই দুটি প্যাডেল কোর্ট ছিল। তাদের বাবা খেলতেন, আর তারা গিয়ে দেখতেন ও শিখতেন। নিবেদিত চর্চা, শৃঙ্খলা ও বছরের পর বছর নিয়মিত প্রস্তুতি তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।


খেলার আগে প্রস্তুতি ও অনুশীলন

পেদ্রো জানান, বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে ম্যাচের প্রস্তুতিও পরিবর্তিত হয়। “সময় যত যায়, তত বুঝি কোন প্রস্তুতি আমাদের সবচেয়ে বেশি সতেজ রাখে।”
তাদের ওয়ার্ম-আপের অংশ হচ্ছে ফোম রোলিং, অলিম্পিক-স্টাইলের মুভমেন্ট এবং ‘শ্যাডোজ’ — বল ছাড়া স্ট্রোক অনুশীলন, যা ছন্দ ও মানসিক প্রস্তুতি দৃঢ় করে।

কোর্টে তাদের শক্তি হলো বহু বছরের বোঝাপড়া ও এক ধরনের ‘অন্তর্নিহিত আগুন’। আলভারো বলেন, “আমাদের সিগন্যাল থাকে — কিছু কথা যা আমরা একে-অপরকে বলি নিজেদের ভেতরের আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য।” পেদ্রো মজা করে যোগ করেন, “ওই আগুনটা আলভারোর মধ্যে হয়তো বেশি।”


মানসিকতা, শক্তি ও পেশাদারিত্ব

ভ্রাতৃদ্বয় মনে করেন, এই আগ্রহই তাদের মূল পরিচয়। আলভারো বলেন, “প্রতিদিন আমরা এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় দিই, একে-অপরকে বলি — আমরা এটা পারব।”
পেদ্রো বলেন, “সবকিছুই মনোযোগ, শক্তি এবং কোর্টে আমাদের সর্বোচ্চটা তুলে ধরার ওপর নির্ভর করে।”


মেলেন্দেজ ভ্রাতৃদ্বয় শুধু খেলোয়াড় নন — তারা কুয়েতের ক্রীড়া সংস্কৃতির সঙ্গে গভীর বন্ধনে যুক্ত এক জুটি। তাদের কথায় স্পষ্ট, কুয়েত কেবল একটি প্রতিযোগিতার জায়গা নয়; এটি তাদের অনুভূতি, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার দ্বিতীয় ঠিকানা।

#মেলেন্দেজ_ভ্রাতৃদ্বয়  #কুয়েত_স্পোর্টস  #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর ওপর মুখোশধারীদের হামলা, ঢাকা–রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ

মেলেন্দেজ ভ্রাতৃদ্বয়ের চোখে কুয়েত: দ্বিতীয় বাড়ির উষ্ণতা

০১:৩৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

স্পেনের সেভিয়া থেকে আসা প্যাডেল তারকা পেদ্রো ও আলভারো মেলেন্দেজ — যাদের সবাই ‘সেভিলানো ব্রাদার্স’ নামে চেনে — কুয়েতকে তাদের দ্বিতীয় বাড়ি মনে করেন। প্রতি বছর তারা এখানে প্রতিযোগিতা, প্রশিক্ষণ ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ফিরে আসেন। সাম্প্রতিক এফআইপি ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়ার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে তারা আবারও সেই পরিচিত উষ্ণতা অনুভব করেছেন।


কুয়েতে বারবার ফিরে আসার কারণ

পেদ্রো বলেন, “এটা হয়তো আমাদের পঞ্চম বা ষষ্ঠবার এখানে আসা। প্রথম এসেছিলাম কোভিডের পর, ২০২২ সালে। তখন আবুধাবিতে টুর্নামেন্ট খেললাম, তারপর দোহা, এরপর প্রশিক্ষণের জন্য কুয়েতে আসি।”
তিনি যোগ করেন, “এখানে আমাদের অনেক বন্ধু রয়েছে — স্ট্যান্ডে তাকালেই তাদের দেখতে পাবেন।”

আলভারোও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান: “প্রথমদিন থেকেই সবাই আমাদের অবিশ্বাস্যভাবে আপন করে নিয়েছে। টুর্নামেন্ট থাকুক বা না থাকুক — আমরা প্রতি বছর ফিরে আসি। কুয়েতে এসে সবসময়ই ভালো সময় কাটে, তাই স্বাভাবিকভাবেই জায়গাটা ফিরে আসার মতো হয়ে ওঠে।”


সংস্কৃতির পরিচিত উষ্ণতা

আলভারোর ভাষায়, “স্পেন থেকে এত দূরের দেশে এসে একই ধরনের শক্তি ও অনুভূতি পাওয়া সত্যিই অসাধারণ। এখানে মানুষ আমাদের মতোই — উৎসাহী, বন্ধুত্বপূর্ণ, খেলাধুলাপ্রেমী। এই সমর্থন অবিশ্বাস্য। তাই কুয়েত আমাদের কাছে দ্বিতীয় বাড়ি মনে হয়।”


শৈশব থেকে প্যাডেল যাত্রার শুরু

ভ্রাতৃদ্বয় ছোটবেলা থেকেই একসঙ্গে খেলছেন। আলভারো তিন-চার বছর বয়সে শুরু করেন, আর পেদ্রো সাত বছর বয়সে। তারা জানান, বাড়ির কাছেই দুটি প্যাডেল কোর্ট ছিল। তাদের বাবা খেলতেন, আর তারা গিয়ে দেখতেন ও শিখতেন। নিবেদিত চর্চা, শৃঙ্খলা ও বছরের পর বছর নিয়মিত প্রস্তুতি তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।


খেলার আগে প্রস্তুতি ও অনুশীলন

পেদ্রো জানান, বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে ম্যাচের প্রস্তুতিও পরিবর্তিত হয়। “সময় যত যায়, তত বুঝি কোন প্রস্তুতি আমাদের সবচেয়ে বেশি সতেজ রাখে।”
তাদের ওয়ার্ম-আপের অংশ হচ্ছে ফোম রোলিং, অলিম্পিক-স্টাইলের মুভমেন্ট এবং ‘শ্যাডোজ’ — বল ছাড়া স্ট্রোক অনুশীলন, যা ছন্দ ও মানসিক প্রস্তুতি দৃঢ় করে।

কোর্টে তাদের শক্তি হলো বহু বছরের বোঝাপড়া ও এক ধরনের ‘অন্তর্নিহিত আগুন’। আলভারো বলেন, “আমাদের সিগন্যাল থাকে — কিছু কথা যা আমরা একে-অপরকে বলি নিজেদের ভেতরের আগুন জ্বালিয়ে রাখার জন্য।” পেদ্রো মজা করে যোগ করেন, “ওই আগুনটা আলভারোর মধ্যে হয়তো বেশি।”


মানসিকতা, শক্তি ও পেশাদারিত্ব

ভ্রাতৃদ্বয় মনে করেন, এই আগ্রহই তাদের মূল পরিচয়। আলভারো বলেন, “প্রতিদিন আমরা এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করি। অনেক সময় দিই, একে-অপরকে বলি — আমরা এটা পারব।”
পেদ্রো বলেন, “সবকিছুই মনোযোগ, শক্তি এবং কোর্টে আমাদের সর্বোচ্চটা তুলে ধরার ওপর নির্ভর করে।”


মেলেন্দেজ ভ্রাতৃদ্বয় শুধু খেলোয়াড় নন — তারা কুয়েতের ক্রীড়া সংস্কৃতির সঙ্গে গভীর বন্ধনে যুক্ত এক জুটি। তাদের কথায় স্পষ্ট, কুয়েত কেবল একটি প্রতিযোগিতার জায়গা নয়; এটি তাদের অনুভূতি, বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার দ্বিতীয় ঠিকানা।

#মেলেন্দেজ_ভ্রাতৃদ্বয়  #কুয়েত_স্পোর্টস  #সারাক্ষণ_রিপোর্ট