০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
কেন্ড্রিকের সঙ্গে এবার স্পিল্ট মিল্কে জেনেসিস ওউসু ও লটে গ্যালাগারও পঞ্চাশের পর হঠাৎ বাড়ছে অটোইমিউন রোগ: ‘স্বাভাবিক বার্ধক্য’ ভেবে ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেকে ভিয়েতনাম–থাইল্যান্ডে ভয়াবহ বন্যা: টানা বর্ষণে ডুবে যাচ্ছে গ্রাম–শহর নেক্সপেরিয়া চিপ সংকটে আবার কাঁপছে বিশ্ব গাড়ি শিল্প জার্মানিকে পাশে টেনে বিরল খনিজে নতুন সমীকরণ গড়তে চাইছে চীন রাশিয়ার পুনর্গঠন বদলে দিচ্ছে দখলে নেওয়া মারিউপোল ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোক—নিখিল সিদ্ধার্থের আবেগঘন স্মৃতিচারণ ধর্মেন্দ্র: বলিউডের সর্বাধিক সফল অভিনেতা কেন কখনো ‘সুপারস্টার’ বলা হয়নি পারমাণবিক বিদ্যুতে ‘র‍্যাডিকাল রিসেট’ চায় যুক্তরাজ্য, খরচ–বিলম্বে ক্ষুব্ধ বিশেষজ্ঞরা যুক্তরাজ্যে ২০০ বছর পুরোনো অনন্য হিন্দু চিত্রকর্ম রপ্তানি সাময়িকভাবে স্থগিত

ডিইউ অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের ছয় মাসের জামিন, মুক্তিতে আর বাধা নেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

হাইকোর্টের আদেশ
সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আদালতে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
অ্যাডভোকেট শেখ আলী জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

একই মামলায় পূর্ববর্তী আদেশ
এর আগে ১০ নভেম্বর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে একই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের জামিনাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অধ্যাপক হাফিজুরসহ কয়েকজনকে আটক করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।

একদল যুবক নিজেদের ‘জুলাই ফাইটারস’ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন যে অনুষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল—এরপর তারা দুপুরে হাফিজুরসহ অন্যদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

অনুষ্ঠান ও মামলার বিবরণ
‘মঞ্চ ৭১’ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (DRU)-তে “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাবেক আমলা।

পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

হাইকোর্টের ছয় মাসের জামিনাদেশে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের মুক্তির পথ সুস্পষ্ট হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধাপগুলো এখন আদালতের বিচারকার্য অনুযায়ী অগ্রসর হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন্ড্রিকের সঙ্গে এবার স্পিল্ট মিল্কে জেনেসিস ওউসু ও লটে গ্যালাগারও

ডিইউ অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের ছয় মাসের জামিন, মুক্তিতে আর বাধা নেই

০৫:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

হাইকোর্টের আদেশ
সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এবং বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই জামিন মঞ্জুর করেন।
গত রোববার অধ্যাপক হাফিজুর রহমান জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আদালতে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আকতার রুবি।
অ্যাডভোকেট শেখ আলী জানান, হাইকোর্টের আদেশের পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।

একই মামলায় পূর্ববর্তী আদেশ
এর আগে ১০ নভেম্বর, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমকে একই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের জামিনাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রাখে।

ঘটনার পটভূমি
গত ২৮ আগস্ট রাজধানীতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ অধ্যাপক হাফিজুরসহ কয়েকজনকে আটক করে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন অধ্যাপক হাফিজুর রহমান।

একদল যুবক নিজেদের ‘জুলাই ফাইটারস’ পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করেন যে অনুষ্ঠানটি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হয়েছিল—এরপর তারা দুপুরে হাফিজুরসহ অন্যদের পুলিশে সোপর্দ করেন।

অনুষ্ঠান ও মামলার বিবরণ
‘মঞ্চ ৭১’ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (DRU)-তে “আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও সাবেক আমলা।

পরে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

হাইকোর্টের ছয় মাসের জামিনাদেশে অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের মুক্তির পথ সুস্পষ্ট হয়েছে। মামলার পরবর্তী ধাপগুলো এখন আদালতের বিচারকার্য অনুযায়ী অগ্রসর হবে।