আগেভাগে শুরু হওয়া অফার ও ‘ডিল ক্লান্তি’
এই বছর ব্ল্যাক ফ্রাইডে আর শুধু এক দিনের উন্মাদনা নয়; একেবারে সপ্তাহজুড়ে টানা টেক অফারের মরশুমে পরিণত হয়েছে। বড় বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আর খুচরা বিক্রেতারা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, গেম কনসোল, স্মার্ট টিভি থেকে শুরু করে হেডফোন ও স্মার্টস্পিকার পর্যন্ত প্রায় সব ক্যাটাগরিতেই ছাড় ঘোষণা করেছে। পুরোনো মডেল পরিষ্কার করতে কোথাও দেখা যাচ্ছে বড় অঙ্কের মূল্যছাড়, আবার একেবারে নতুন ডিভাইসে তুলনামূলক কম কিন্তু আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট রাখা হয়েছে। একাধিক প্ল্যাটফর্ম ক্রেতাকে দোটানায় ফেলার মতো ফ্ল্যাশ সেল, লাইটনিং ডিল আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তিত অফার দেখাচ্ছে। ফলাফল, সাধারণ ক্রেতা ঠিক বুঝতে পারছেন না কোন অফার সত্যি লাভজনক আর কোনটি শুধুই প্রচার কৌশল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্ল্যাক ফ্রাইডে ব্র্যান্ড আর বিক্রেতাদের মতোই ক্রেতাদের জন্যও এক ধরনের সহনশীলতার পরীক্ষা হয়ে উঠেছে। বাজেটের চাপ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন ‘শুধু এখনই’ ধরনের ছাড়ের দিকে, যদিও দাম তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, কিছু পণ্যের বাজারমূল্য আগের মাসের প্রচারণার চেয়ে খুব বেশি কমেনি। তাই পরিকল্পিত কেনাকাটার ওপর জোর দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা—যে ডিভাইস বা গৃহস্থালি গ্যাজেট যেভাবেই হোক কিনতেই হত, সেগুলোতে ভালো মূল্যছাড় পাওয়া গেলে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া বুদ্ধিমানের। একইসঙ্গে প্রতারক ও নকল ওয়েবসাইটের ঝুঁকিও বাড়ছে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া লিঙ্কের মাধ্যমে ফাঁদ পাতা হচ্ছে ‘সুপার ডিল’ দেখিয়ে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করে অফিসিয়াল অ্যাপ বা নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা নিজে টাইপ করে লগইন করাই নিরাপদ। অনেকের কাছে ব্ল্যাক ফ্রাইডে হয়ে উঠছে শুধু কেনাকাটার দিন নয়, বরং ভবিষ্যতের কয়েক বছর টিকে থাকবে এমন ডিভাইস বাছাই করার সময়—যেখানে প্রকৃত ছাড় মানে কেবল শতাংশ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারযোগ্যতা ও মানের ভারসাম্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















