স্টিভ ব্যানন পরিচালিত জনপ্রিয় পডকাস্ট ওয়ার রুম-এর দুনিয়ায়, ‘ওয়োক’ উদারপন্থী আর রহস্যময় গ্লোবালিস্টদের বিরুদ্ধে আমেরিকা নাকি টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যানন নতুন এক যুদ্ধরেখা আঁকছেন—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। তাঁর বক্তব্য, এআই মানব ইতিহাসে “সবচেয়ে মৌলিক ও বিপ্লবী রূপান্তর” এনে দেবে এবং “এটিকে এখনই থামাতে বা অন্তত ধীর করতে হবে।” ব্যাননের ভাষায়, এআইয়ের চার অশ্বারোহী হল আমেরিকার শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির সিইও–রা—যাদের হাতে মানবতার ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়া যাবে না।
এই অবস্থান MAGA আন্দোলনের এক গভীর ফাটলকে সামনে আনে। একদিকে রয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ টেক–লিবার্টারিয়ানরা; অন্যদিকে ধর্মীয়–রক্ষণশীল নব্য–লুডাইটেরা। আর এআই–অর্থনীতির আকাশছোঁয়া মূল্যায়ন, ঝুঁকি ও সম্ভাবনা বিবেচনায়—এই সংঘাত হতে পারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্পের টেক–ঝোঁক এবং দুই শিবিরের সংঘাত
সিলিকন ভ্যালির বহু এআই নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেও প্রযুক্তির প্রতি গভীর আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তাঁর কথায়—“এটাকে কৃত্রিম বলা ভুল…এটি নিখাদ প্রতিভা।” তিনি যেটিকে AI Action Plan নামে ঘোষণা করেছেন, তা আরও বড় মুক্তবাজার, আরও কম নিয়ন্ত্রণ, এবং বৈশ্বিক এআই আধিপত্যের ডাক দিয়েছে। এতে উচ্ছ্বসিত MAGA–র টেক–অ্যাক্সিলারেশনিস্ট অংশ।
অন্যদিকে MAGA–র ডি–অ্যাক্সিলারেশনিস্ট শিবিরের আপত্তি দুইধরনের। প্রথমটি বাস্তবসম্মত উদ্বেগ—এআই কর্মজীবী আমেরিকানদের চাকরি নষ্ট করবে বলে সতর্ক করছেন জর্জিয়ার কংগ্রেসওম্যান মার্জরি টেলর গ্রিন। অন্যেরা চিন্তিত—বড় ভাষা মডেল বা চ্যাটবটের সঙ্গে বাচ্চা–কিশোরদের প্রভাবিত, এমনকি অনুচিত বা আবেগিক নির্ভরতার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
![]()
টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর অ্যাঞ্জেলা প্যাক্সটন, যিনি এআই ব্যবহার করে শিশুদের নিয়ে যৌন–উপাদান তৈরি নিষিদ্ধ করার আইন পাসে ভূমিকা রেখেছেন, বলেন—তিনি উদ্ভাবনকে সমর্থন করেন, “কিন্তু এই সীমারেখা অতিক্রম করা যাবে না।”
#AI #America #MAGA #Technology #Sarakhon
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















