শ্রীলঙ্কায় ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া যে প্রকৃত দুর্যোগ বয়ে এনেছে, তার প্রমাণ মিলছে প্রতিদিনের হালনাগাদে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে—মৃতের সংখ্যা এখন কমপক্ষে ৩৩৪। এখনো প্রায় ৪০০ মানুষ নিখোঁজ, যাদের খোঁজে অভিযান চলছে থেমে থেমে পানিবন্দি অঞ্চলে।
ভারতের ত্রাণ সহায়তা, ‘অপারেশন সাগর বাঁধু’ সক্রিয়
প্রবল বৃষ্টি কমলেও রাজধানী কলম্বোসহ বহু নিচু এলাকা এখনো ডুবে আছে। এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ভারত ইতোমধ্যে নতুন করে প্রায় ১০ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জানান, “আরেকটি আইএএফ C-130J বিমান ১০ টন দুর্যোগ–উত্তর সরঞ্জাম, ভিশ্ম কিউব এবং অন-সাইট প্রশিক্ষণের জন্য মেডিক্যাল টিম নিয়ে কলম্বো পৌঁছেছে।”
এই সহায়তাগুলো ‘অপারেশন সাগর বাঁধু’র অংশ, যার মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সংকটমুহূর্তে দ্রুত সাড়া দেয়।
বন্যার পানি না নামায় উদ্ধারকাজ এখনো বাধাগ্রস্ত—যেসব এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে, সেখানেও পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। সরকার সতর্ক করেছে—কয়েকটি পার্বত্য অঞ্চলে অতিরিক্ত স্যাচুরেশনের কারণে নতুন ভূমিধসের ঝুঁকি রয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য সংকট, রক্তের ঘাটতি ও বিশুদ্ধ পানির আশঙ্কা
ডিটওয়ার আঘাত শুধু ঘরবাড়ি বা অবকাঠামোতেই নয়; স্বাস্থ্যব্যবস্থাতেও ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। বিশুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে, আর মেডিক্যাল জরুরি অবস্থায় রক্তের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
রক্ত ব্যাংক প্রধান লক্ষ্মণ এদিরিসিংহের ভাষায়, “শনিবার মাত্র ২৩৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ হয়েছে, অথচ দৈনিক প্রয়োজন ১,৫০০।” বন্যা ও ভারী বৃষ্টির কারণে মোবাইল রক্তদান কর্মসূচি চালানো সম্ভব হয়নি। তিনি জনগণকে হাসপাতাল বা রক্ত ব্যাংকে সরাসরি দান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাঠপর্যায়ের উদ্ধার দলগুলো সতর্ক করছে—পাহাড়ি ঢাল আরও দুর্বল হয়ে থাকার কারণে আগামী দিনগুলোতে ভূমিধস বাড়তে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করবে।
#Bangladesh #Sarakhon #ThePresentWorld #SriLanka #Cyclone #Disaster #India
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















