লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে নিজেদের মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করেছে জামায়াতে ইসলামি। এর আগের দিন হবিগঞ্জ-৪ আসনেও একই ধরনের পরিবর্তনের ঘোষণা দেয় দলটি। নতুন সিদ্ধান্তে লালমনিরহাট জেলায় দলের আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহেরকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
নতুন মনোনীত প্রার্থী আবু তাহের
জামায়াতের জেলা আমির অ্যাডভোকেট আবু তাহের আগে লালমনিরহাট ও রংপুর জেলায় ছয় বছর ধরে ছাত্রশিবিরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি লালমনিরহাট জুডিশিয়াল কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
মঙ্গলবার জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মনোনয়ন অনুমোদন ও কেন্দ্রীয় শরায় অন্তর্ভুক্তি

জেলা নায়েবে আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম।
সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে আবু তাহেরকে লালমনিরহাট-৩ আসনের নতুন প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয় এবং তাকে কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য করা হয়।
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল আসাদুল হাবিব দুলু আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
২০০১ সালের নির্বাচনে দুলু আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

লালমনিরহাট-৩ এ জামায়াতের দুর্বল ইতিহাস
লালমনিরহাট-৩ আসনে জামায়াত অতীতে ভালো করতে পারেনি। ১৯৯০-এর দশক থেকে দলটি শুধুমাত্র ১৯৯১ (পঞ্চম) ও জুন ১৯৯৬ (সপ্তম) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেয়। দুইবারই জামায়াতের প্রার্থী মোশারফ হোসেন খান্দকার চতুর্থ স্থানে থেকে যথাক্রমে ৩,৫০৫ ও ১,৮২৯ ভোট পান।
সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে আসনটি চারদলীয় জোটের অংশ হিসেবে বিএনপির ভাগে গেছে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনেও প্রার্থী পরিবর্তন
সোমবার জামায়াত হবিগঞ্জ-৪ আসনেও প্রার্থী পরিবর্তনের ঘোষণা দেয়। জেলা আমির মাওলানা মখলিসুর রহমান ফেসবুকের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে সাংবাদিক ওলিউল্লাহ নোমানকে দলটির নতুন প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
#রাজনীতি #নির্বাচন #জামায়াত #লালমনিরহাট৩ #হবিগঞ্জ৪
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















