বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরছেন কি ফিরছেন না—এই বিষয়টি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তারেক রহমানের না ফেরা নিয়েই যখন আলোচনার ঝড়, তখন খসরুর বক্তব্যে বিএনপির অবস্থান আরও পরিষ্কার হলো।
তারেক রহমান ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান
ঢাকার একটি হোটেলে ‘ফিউচার বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জেস ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বা না ফেরা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সিদ্ধান্ত। বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এটি কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
নির্বাচনে প্রভাবহীন—খসরুর ব্যাখ্যা
খসরুর ভাষ্য, বিএনপি জনগণের আস্থার ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে। সুযোগ পেলে জনগণ আবারও প্রমাণ করবে যে তারা বিএনপির প্রতি আস্থা বজায় রেখেছে। তারেক রহমানের না ফেরা নিয়ে যেসব বিতর্ক চলছে, সেগুলো নির্বাচনের পরিবেশে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই তিনি মনে করেন।
ট্রাভেল পাস প্রসঙ্গে
সাংবাদিকদের প্রশ্নে খসরু জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে ট্রাভেল পাস কোনো ভূমিকা রাখতে পারে কি না—এ বিষয়ে তিনি জানেন না। এ ধরনের প্রশাসনিক বা কূটনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করতেও তিনি আগ্রহী নন।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও আলোচনার পুনরুত্থান
তারেক রহমানের না ফেরা নিয়ে আলোচনা নতুন করে জোরদার হয়েছে কারণ তাঁর মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৭ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
চিকিৎসার অগ্রগতি
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
তারেক রহমানের অতীত প্রেক্ষাপট
২০০৭ সালের ৭ মার্চ ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তারেক রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিন পান এবং ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে লন্ডন যান। তারপর থেকে তিনি লন্ডনেই অবস্থান করছেন।
#tags: রাজনীতি, বিএনপি, তারেক_রহমান, আমীর_খসরু, নির্বাচন
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















