মাদারীপুরের শিবচরের আরিয়াল খান সেতু এলাকায় ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস–ট্রাক সংঘর্ষে তিনজন নিহত ও অন্তত বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ যান চলাচলও বিঘ্নিত হয়।
নতুন এক্সপ্রেসওয়েতে পুরোনো ঝুঁকি
খুলনাগামী একটি বাস আর বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়, পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশ ও হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দোষ কার—গতি না গাফিলতি?
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুই যানবাহনই অতিরিক্ত গতিতে ছিল এবং ওভারটেকিংয়ের চেষ্টা থেকে সংঘর্ষ ঘটে থাকতে পারে। তবে পুলিশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ নিশ্চিত করেনি। দুর্ঘটনার পর কিছু সময়ের জন্য সড়কে যানজট তৈরি হলেও পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন প্রশ্ন
ঢাকা–ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগের প্রধান করিডর। এই ধরনের দুর্ঘটনা সড়ক নকশা, গতি নিয়ন্ত্রণ, সিসিটিভি নজরদারি ও আইন প্রয়োগের বাস্তব ফল নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন অবকাঠামো তৈরি হলেই হবে না, এর সঙ্গে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জরুরি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
নিহতদের স্বজনরা হঠাৎ আয়ের মূল উৎস হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন। হাইওয়ে পুলিশ ও প্রশাসন নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিলেও তারা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















