বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, খালেদা জিয়া জাতীয় নেত্রী হওয়া সত্ত্বেও কখনো আরাম-আয়েশ বা ক্ষমতার প্রাসাদে বসে রাজনীতি করেননি। তিনি জনগণের সঙ্গে রাজপথে থেকেই নিজের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্মাণ করেছেন।
প্রার্থনা সভায় বক্তব্য
ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনায় জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিত্সক সমিতির আয়োজিত প্রার্থনা সভায় মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়া কখনো ‘প্রাসাদ রাজনীতি’ করেননি। তিনি সবসময় মানুষের সঙ্গে রাজপথে হেঁটেছেন, মানুষের পাশে থেকেছেন।
জিয়াউর রহমান হত্যার পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের উত্থান
মঈন খান স্মরণ করেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা বুঝতে পারেন যে দেশকে নেতৃত্ব দিতে খালেদা জিয়াই সর্বাধিক যোগ্য।

তিনি বলেন, ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে খালেদা জিয়া একজন গৃহিণী থেকে জননেতায় পরিণত হন। এই সময়টিতে তিনি গণমানুষের আন্দোলন ও সংগ্রামের মুখ হয়ে ওঠেন।
কারাবাস ও দমন-পীড়নের সময় দৃঢ়তা
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কারাবাস ও রাজনৈতিক দমন-পীড়নের মধ্যেও খালেদা জিয়া দৃঢ় থাকেন।
মঈন খান জানান, দলের নেতাকর্মীরা যখন কারাগারে তাকে দেখতে যেতেন, তিনি তাদের মনোবল শক্ত রাখার পরামর্শ দিতেন।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধা
মঈন খান বলেন, মিথ্যা মামলা সম্পর্কে জেনেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে খালেদা জিয়া নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
তিনি জানান, আমরা তাকে কখনো যেতে না বললে খালেদা জিয়ার উত্তর ছিল—আইনের প্রতি সম্মান জানানো তার নৈতিক দায়িত্ব।

আওয়ামী লীগকে সমালোচনা
মঈন খান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ জনগণভিত্তিক রাজনীতি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করে, তারা শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যায়। নাম উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট জাতি তা প্রত্যক্ষ করেছে।
খালেদা জিয়ার প্রতি জাতির উদ্বেগ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সব চাপ উপেক্ষা করে লড়াই করেছেন। সে কারণেই তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জাতির গভীর উদ্বেগ রয়েছে।
জিয়াউর রহমানের উত্তরাধিকার ও পল্লী চিকিৎসকদের ওপর চাপ
মঈন খান অভিযোগ করেন, জিয়াউর রহমান পল্লী চিকিৎসকদের যে ক্ষমতায়ন করেছিলেন, সে উত্তরাধিকারের ওপর আওয়ামী লীগ প্রতিশোধ পরায়ণভাবে আঘাত হেনেছে। একই ধরনের প্রতিহিংসা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও দেখানো হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















