লিয়ং জুন হাও এখনও বিশ্ব ট্যুরে নিজের সেরা ফর্ম দেখাতে পারেননি। তারপরও আগামী সপ্তাহে ব্যাংককে শুরু হওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় (সাগ) গেমসের পুরুষ দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ের ক্ষীণ সম্ভাবনায় মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় ভরসাই তিনি।
প্রাক্তন আন্তর্জাতিক তারকা দাতুক জেমস সেলভারাজ বলেন, এখনই সময় বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ২৯ নম্বরে থাকা জুন হাওকে প্রমাণ করার যে তাকে নির্ভর করা যায়।
উজ্জ্বল স্মৃতি: থমাস কাপে জুন হাওর পারফরম্যান্স
গত বছর চেংদুতে অনুষ্ঠিত থমাস কাপে জুন হাও অসাধারণ খেলেছিলেন। চীনের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ছাড়া তিনি বাকি সব ম্যাচেই জিতেছিলেন। সে ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন বিশ্ব তিন নম্বর লি শিফেং, যেখানে মালয়েশিয়া ৩-১ ব্যবধানে হেরে যায়।
দল আশা করছে, ব্যাংককেও তিনি সেই দুর্দান্ত ফর্ম ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
মালয়েশিয়ার পরিকল্পনা: শক্তি ডাবলসে, নির্ভরতা জুন হাওর ওপরে
এই সাগ গেমসে ইন্দোনেশিয়াকে আগেই ফেভারিট ধরা হয়েছে। তবে মালয়েশিয়া তাদের শক্তিশালী পুরুষ ডাবলস জুটির ওপর ভরসা করছে—
বিশ্ব দুই নম্বর অ্যারন চিয়া–সোহ উই ইয়িক
বিশ্ব পাঁচ নম্বর মান ওয়েই চং–টি কাই উন
পুরুষ এককে থাকছেন—
বিশ্ব ২৯: লিয়ং জুন হাও
বিশ্ব ৩৮: জাস্টিন হো
বিশ্ব ৪: আইদিল শোহেল আলি সাদিকিন

জেমস সেলভারাজ বলেন, দলগত ইভেন্টে জুন হাওর ওপরে নির্ভর করা যায়। তিনি যদি জয়ে সূচনা করতে পারেন, ডাবলস জুটিরা ম্যাচ শেষ করতে সক্ষম।
প্রতিদ্বন্দ্বী দল: ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের শক্তি
জেমস মনে করেন ড্র খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেমিফাইনালে মালয়েশিয়ার প্রতিপক্ষ ইন্দোনেশিয়া নাকি থাইল্যান্ড—তা ড্র-ই ঠিক করবে।
তিনি বলেন:
জাস্টিন ও আইদিল খুব স্থিতিশীল নন। তাই জুন হাও যদি দলগত ইভেন্টে নিজের সেরা ফর্ম দেখাতে পারেন, মালয়েশিয়ার অল্প হলেও স্বর্ণ জয়ের সুযোগ তৈরি হবে।
ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড—দুই দলই বিশ্ব দলগত র্যাংকিংয়ে মালয়েশিয়ার চেয়ে উপরে, তাই তাদেরই শীর্ষ দুটি বাছাই ধরা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার স্কোয়াড
এককে:
বিশ্ব ১৭: আলউই ফারহান
বিশ্ব ৪৮: জাকি উবায়দিল্লাহ
ডাবলসে:
বিশ্ব ৮: সাবার কারইয়ামান–মোহ রেজা ইসহাফানি
বিশ্ব ২০: লিও রোলি কারনান্দো–বাগাস মৌলানা

থাইল্যান্ডের স্কোয়াড
এককে: বিশ্ব ৩ নম্বর কুনলাভুত ভিটিডসার্ন
ডাবলসে:
দেচাপোল পুয়াভারানুক্রো–কিত্তিনুপং কেদ্রেন (বিশ্ব ১৪)
পিরাতচাই সুখফুন–পাক্কাপন তিরারাটসাকুল (বিশ্ব ৪৮)
ইতিহাস
মালয়েশিয়া সর্বশেষ পুরুষ দলগত স্বর্ণ জিতেছিল ২০০৫ সালে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















