আমেরিকার সেনাবাহিনী নতুন আক্রমণের ঘোষণা
আমেরিকার সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার পূর্ব প্যাসিফিকের আন্তর্জাতিক জলসীমায় সন্দেহভাজন একটি মাদকবাহী নৌযানে আক্রমণ চালিয়ে ৪ জনকে হত্যা করেছে। এটি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মাদক চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতি
সেনাবাহিনীর দক্ষিণ কমান্ডের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, তাদের কাছে নিশ্চিত তথ্য ছিল যে, আক্রমণ করা নৌযানটি অবৈধ মাদক বহন করছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ডিসেম্বর ৪ তারিখে, @SecWar পিট হেগসেথের নির্দেশে, জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সাউদার্ন স্পিয়ার আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি আক্রমণ চালিয়েছে। এই নৌযানটি একটি ‘ডিজাইনেটেড টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, এই নৌযানটি অবৈধ মাদক বহন করছে এবং এটি পূর্ব প্যাসিফিকের একটি পরিচিত মাদক পাচারের রুটে চলাচল করছিল। নৌযানে থাকা ৪ জন মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।”
এই আক্রমণ অপারেশন সাউদার্ন স্পিয়ার-এর অংশ ছিল।

২০২৫ সালে ২০টিরও বেশি আক্রমণ
এ বছর, এখন পর্যন্ত, ক্যারিবিয়ান এবং প্যাসিফিকে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানে ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার ফলে ৮০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের আক্রমণটি প্রায় এক সপ্তাহ পরের প্রথম আক্রমণ ছিল।
২ সেপ্টেম্বরের আক্রমণ এবং বিতর্ক
মাদক পাচারের বিরুদ্ধে আমেরিকার আক্রমণের প্রথমটি ২ সেপ্টেম্বর ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে ঘটেছিল। ওই আক্রমণটি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, এতে ১১ জন ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল।
তবে, ২ সেপ্টেম্বরের প্রথম আক্রমণটি এখন একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, আক্রমণের পর কিছু বেঁচে থাকা ব্যক্তি পরে একটি পরবর্তী আক্রমণে নিহত হয়েছেন, যা আইন অনুযায়ী প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
![]()
পেন্টাগনের ‘ল আইন অফ ওয়ার ম্যানুয়াল’ অনুসারে, শিপ ধ্বংসপ্রাপ্ত বা অচেতন অবস্থায় থাকা যুদ্ধবন্দিদের ওপর আক্রমণ নিষিদ্ধ। বিশেষত, তারা যদি যুদ্ধের কার্যক্রমে অংশ না নেয় বা পালানোর চেষ্টা না করে। এই নিয়ম অনুসারে, যদি কোন আক্রমণে বেঁচে থাকা ব্যক্তির ওপর আক্রমণ করা হয়, তবে সেটি ‘স্পষ্টভাবে অবৈধ’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
হেগসেথের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ মঙ্গলবার বলেছেন যে, তিনি ২ সেপ্টেম্বরের প্রথম আক্রমণটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এবং পানিতে কোনো বেঁচে থাকা ব্যক্তিকে দেখেননি। তিনি বলেন, দ্বিতীয় আক্রমণটি ‘যুদ্ধের কুয়াশায়’ চালানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ব্র্যাডলির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন।
হেগসেথ বলেন “অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নৌযানটি ডুবিয়ে এবং হুমকি নির্মূল করে,”।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















