০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৩৭) বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও ২০২৫ সালে প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো প্যারিস থেকে তেঙ্গাহ: একটি ফরাসি রেট্রো থিমের বাসা অন্ধকার ভ্রমণের উত্থান: অতীতের ক্ষত দেখতেই কেন বাড়ছে পর্যটকের ভিড় সেনেগালে দুর্নীতি দমন না রাজনৈতিক প্রতিশোধ? ফায়ে–সোঙ্কো সরকারের কড়াকড়িতে বিতর্ক তুঙ্গে মরক্কোর দাখলা অ্যাটলান্টিক বন্দর: আফ্রিকা-সাহেল বাণিজ্যের নতুন প্রবেশদ্বার বিশ্বের ৯৯% চিপ প্রযুক্তির নায়ক: সেমিকন্ডাক্টর কিংবদন্তি চি-তাং সা’র অস্থি চীনে সমাহিত রাশিয়ায় নির্বাসন থেকে সিরীয় উপকূলে নতুন বিদ্রোহের ছক আঁকছেন আসাদের সাবেক গুপ্তচরপ্রধান ও কোটিপতি চাচাতো ভাই সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে সূচকপতন

এআই-তৈরি ভুয়া কনটেন্টে তথ্যবিশ্বে ‘পুলিং সংকট’, বিশ্বস্ত সাংবাদিকতার সামনে নতুন সুযোগ

ইন্টারনেটে কনটেন্ট তৈরির খরচ কমতে কমতে শূন্যে নেমে এসেছে। কয়েকটি প্রম্পট দিলেই এখন যেকোনো লেখা, ছবি বা অডিও তৈরি করা যায়। ফলে তথ্য যাচাইয়ের ব্যয় বেড়ে গেছে, আর সত্য-মিথ্যা আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্য ইকোনোমিস্ট–এর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এআই-তৈরি কনটেন্টের বন্যা আমাদের তথ্যবাজারকে “পুলিং ইকুইলিব্রিয়াম”–এ ঠেলে দিচ্ছে—যেখানে আসল-নকল সব একাকার। তবে এই অস্থিরতার মাঝেও বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য নতুন প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ তৈরি হতে পারে।

যাচাই বনাম বিভ্রান্তি
অনলাইনের প্রায় অর্ধেক লেখাই গত বছর এআই-তৈরি ছিল। এতে “কনটেন্ট ফার্ম”গুলো ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে সহজেই ক্লিক টানতে পারছে। তারা চেনা ব্র্যান্ড নকল করে রেজ-বেইট ছড়াচ্ছে, আর পাঠকের পক্ষে আসল সংবাদ সাইট আর ফেক সাইট আলাদা করা কঠিন হচ্ছে। একসময় সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব ব্র্যান্ড ছিল সত্যতার ব্যয়বহুল প্রমাণ—যা নকল করা সহজ ছিল না। এখন সেটিও বিপন্ন।

পুলিং ইকুইলিব্রিয়াম: যেখানে সব একই মনে হয়
এআই যখন নিখুঁত লেখা, ছবি আর অডিও তৈরি করতে পারে, তখন আগের চেনার নিয়মগুলো ভেঙে যায়। আঙুল কম-বেশি, অদ্ভুত বাক্যগঠন—এসব দেখে বোঝা যেত কোনটি এআই। এখন আর তা সম্ভব নয়। অর্থনীতির ভাষায়, বাজার “সেপারেটিং” থেকে “পুলিং”-এ নেমে আসে—ভালো-মন্দ এক হয়ে যায়। ফল: ক্রেতা (পাঠক) ধরে নেয় সবই খারাপ। তখন প্রশ্ন ওঠে, সত্য তথ্যের জন্য টাকা দেবে কেন? আর সাংবাদিকতা চলবেই বা কীভাবে?

নতুন ‘কস্টলি সিগন্যাল’ জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন তথ্যের উৎস প্রমাণ করতে নতুন ভেরিফায়েবল পদ্ধতি দরকার। ভিডিওতে “চেইন অব কাস্টডি” ট্যাগ, কোন টুলে তৈরি—এসব দেখানো মান বাড়াতে পারে। প্রিন্ট জার্নালিজমও নতুন করে মূল্য পেতে পারে, কারণ মুদ্রণ ও বিতরণের ব্যয় নিজেই এক প্রকার সত্যতার প্রমাণ। স্কুলে হাতে লেখা পরীক্ষার প্রচলন বাড়ার মতোই, তথ্যের জগতে ‘প্রমাণযোগ্য শ্রম’-এর গুরুত্ব বাড়বে।

বিশ্বস্ত সাংবাদিকতার সামনে নতুন সুযোগ
যেমন প্রকৃতিতে তিন রঙের লিজার্ডদের মধ্যে কৌশলগত ভারসাম্য বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়, তেমনি ভুয়া তথ্যের অতিবৃদ্ধি সত্যনিষ্ঠ মাধ্যমগুলোর জন্য আবারও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি করতে পারে। যারা নিজেদের সুনাম ধরে রাখবে, পাঠকের আস্থা ফিরে পাবে—এমনটাই আশা বিশ্লেষকদের।

#এআই #মিসইনফরমেশন #জার্নালিজম #ফেকনিউজ #মিডিয়াএথিকস #নিউজভেরিফিকেশন #ডিজিটালট্রাস্ট #কনটেন্টফার্ম #দ্যইকোনোমিস্ট #বাংলানিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

ডায়ানা ড্যানিয়েলের জন্য একটি নতুন সকাল

এআই-তৈরি ভুয়া কনটেন্টে তথ্যবিশ্বে ‘পুলিং সংকট’, বিশ্বস্ত সাংবাদিকতার সামনে নতুন সুযোগ

০৬:১৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইন্টারনেটে কনটেন্ট তৈরির খরচ কমতে কমতে শূন্যে নেমে এসেছে। কয়েকটি প্রম্পট দিলেই এখন যেকোনো লেখা, ছবি বা অডিও তৈরি করা যায়। ফলে তথ্য যাচাইয়ের ব্যয় বেড়ে গেছে, আর সত্য-মিথ্যা আলাদা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্য ইকোনোমিস্ট–এর বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, এআই-তৈরি কনটেন্টের বন্যা আমাদের তথ্যবাজারকে “পুলিং ইকুইলিব্রিয়াম”–এ ঠেলে দিচ্ছে—যেখানে আসল-নকল সব একাকার। তবে এই অস্থিরতার মাঝেও বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমের জন্য নতুন প্রতিযোগিতামূলক সুযোগ তৈরি হতে পারে।

যাচাই বনাম বিভ্রান্তি
অনলাইনের প্রায় অর্ধেক লেখাই গত বছর এআই-তৈরি ছিল। এতে “কনটেন্ট ফার্ম”গুলো ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে সহজেই ক্লিক টানতে পারছে। তারা চেনা ব্র্যান্ড নকল করে রেজ-বেইট ছড়াচ্ছে, আর পাঠকের পক্ষে আসল সংবাদ সাইট আর ফেক সাইট আলাদা করা কঠিন হচ্ছে। একসময় সংবাদমাধ্যমের নিজস্ব ব্র্যান্ড ছিল সত্যতার ব্যয়বহুল প্রমাণ—যা নকল করা সহজ ছিল না। এখন সেটিও বিপন্ন।

পুলিং ইকুইলিব্রিয়াম: যেখানে সব একই মনে হয়
এআই যখন নিখুঁত লেখা, ছবি আর অডিও তৈরি করতে পারে, তখন আগের চেনার নিয়মগুলো ভেঙে যায়। আঙুল কম-বেশি, অদ্ভুত বাক্যগঠন—এসব দেখে বোঝা যেত কোনটি এআই। এখন আর তা সম্ভব নয়। অর্থনীতির ভাষায়, বাজার “সেপারেটিং” থেকে “পুলিং”-এ নেমে আসে—ভালো-মন্দ এক হয়ে যায়। ফল: ক্রেতা (পাঠক) ধরে নেয় সবই খারাপ। তখন প্রশ্ন ওঠে, সত্য তথ্যের জন্য টাকা দেবে কেন? আর সাংবাদিকতা চলবেই বা কীভাবে?

নতুন ‘কস্টলি সিগন্যাল’ জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন তথ্যের উৎস প্রমাণ করতে নতুন ভেরিফায়েবল পদ্ধতি দরকার। ভিডিওতে “চেইন অব কাস্টডি” ট্যাগ, কোন টুলে তৈরি—এসব দেখানো মান বাড়াতে পারে। প্রিন্ট জার্নালিজমও নতুন করে মূল্য পেতে পারে, কারণ মুদ্রণ ও বিতরণের ব্যয় নিজেই এক প্রকার সত্যতার প্রমাণ। স্কুলে হাতে লেখা পরীক্ষার প্রচলন বাড়ার মতোই, তথ্যের জগতে ‘প্রমাণযোগ্য শ্রম’-এর গুরুত্ব বাড়বে।

বিশ্বস্ত সাংবাদিকতার সামনে নতুন সুযোগ
যেমন প্রকৃতিতে তিন রঙের লিজার্ডদের মধ্যে কৌশলগত ভারসাম্য বেঁচে থাকার সুযোগ দেয়, তেমনি ভুয়া তথ্যের অতিবৃদ্ধি সত্যনিষ্ঠ মাধ্যমগুলোর জন্য আবারও প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি করতে পারে। যারা নিজেদের সুনাম ধরে রাখবে, পাঠকের আস্থা ফিরে পাবে—এমনটাই আশা বিশ্লেষকদের।

#এআই #মিসইনফরমেশন #জার্নালিজম #ফেকনিউজ #মিডিয়াএথিকস #নিউজভেরিফিকেশন #ডিজিটালট্রাস্ট #কনটেন্টফার্ম #দ্যইকোনোমিস্ট #বাংলানিউজ