পিনাট বাটারের জনপ্রিয়তা কতটা বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে?
কোরিয়ায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে পিনাট বাটার এখন এক ধরনের “হেলথ ট্রেন্ড।” অনেকেই দাবি করছেন, খালি পেটে এক চামচ পিনাট বাটার নিলে রক্তে শর্করার হঠাৎ বেড়ে যাওয়া থেমে যায়। কিন্তু এ দাবির পেছনে কতটা বৈজ্ঞানিক সত্য আছে?
পিনাট বাটার ব্লাড সুগার স্থিতিশীল রাখতে পারে
পিনাট বাটারে থাকা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। খাদ্য ও ওষুধ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র এক টেবিল চামচ (১৫ গ্রাম) পিনাট বাটারে থাকে প্রায় ১.৪ গ্রাম চিনি, ৩.৮ গ্রাম প্রোটিন এবং ৫.৮ গ্রাম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।
এসব উপাদান হজম হতে ধীরগতির হওয়ায় পাকস্থলী ফাঁকা হতে দেরি করে এবং রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত শোষিত হয় না। ফলে খাবারের পর ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
তবে ক্যালোরির ঝুঁকিও কম নয়
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এক চামচ পিনাট বাটারেই থাকে প্রায় ৯৮ কিলোক্যালোরি। বেশি খেলে ক্যালোরি দ্রুত বেড়ে যায়। তাই বাড়তি চিনি, হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা অতিরিক্ত লবণযুক্ত পণ্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শুঁটকি বাদামে থাকে আরও বেশি পুষ্টি, কিন্তু হজম কঠিন হতে পারে
প্রাকৃতিক অবস্থায় থাকা চিনাবাদাম (পিনাট) তুলনামূলক কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত এবং বেশি ফাইবারসমৃদ্ধ। ফলে পুষ্টিগুণেও এগিয়ে।
তবে চিনাবাদাম হজম হতে সময় লাগে এবং অনেকসময় ভালোভাবে না চিবোলে এর খোসা হজম না হয়ে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
সংবেদনশীল অন্ত্রের জন্য কোনটি ভালো?
যাদের ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম বা হজম দুর্বলতা আছে, তাদের জন্য পিনাট বাটার তুলনামূলক সহজপাচ্য। বাদামের বেশি ফ্যাট পিত্ত নিঃসরণ বাড়ায় ও মলত্যাগ দ্রুত করে, যা ডায়রিয়া বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা বাড়াতে পারে।
#পিনাটবাটার #ব্লাডসুগার #হেলথটিপস #ডায়েটটিপস #চিনাবাদাম #সুগারকন্ট্রোল #নিউট্রিশন #সুস্থজীবন #ফিটনেসগাইড #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















