বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ব্রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আচমকা নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী সংসদ’। তাদের অভিযোগ—ভোটার তালিকার ত্রুটি, শীতকালীন ছুটিতে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি, এবং তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা—সব মিলিয়ে দলটি কি আসন্ন নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ভূমিকা তৈরি করছে?
অনাস্থা ও অভিযোগ: কী বলছে প্যানেলটি
বেরোবির ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল অভিযোগ করেছে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অসংখ্য ভুল থেকে গেছে এবং একটি নির্দিষ্ট পক্ষকে সুবিধা দিতে নির্বাচন কমিশন তড়িঘড়ি করে ভোট আয়োজন করছে। তাদের দাবি, এই প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের আস্থা নষ্ট করেছে।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা জানায়, কমিশনের আচরণ ‘মেরুদণ্ডহীন’ এবং নির্বাচন পরিচালনার সক্ষমতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে।
গঠনতন্ত্র অনুমোদন থেকে অভিযোগের সূত্রপাত
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিদুল ইসলাম বলেন, গঠনতন্ত্র অনুমোদনের পর থেকেই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন একের পর এক অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে। তার অভিযোগ—শীতকালীন ছুটি ও যৌক্তিক সময় বিবেচনায় না এনে একতরফাভাবে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভোটার তালিকার ত্রুটি ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তুহিন রানা অভিযোগ করেন, দুইবার পদত্যাগ ও একবার ভোট স্থগিতের পর কমিশন ভুলত্রুটি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তা করা হয়নি। বরং অধিকাংশ শিক্ষার্থী ছুটিতে বাড়ি চলে যাওয়ার পর ভোট চাপিয়ে দিয়ে ‘প্রহসনের নির্বাচনী নাটক’ তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ছুটির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন
প্যানেলের দাবি, ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ছেড়েছেন এবং আগামী সপ্তাহে এই হার ৭০ শতাংশ ছাড়াতে পারে। এ অবস্থায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে নির্বাচনের যৌক্তিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তারা মনে করেন।
তাদের প্রস্তাবিত দাবি
সংবাদ সম্মেলনে তারা কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন—
• শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শীতকালীন ছুটি বজায় রাখা
• যৌক্তিক সময়ে অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে ব্রাকসু নির্বাচন আয়োজন
• ভোটার তালিকার সব ভুল সংশোধন
• প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট ও হল ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক করা
• নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা
কমিশনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি
অভিযোগ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য সদস্যদের ফোন করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।
#BRUR #BRACSU #StudentPolitics #ChhatraDal #CampusElection #BangladeshPolitics #UniversityNews
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















