বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করছে, প্রশাসনের বর্তমান অবস্থাই প্রমাণ করে যে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত ও সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলটি স্পষ্টভাবে জানায়, বর্তমান প্রশাসনিক চিত্র নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সমান প্রতিযোগিতার পরিবেশ এখনো নিশ্চিত নয়
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়াঁ গোলাম পারওয়ার বলেন, নির্বাচন কমিশন এখনো লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের নির্দিষ্ট উদাহরণ তারা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করেছেন। তার মতে, পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচনকে সমান প্রতিযোগিতার সুযোগপূর্ণ বলা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক
ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে পারওয়ার প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাছির উদ্দিন এবং চার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা কমিশনকে বলেন, নির্বাচনকে সবার জন্য সমান করতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
পারওয়ার উল্লেখ করেন, নির্বাচনসূচি ঘোষণার পর প্রশাসনিক ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যাবে—তাই আগে থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
প্রশাসন পুনর্গঠনের সুপারিশ
জামায়াত প্রয়োজনে প্রশাসন পুনর্গঠন করার পরামর্শ দেয়। পারওয়ার বলেন, যদি কোনো কর্মকর্তা সূচি ঘোষণার পর প্রকাশ্যে নিরপেক্ষতার লঙ্ঘন করেন, তারা তা কমিশনের নজরে আনবেন।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান নিয়ে উদ্বেগ
দেশজুড়ে পুলিশ স্টেশন থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার প্রস্তাবও জানায় জামায়াত। পারওয়ার বলেন, যেসব ব্যক্তি অবৈধ অস্ত্রধারী, তারা যাতে নির্বাচন বিঘ্নিত বা ভোটারদের আতঙ্কিত করতে না পারে—সেই লক্ষ্যেই অভিযান শক্তিশালী করা দরকার।
ভোটের নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা
জামায়াত আরও কিছু প্রস্তাব দেয়—
• প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা
• বিজিবি ও সেনা মোতায়েন
• প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন সহজ করা
সময়সূচি নিয়ে প্রত্যাশা
পারওয়ার বলেন, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো রমজানের আগেই ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জনগণও একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায়।
তাই নির্বাচনসূচি ঘোষণার বিষয়ে কমিশনের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত তারা জানতে চান।
সূচি ঘোষণার আশ্বাস
কমিশন তাদের জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন বিলম্বিত হবে কি না—এ প্রশ্নে পারওয়ার বলেন, এখন পর্যন্ত তাদের এমন কোনো শঙ্কা নেই। কমিশনের আশ্বাসের ওপর তারা ভরসা রাখতে চান।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্য
এ টি এম মাসুম, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মতিউর রহমান আকন্দ, আহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং জসিম উদ্দিন সরকার প্রতিনিধিদলে ছিলেন।
#tags: BangladeshElection JamaatEC Meeting
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















