২০২৫ সালে ছোট পর্দায় এসেছে ব্যতিক্রমী সব সিরিজ—কূটনীতি, যুদ্ধ, অফিস-জীবন, অপরাধ ও মানবিক সম্পর্কের গভীর টানাপোড়েন নিয়ে। দর্শকপ্রিয়তা ও সমালোচনার বিচারে এই তালিকায় উঠে এসেছে বছরের সবচেয়ে আলোচিত কিছু শো।
কৈশোরের অন্ধকার সত্য: “অ্যাডোলেসেন্স (Adolescence)”
১৩ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে সহপাঠী হত্যার অভিযোগ। পুরুষত্ব, অনলাইন ব্রেইনওয়াশিং ও মানসিক চাপের মতো বিষয়গুলোকে ঘিরে সিরিজটি এক ভীতিকর কিন্তু মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা।
স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই: “অ্যান্ডর (Andor)”
স্টার ওয়ার্স (Star Wars)–এর বিশ্বে তৈরি এই রাজনৈতিক থ্রিলারে কাসিয়ান অ্যান্ডর কীভাবে গ্যালাকটিক এম্পায়ারের দমনযন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তার সূক্ষ্ম বর্ণনা।
নতুন প্রতিবেশীর রহস্য: “দ্য বিস্ট ইন মি (The Beast in Me)”
রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায়ী নাইল জারভিস—যিনি স্ত্রীর হত্যায় সন্দেহভাজন—তার পাশে এসে উঠেন এক লেখিকা। দুজনের জীবনই বদলে যায় সত্য ও সন্দেহের বিপজ্জনক খেলায়।
কর্পোরেট জীবনের ব্যঙ্গাত্মক হাসি: “দ্য চেয়ার কোম্পানি (The Chair Company)”
ওহাইওর কর্মী রন ট্রোসপার একটি চেয়ার ভেঙে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোম্পানির বিরুদ্ধে হাস্যরসাত্মক অভিযান শুরু করেন।
জটিল কূটনীতি: “দ্য ডিপ্লোম্যাট (The Diplomat)”
ব্রিটেনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেট ওয়াইলারের সততা তাকে বিপদে ফেলে তার বেপরোয়া স্বামী ও নতুন প্রেসিডেন্টের ষড়যন্ত্রে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হয়।
শেষ বয়সের আকুলতা: “ডাইং ফর সেক্স (Dying for Sex)”
স্টেজ–ফোর ক্যান্সারে আক্রান্ত মলির এক নতুন যাত্রা—দাম্পত্য ভাঙন, নতুন সম্পর্ক এবং শারীরিক আকাঙ্ক্ষার অকপট ও আবেগঘন উপস্থাপন।
হাসির ধারাবাহিকতা: “হ্যাক্স (Hacks)”
ডেবোরা ভ্যান্স অবশেষে পান স্বপ্নের লেট–নাইট টিভি হোস্ট (Late-Night TV Host) হওয়ার সুযোগ; কিন্তু প্রধান লেখিকার জায়গায় ফিরে আসেন তার সাবেক প্রোটেজে (Protégée), যিনি ব্ল্যাকমেলের মাধ্যমে সুযোগটি নেন।
১৫ বছর পর ফিরে আসা অ্যানিমেশন: “কিং অব দ্য হিল (King of the Hill)”
হ্যাঙ্ক হিল এইবার সৌদি আরব থেকে টেক্সাসে ফিরে আসেন। পুরোনো ছন্দ, নতুন ব্যঙ্গ—সব মিলিয়ে সিরিজটি আগের মতোই আকর্ষণীয়।
টিকে থাকার লড়াই: “দ্য লাস্ট অব আস (The Last of Us)”
দ্বিতীয় মৌসুম ভয়, মানবিক প্রতিশোধ ও বেঁচে থাকার লড়াইকে আরও তীব্র করে তোলে। প্রকৃত আতঙ্ক আসে আক্রান্ত দুনিয়া নয়—বরং তাতে বেঁচে থাকা মানুষদের কাছ থেকে।
এক কিংবদন্তির গল্প: “মিস্টার স্করসেজি (Mr Scorsese)”
পাঁচ পর্বের ডকুমেন্টারিতে মার্টিন স্করসেজির শৈশব, পুরোহিত হওয়ার স্বপ্ন ও সিনেমার প্রতি তার বাতিকপূর্ণ ভালোবাসা উঠে এসেছে খোলামেলা ভাবে।
যুদ্ধবন্দী এক সার্জনের কাহিনি: “দ্য ন্যারো রোড টু দ্য ডিপ নর্থ (The Narrow Road to the Deep North)”
রিচার্ড ফ্লানাগানের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি এই সিরিজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বর্মা রেলওয়েতে জাপানিদের হাতে বন্দী অস্ট্রেলীয় সার্জন ডরিগো ইভানসের সংগ্রাম ফুটে ওঠে।
অফিস জীবনের ডার্ক সাই-ফাই: “সেভারেন্স (Severance)”
লুমন ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মীরা মস্তিষ্কে এমন চিপ নেন যা কর্মজীবন ও ব্যক্তিজীবনকে সম্পূর্ণ আলাদা করে দেয়। কাজের “ইনি” ও বাইরের “আউটি”-দের এই বিভক্ত পৃথিবী সিরিজটিকে করেছে অনন্য।
প্রাণঘাতী খেলা আবারও ফিরে: “স্কুইড গেম (Squid Game)”
ঋণে জর্জরিত প্রতিযোগীরা শিশুখেলার প্রাণঘাতী সংস্করণে বাঁচার লড়াইয়ে নামে। নতুন খেলা, নতুন নিষ্ঠুরতা—তৃতীয় ও শেষ মৌসুম আরও নির্মম।
শেষ লড়াইয়ের দিকে: “স্ট্রেঞ্জার থিংস (Stranger Things)”
হকিন্সে ভয়ংকর ভেকনা-র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াই। সিরিজটি শেষের পথে হলেও অতিপ্রাকৃত উত্তেজনা এখনো তীব্র।
বাস্তব কেলেঙ্কারির গল্প: “টক্সিক টাউন (Toxic Town)”
ইংল্যান্ডের করবিতে স্টিল কারখানা সরানোর সময় বিষাক্ত বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে, জন্ম নেয় বহু জন্মগত বিকলতার ঘটনা। এই সিরিজ সেই অভিভাবকদের লড়াই তুলে ধরে।
টানাপোড়েনের প্রেম: “ট্রেসপাসেস (Trespasses)”
উত্তর আয়ারল্যান্ডের অশান্ত সময়—এক তরুণ শিক্ষিকার সঙ্গে বিবাহিত প্রোটেস্ট্যান্ট পুরুষের সম্পর্ক, আর তার পরবর্তী জীবন-ধসের কাহিনি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 




















