নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আবু ধাবির আল ওয়াথবা অঞ্চল এবার আয়োজন করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ উদযাপন। শেখ জায়েদ ফেস্টিভ্যালের হায়ার অর্গানাইজিং কমিটি বিশাল উৎসব কর্মসূচির চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে, যেখানে থাকছে রেকর্ডভাঙা আতশবাজি, বিশ্বের বৃহত্তম ড্রোন শো, এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর ঐতিহ্য-সংস্কৃতি প্রদর্শনী।
উৎসবটি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি: ৬২ মিনিটের আতশবাজি
উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হবে অভূতপূর্ব আতশবাজি প্রদর্শনী। রাত ৮টা থেকে নির্ধারিত পাঁচটি ধাপে আতশবাজি ছোঁড়া হবে, যার মধ্যরাতে পৌঁছাবে মূল প্রদর্শনী। এই আতশবাজি টানা ৬২ মিনিট আকাশ আলোকিত করবে এবং পাঁচটি নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে।
সর্বাধুনিক লঞ্চিং প্রযুক্তি ও ভিজ্যুয়াল সিঙ্ক্রোনাইজেশন ব্যবহার করে এই আলোক শো পুরো এলাকাজুড়ে এক চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা দেবে।
৬,৫০০ ড্রোন একসঙ্গে উড়বে
দর্শনার্থীরা আরও দেখবেন ৬,৫০০ ড্রোনের সমন্বয়ে ২০ মিনিটের এক বৃহৎ প্রদর্শনী। ড্রোনগুলো তৈরি করবে নয়টি বিশাল শিল্প দৃশ্য, যেগুলো বিশ্বে প্রথমবারের মতো উপস্থাপিত হবে। ডিজিটাল কাউন্টডাউন ও আতশবাজির সঙ্গে এই ড্রোন শো হবে একীভূত ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা, যা উৎসবের প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে আরও সামনে নিয়ে আসবে।

সহযোগী সংস্থার অংশগ্রহণ
নতুন বছরের এই আয়োজনে সরকারি অংশীদার, প্রযুক্তি সহযোগী এবং আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক দলগুলো নিজস্ব প্যাভিলিয়ন বা ইন্টারঅ্যাকটিভ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশ নেবে। তাদের অবদান থাকবে
এমিরাটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি প্রদর্শন
আলোক, লেজার ও ড্রোন প্রযুক্তি প্রদান
আন্তর্জাতিক শিল্প ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন
উৎসব ব্যবস্থাপনা জানিয়েছে, এসব সহযোগিতা বড় জাতীয় আয়োজনকে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং উৎসবটিকে বিনোদন, উদ্ভাবন ও সংস্কৃতির সম্মিলিত আন্তর্জাতিক আসর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
ঐতিহ্যবাহী আমিরাতি পরিবেশনা
উৎসবের মাটিতে থাকবে আল আয়ালা, আল রজফা ও আল নাদবা—এমন শত শত শিল্পীর অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সংগীত। পাশাপাশি বিদেশি দলগুলোর জনপ্রিয় পরিবেশনাও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে।
দেশভিত্তিক প্যাভিলিয়নগুলোতে কার্নিভাল, সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং শিশুদের জন্য শিশু থিয়েটার ও অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সিটির বিশেষ কার্যক্রম থাকবে। ডিসেম্বর ২০২৫-এ চালু হওয়া এই পার্ক উৎসবের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা
দর্শনার্থীদের নির্বিঘ্ন চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিটি ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে
প্রবেশ ও প্রস্থান পথ বাড়ানো
হাঁটার পথ প্রশস্ত করা
মাঠপর্যায়ে বিশেষায়িত দল মোতায়েন
নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মেডিক্যাল সেবার উন্নতি
নিরাপত্তা বজায় রাখতে পূর্ণ ধারণক্ষমতা পূরণ হলে প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাই দর্শকদের আগাম টিকিট বুকিং এবং উৎসবের অফিসিয়াল চ্যানেল অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রযুক্তি ও ঐতিহ্যের সম্মিলিত উৎসব
বিশ্বমানের প্রযুক্তি ও খাঁটি এমিরাটি ঐতিহ্যের সমন্বয়ে শেখ জায়েদ ফেস্টিভ্যাল নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরা এখানে উদযাপন করবেন ২০২৬ সালের অনন্য ও অসাধারণ নববর্ষ রজনী।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















