থ্রিল খোঁজা থেকে নিরাপত্তা সংকটে
অস্ট্রেলিয়ার পার্থে মেটালিকার সাম্প্রতিক কনসার্টে দুই তরুণ ভক্তের দুঃসাহসিক কাণ্ড শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য আজীবন নিষেধাজ্ঞা বয়ে এনেছে। আদালতের নথি অনুযায়ী, তারা প্রথমে সিকিউরিটি ফেন্স টপকে স্পিকার ধরে তৈরি উচ্চ টাওয়ারের দিকে দৌড় দেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় ৫০ মিটার পর্যন্ত উঠে যান। প্রায় ২০ মিনিট তারা সেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় নিচের দর্শক ও স্টেডিয়াম কর্মীরা গভীর উদ্বেগে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ কেউ উল্লাস করলেও অনেক দর্শক মোবাইল ক্যামেরা নামিয়ে উদ্বিগ্ন চোখে উপর দিকে তাকিয়ে আছে। নিরাপত্তাকর্মীদের একাংশকে তখন টাওয়ারের কাঠামো স্থিতিশীল আছে কি না, পড়ে গেলে নিচে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কতটা—এসব হিসাব কষতে হয়।

শাস্তি, নজির ও বড় কনসার্টের ভবিষ্যৎ
দুই তরুণ আদালতে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, তারা ঘটনার পরিণতি এতটা ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবেননি। ম্যাজিস্ট্রেট রায় ঘোষণাকালে মন্তব্য করেন, “মদ্যপ অবস্থায় কয়েক মিনিটের উত্তেজনা হাজারো মানুষের জীবনের ঝুঁকিতে পরিণত হতে পারত।” অপটাস স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ পরে নিশ্চিত করেছে, এই দুইজনকে ভবিষ্যতে স্টেডিয়ামে আয়োজিত কোনো ইভেন্টেই ঢুকতে দেওয়া হবে না—এটি অন্যদের জন্যও কঠোর বার্তা। আয়োজক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বড় কনসার্টে ব্যারিকেডের নকশা, ক্যামেরা কভারেজ এবং ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ দ্রুত শনাক্ত করার পদ্ধতি নতুন করে পর্যালোচনা করছেন। ভক্তদের অনলাইন আলোচনায়ও এখন প্রশ্ন—রক অ্যান্ড রোলের ‘উচ্ছৃঙ্খলতা’ আর অন্যের নিরাপত্তা বিপন্ন করার মাঝে সীমারেখা কোথায়। বিশ্বজুড়ে বড় ট্যুরগুলো যেমন আরও উঁচু স্টেজ, ভারী রিগিং আর আগুনের খেলা দিয়ে চোখ ধাঁধাচ্ছে, তেমনি পার্থের এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে—এক মুহূর্তের বেপরোয়াতাই পুরো রাতের স্মৃতি বদলে দিতে পারে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















