ইউনিলিভারের কঠোর চাপের মুখেও বেন অ্যান্ড জেরিসের স্বাধীন বোর্ডের চেয়ার অনুরাধা মিত্তল স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি পদ ছাড়বেন না। ম্যাগনাম আইসক্রিম বিভাগ আলাদা কোম্পানি হিসেবে বাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে পুরোনো বিরোধ আরও তীব্র হয়েছে।
ইউনিলিভার–বেন অ্যান্ড জেরিস দ্বন্দ্বের মূল কারণ
ইসরায়েল দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে বেন অ্যান্ড জেরিসের রাজনৈতিক অবস্থান দীর্ঘদিন ধরে ইউনিলিভারের সঙ্গে টানাপোড়েন সৃষ্টি করেছে। এখন ম্যাগনাম আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউরোনেক্সট (ইউ-রো-নেক্সট) বাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে, আর এই নতুন পথচলার আগেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্য হয়েছে।
অডিট রিপোর্টকে ‘ষড়যন্ত্র’ বললেন মিত্তল
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেন অ্যান্ড জেরিস ফাউন্ডেশনের অডিটে আর্থিক তদারকি ও পরিচালনায় দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে। অনুরাধা মিত্তল এটিকে “গঠিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত” বলে দাবি করেন। তার ভাষায়, এটি তাকে এবং বোর্ডকে দুর্বল করার চেষ্টা। তিনি স্পষ্ট বলেন—তিনি পদ ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা করছেন না।

ইউনিলিভার ও ম্যাগনামের ব্যাখ্যা
ইউনিলিভারের বক্তব্য—অডিট করা হয়েছে সুশাসনের অংশ হিসেবে। ম্যাগনাম জানিয়েছে—কোম্পানিটি ইউনিলিভার থেকে আলাদা হওয়ার আগে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই অডিটের আয়োজন করা হয়। তাদের ভাষায়, “এটি কোনো ব্যক্তিগত বিষয় নয়, বরং ভালো পরিচালন নীতির প্রয়োগ।”
ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন নিয়ে নতুন অভিযোগ
ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টিরা বলছেন, মিত্তলকে সরানোর চাপে রাখা হচ্ছে এবং অডিটে সহযোগিতা করা সত্ত্বেও ফাউন্ডেশনের তহবিল আটকে রাখা হয়েছে। ম্যাগনামের দাবি—২০২৫ সালের অর্থ তারা ইতিমধ্যে দিয়েছে এবং প্রশাসনিক সংশোধন হলে ভবিষ্যতেও দেবে।
দুই দশকের কাঠামো হঠাৎ সমস্যা কেন?
বেন অ্যান্ড জেরিসের স্বাধীন বোর্ড গত কয়েক বছরে দুইবার ইউনিলিভারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে—সর্বশেষ অভিযোগ ছিল গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি। বোর্ডের আইনজীবীরা বলেন, ফাউন্ডেশনের পরিচালনা নীতি দুই দশক ধরে অপরিবর্তিত। তাদের প্রশ্ন—“তাহলে কি ইউনিলিভার এত বছর ঘুমিয়ে ছিল, নাকি এই চাপের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে?”
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















