০২:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
নাইজেরিয়ায় খরা মৌসুমের চাষাবাদ ধীরগতি: ধান–মকাই–গমের দামের পতনে কৃষকের অনাগ্রহ ওয়াশিংটন ডিসির গুলিবর্ষণের পর ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপ: যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিবাসনেও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা গুগল কি এনভিডিয়ার ‘একচেটিয়া আধিপত্য’ ভেঙে দিচ্ছে? এআই চিপ দৌড়ে নতুন শক্তির উত্থান স্পেনে ফ্রাঙ্কোর মতাদর্শের ‘পুনর্জাগরণ’? ৫০ বছর পরও কর্তৃত্ববাদী অতীতের ছায়া ফ্রান্সের গ্রাভেলিনসে ছোট নৌকার ফ্রন্টলাইন: ব্রিটেনে যাওয়ার অপেক্ষায় আটকে ৩ হাজার অভিবাসী টম স্টপার্ড আর নেই: বুদ্ধিদীপ্ত ভাষা, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও থিয়েটারের নতুন দিগন্ত তৈরি করা কিংবদন্তির বিদায় ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ? রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের নতুন জীবনী: ‘মাস্টার স্টোরিটেলার’-এর জীবনে আলো–ছায়ার চিত্র ব্রিটেনে কমছে পাফিন, মহাকাশে বেঁচে ফিরল শেওলা, আর স্টোন এজ ‘চুইংগাম’-এ চমক—বিজ্ঞান বলছে কী পাকিস্তানে ‘নতুন যুগের অভ্যুত্থান’? সেনাপ্রধান আসিম মুনীরের হাতে সর্বময় ক্ষমতা নিয়ে চাঞ্চল্য

ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ?

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও গত ৫০ বছরে ব্রিটিশদের সবজি খাওয়ার হার কমেছে। সরকারের ডেফরা পরিচালিত ফ্যামিলি ফুড সার্ভে–তে দেখা গেছে, গড় একজন মানুষ সপ্তাহে এখন খান প্রায় ১ কেজি সবজি; ১৯৭৪ সালে তা ছিল ১.২ কেজি। শুধু পরিমাণই নয়, সবজির ধরনেও এসেছে বড় পরিবর্তন—ক্যাবেজ, স্প্রাউটস, মটরশুঁটির বদলে এখন বেশি খাওয়া হয় কুর্জেট, শসা ও মাশরুম।

রেডিমেড খাবার ও ক্রিসপ–এর উল্লম্ফন

সার্ভে বলছে, ১৯৭৪ সালের তুলনায় সবজি-ভিত্তিক রেডিমেড মিল খাওয়া বেড়েছে ৭২০% এবং মাংস-ভিত্তিক রেডিমেড মিল বেড়েছে ৫৬০%। ক্রিসপ খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২০০%।
জাতীয় খাদ্য নীতির পরামর্শদাতা হেনরি ডিম্বলবি সতর্ক করেছেন—ব্রিটেন এখন “জাঙ্ক-ফুড চক্রে আটকে গেছে”, যেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া সহজ ও সস্তা, আর ভালো খাবার তুলনামূলকভাবে দামী ও দুর্লভ।

কীভাবে রাখবেন রান্নাঘরের ছুরি তীক্ষ্ণ

অনেকের ঘরেই ভালো মানের রান্নাঘরের ছুরি আছে, কিন্তু কীভাবে তা ধারালো রাখতে হয়—সেটি জানেন না। বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ ন্যাশের পরামর্শ, পুল-থ্রু শার্পনার এড়িয়ে চলতে হবে; এগুলো ধাতু বেশি ঘষে ফেললেও ছুরি ঠিকমতো ধার দেয় না।
হোনিং স্টিল ছুরির ধার সামান্য সোজা করলেও প্রকৃত ধার আনে না। তার বদলে ওয়েটস্টোন ব্যবহার করতে শেখা উচিত—১৫–২০ ডিগ্রি কোণে ভেজা স্টোনের ওপর ছুরি টানলে দীর্ঘদিন স্থায়ী ধার পাওয়া যায়।


আরও কিছু সতর্কতা: ভালো ছুরি কখনো ডিশওয়াশারে দেবেন না, কাচের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করবেন না, আর ছুরি এলোমেলোভাবে ড্রয়ারে রাখবেন না। কাঠের ব্লক বা দেয়ালে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপই সবচেয়ে নিরাপদ।

ব্রিটেনের রেস্তোরাঁয় ‘স্ন্যাক মেনু’ বিপ্লব

আগে রেস্তোরাঁয় স্টার্টার মানেই ছিল রুটি বা জলপাই। এখন অধিকাংশ রেস্তোরাঁতে আলাদা ‘স্ন্যাক মেনু’ রাখা হচ্ছে। পূর্ব লন্ডনের এলিয়ট’স রেস্তোরাঁয় আইল অফ মুল চিজ পাফস—গরম, নরম, ডিপ-ফ্রাইড ক্রোকেট—বেশ জনপ্রিয়।
ব্রিস্টলের কিছু রেস্তোরাঁয় চিকেন–সিসেমি টোস্টের সঙ্গে ব্রাউন ক্র্যাব ও হট-সাওয়ার মায়ো পরিবেশন করা হয়; ম্যানচেস্টারের ফর্বিসি পরিবেশন করে নেপলস–ধাঁচের ফ্রাইড স্ন্যাকস।
বিশ্লেষকদের মতে, স্ন্যাক হলো আধুনিক ব্রিটিশ ডাইনিং ট্রেন্ডের অংশ—অনানুষ্ঠানিক, মজার, খাওয়ার শুরুতেই বরফ গলানো এক পন্থা। পাশাপাশি, ‘ওজেম্পিক প্রজন্ম’-এর প্রভাবও রয়েছে—যারা পুরো মিল না খেয়ে হালকা খাবারে সন্তুষ্ট, কিন্তু বাইরে খেতে যেতে চায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নাইজেরিয়ায় খরা মৌসুমের চাষাবাদ ধীরগতি: ধান–মকাই–গমের দামের পতনে কৃষকের অনাগ্রহ

ব্রিটেনে সবজি খাওয়া কমেছে, বাড়ছে রেডিমেড খাবার–জাঙ্ক ফুডের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে মানুষ?

০১:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও গত ৫০ বছরে ব্রিটিশদের সবজি খাওয়ার হার কমেছে। সরকারের ডেফরা পরিচালিত ফ্যামিলি ফুড সার্ভে–তে দেখা গেছে, গড় একজন মানুষ সপ্তাহে এখন খান প্রায় ১ কেজি সবজি; ১৯৭৪ সালে তা ছিল ১.২ কেজি। শুধু পরিমাণই নয়, সবজির ধরনেও এসেছে বড় পরিবর্তন—ক্যাবেজ, স্প্রাউটস, মটরশুঁটির বদলে এখন বেশি খাওয়া হয় কুর্জেট, শসা ও মাশরুম।

রেডিমেড খাবার ও ক্রিসপ–এর উল্লম্ফন

সার্ভে বলছে, ১৯৭৪ সালের তুলনায় সবজি-ভিত্তিক রেডিমেড মিল খাওয়া বেড়েছে ৭২০% এবং মাংস-ভিত্তিক রেডিমেড মিল বেড়েছে ৫৬০%। ক্রিসপ খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ২০০%।
জাতীয় খাদ্য নীতির পরামর্শদাতা হেনরি ডিম্বলবি সতর্ক করেছেন—ব্রিটেন এখন “জাঙ্ক-ফুড চক্রে আটকে গেছে”, যেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া সহজ ও সস্তা, আর ভালো খাবার তুলনামূলকভাবে দামী ও দুর্লভ।

কীভাবে রাখবেন রান্নাঘরের ছুরি তীক্ষ্ণ

অনেকের ঘরেই ভালো মানের রান্নাঘরের ছুরি আছে, কিন্তু কীভাবে তা ধারালো রাখতে হয়—সেটি জানেন না। বিশেষজ্ঞ ম্যাথিউ ন্যাশের পরামর্শ, পুল-থ্রু শার্পনার এড়িয়ে চলতে হবে; এগুলো ধাতু বেশি ঘষে ফেললেও ছুরি ঠিকমতো ধার দেয় না।
হোনিং স্টিল ছুরির ধার সামান্য সোজা করলেও প্রকৃত ধার আনে না। তার বদলে ওয়েটস্টোন ব্যবহার করতে শেখা উচিত—১৫–২০ ডিগ্রি কোণে ভেজা স্টোনের ওপর ছুরি টানলে দীর্ঘদিন স্থায়ী ধার পাওয়া যায়।


আরও কিছু সতর্কতা: ভালো ছুরি কখনো ডিশওয়াশারে দেবেন না, কাচের কাটিং বোর্ড ব্যবহার করবেন না, আর ছুরি এলোমেলোভাবে ড্রয়ারে রাখবেন না। কাঠের ব্লক বা দেয়ালে ম্যাগনেটিক স্ট্রিপই সবচেয়ে নিরাপদ।

ব্রিটেনের রেস্তোরাঁয় ‘স্ন্যাক মেনু’ বিপ্লব

আগে রেস্তোরাঁয় স্টার্টার মানেই ছিল রুটি বা জলপাই। এখন অধিকাংশ রেস্তোরাঁতে আলাদা ‘স্ন্যাক মেনু’ রাখা হচ্ছে। পূর্ব লন্ডনের এলিয়ট’স রেস্তোরাঁয় আইল অফ মুল চিজ পাফস—গরম, নরম, ডিপ-ফ্রাইড ক্রোকেট—বেশ জনপ্রিয়।
ব্রিস্টলের কিছু রেস্তোরাঁয় চিকেন–সিসেমি টোস্টের সঙ্গে ব্রাউন ক্র্যাব ও হট-সাওয়ার মায়ো পরিবেশন করা হয়; ম্যানচেস্টারের ফর্বিসি পরিবেশন করে নেপলস–ধাঁচের ফ্রাইড স্ন্যাকস।
বিশ্লেষকদের মতে, স্ন্যাক হলো আধুনিক ব্রিটিশ ডাইনিং ট্রেন্ডের অংশ—অনানুষ্ঠানিক, মজার, খাওয়ার শুরুতেই বরফ গলানো এক পন্থা। পাশাপাশি, ‘ওজেম্পিক প্রজন্ম’-এর প্রভাবও রয়েছে—যারা পুরো মিল না খেয়ে হালকা খাবারে সন্তুষ্ট, কিন্তু বাইরে খেতে যেতে চায়।