নাইজেরিয়ায় এ বছরের শুষ্ক মৌসুমের (dry season) চাষাবাদ শুরু হয়েছে মন্থর গতিতে। ধান, ভুট্টা ও গমসহ প্রধান খাদ্যশস্যের দামে বড় ধরনের পতন হওয়ায় কৃষকেরা বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
গত বছর একই সময়ে হাজারো কৃষক সেচনির্ভর জমির সন্ধানে গ্রাম ছাড়তেন, কারণ শস্যের দাম ছিল আকর্ষণীয়। কিন্তু বর্তমানে বাজারদর কমে যাওয়ায় অনেকেই ক্ষতির মুখে—ফলে এ মৌসুমে হয় চাষাবাদে অংশ নেবেন না, নতুবা খুব সীমিত পরিসরে করবেন।
সরকারের ৫ লাখ হেক্টর সেচপ্রকল্প—তবুও শঙ্কা কাটছে না
কৃষি ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. আলিউ সাবি আবদুল্লাহি জানান, সরকার সারা বছর কৃষি উৎপাদন নিশ্চিত করতে ৫ লাখ হেক্টর জমিতে সেচনির্ভর চাষাবাদ কর্মসূচি চালু করেছে। প্রথম ধাপে ১৫টি রাজ্যে গম, আর দ্বিতীয় ধাপে ধান, মকাই ও ক্যাসাভা নিয়ে কাজ চলছে।
তবে মাঠপর্যায়ের কৃষকেরা বলছেন—উৎপাদন ব্যয়, সারের দাম, বীজ ও অন্যান্য উপকরণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক নয়।

বিশাল সম্ভাবনা, কম ব্যবহার
নাইজেরিয়ার মোট ৩.১ মিলিয়ন হেক্টর জমির সম্ভাব্য সেচযোগ্য অংশের অর্ধেকও এখনো ব্যবহার হচ্ছে না।
দেশটিতে ৪০৮টি বাঁধ রয়েছে—যার মধ্যে ১৪২টি বড়, ৫৯টি মাঝারি ও ২০৭টি ছোট বাঁধ—যা আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া ১২টি রিভার বেসিন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি রয়েছে, যেগুলোর যৌথ সক্ষমতা ১,৫৪,০০০ হেক্টর জমি সেচে ব্যবহারের।
তবে কৃষকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা না পেলে এসব জমির বড় অংশেই এ মৌসুমে কার্যক্রম দেখা যাবে না বলে মনে করছে স্থানীয় গণমাধ্যম Weekend Trust।
শস্যের দামের পতন, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং যথাযথ সহায়তার অভাব—এই তিনের ফাঁদে পড়ে দেশের শুষ্ক মৌসুমের কৃষি উৎপাদন বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















