লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নন। তিনি বললেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও গভর্নর শাসন চাপিয়ে দেওয়া তাদের দলের দাবি নয়। বরং তিনি চান, সেখানকার রাজনৈতিক দল নিজেদের আচরণ ও কার্যক্রমের মানোন্নয়ন করুক।
নিষেধাজ্ঞা নয়, আচরণ সংশোধনের তাগিদ
দেশের কয়েকজন মন্ত্রীর মুখে যখন পিটিআইকে নিষিদ্ধ করার দাবি শোনা যাচ্ছে, ঠিক তখনই বিলাওয়াল জানালেন তার অবস্থান। তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য ক্ষতিকর। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক শক্তি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বাধা সৃষ্টি করে বা সন্ত্রাসীদের পরোক্ষ সহযোগী হয়ে ওঠে, তবে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

কে-পি-তে গভর্নর শাসন নিয়ে তীব্র বিতর্ক
আইন প্রতিমন্ত্রী আকিল মালিকের বক্তব্যের পর কে-পি-তে গভর্নর শাসন দেওয়া নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও দুর্বল প্রশাসন নিয়ে কেন্দ্রের ভাবনা অত্যন্ত গুরুতর। অন্যদিকে পিটিআই-সমর্থিত মুখ্যমন্ত্রী সোহাইল আফ্রিদি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, চাইলে কেন্দ্রীয় সরকার গভর্নর শাসন জারি করে দেখাক।
পিটিআই–পিপিপি যোগাযোগ উদ্যোগের ইঙ্গিত
এ সময় আলোচনায় উঠে আসে নতুন তথ্য—পিটিআই নাকি বহু-পক্ষীয় বিরোধী জোট তেহরিক তাহাফফুজ-এ-আইন পাকিস্তানের মাধ্যমে পিপিপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। সূত্র বলছে, দুই দিনের জাতীয় সম্মেলনে পিপিপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে পিএমএল-এনকে বাদ দেওয়া হবে এই আলোচনার বাইরে। পিটিআই আরও জানিয়েছে, সরকারে সঙ্গে যে কোনো সংলাপ শুরু করার আগে তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের, বিশেষ করে মাহমুদ আচাকজাইসহ কয়েকজনকে কারাবন্দী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দিতে হবে।

নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কা
বিলাওয়াল বলেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় যুদ্ধাবস্থার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও জানান, আফগানিস্তান থেকে আসা হুমকি বাস্তবে রূপ নিচ্ছে এবং সীমান্তের ওপার থেকে আসা সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তিনি স্বীকার করেন, দেশের সশস্ত্র বাহিনী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতিকে সীমার মধ্যে রাখার ডাক
পিপিপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, কিছু রাজনৈতিক শক্তি দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করতে চাইছে। তিনি বলেন, একটি দল জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে, যেন তারা এক ধরনের ‘রাজনৈতিক দাজ্জাল’-এর মতো আচরণ করছে। তিনি সকল দলকে সংযমী হয়ে রাজনীতি করার আহ্বান জানান।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















