নীরব কূটনীতির চ্যালেঞ্জ
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধ সমাধানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সাধারণত যে নীরব কূটনীতি বা শান্ত আলোচনার পথ অনুসরণ করে, তা ক্ষমতার বৈষম্যের কারণে এখন কঠিন হয়ে উঠছে। এমন মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তাবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।
আসিয়ান পদ্ধতি ও চীনের দৃষ্টিভঙ্গি
চীনা বিশ্লেষকরা বলেছেন, বেইজিংও আসিয়ানের প্রচলিত কূটনৈতিক পদ্ধতি বা ‘আসিয়ান ওয়ে’ সমর্থন করে—তবে শর্ত হলো বিরোধগুলো যেন দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা হয়। তারা সতর্ক করেন, বাহ্যিক শক্তির হস্তক্ষেপ ও বড় শক্তির রাজনীতি আসিয়ানের অভ্যন্তরীণ ঐক্যকে দুর্বল করতে পারে।

সংবেদনশীলতার কারণে নীরব আলোচনার প্রবণতা
মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক রুহানাস হারুন বলেন, সামুদ্রিক বিরোধে আসিয়ান দেশগুলো নীরব আলোচনার পথ বেছে নেয়, কারণ অনেক সংবেদনশীল বিষয় প্রকাশ্যে বলা বা তুলে ধরা সম্ভব নয়।
অবস্থান সমন্বয়ের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া
তিনি হাইনানে এক সামুদ্রিক সিম্পোজিয়ামে বলেন, দেশগুলো সাধারণত প্রথমে শান্ত আলোচনার চেষ্টা করে এবং কোনো অবস্থান বিশ্বকে দেখানো হবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে।

বহুপাক্ষিক সংলাপের প্রতি ঝোঁক
হারুন জানান, আসিয়ান সদস্যরা দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এমনকি ছোট পরিসরের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান খোঁজে। তবে কোন কোন বিরোধে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে, তা তিনি স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি।
মালয়েশিয়া–ইন্দোনেশিয়া দ্বীপ-বিরোধ: একটি উদাহরণ
হারুন উদাহরণ দেন মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে সিপাদান ও লিগিতান দ্বীপ নিয়ে সীমানা বিরোধের কথা। উভয় দেশই পরস্পরের সঙ্গে আলোচনার পর বিষয়টি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে নিয়ে যেতে সম্মত হয়। ২০০২ সালে আদালত এই রায় মালয়েশিয়ার পক্ষে দেয় এবং বিরোধের সমাধান হয়।

# দক্ষিণ_চীন_সাগর আসিয়ান নীরব_কূটনীতি মালয়েশিয়া_ইন্দোনেশিয়া চীন কূটনৈতিক_বিরোধ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















