সিঙ্গাপুরের গাড়ির বাজারে বড় পরিবর্তনের ছবি ধরা পড়ল স্ট্রেইটস টাইমসের বছরের সেরা গাড়ি পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকায়। দুই হাজার পঁচিশ সালের জন্য বাছাই হওয়া শীর্ষ দশ গাড়ির মধ্যে আটটিই চীনা নির্মাতার, যেখানে জাপান ও ইউরোপের মাত্র দুটি মডেল জায়গা করে নিয়েছে।
বাছাইয়ের পরিসর ও সময়কাল
এই পুরস্কারের এটি তেইশতম বছর। দুই হাজার চব্বিশ সালের মাঝামাঝি নভেম্বর থেকে দুই হাজার পঁচিশ সালের মাঝামাঝি নভেম্বর পর্যন্ত অনুমোদিত এজেন্টদের মাধ্যমে পর্যালোচিত নতুন গাড়িগুলো মূল্যায়নে রাখা হয়। এবারের আসরে বিবেচনায় আসে একান্নটি নতুন মডেল। এই সময়ে আসা ফেসলিফট বা আলাদা ভ্যারিয়েন্টগুলো তালিকায় ধরা হয়নি।
বিদ্যুৎচালিত গাড়ির উত্থান
চূড়ান্ত দশে কোনো খাঁটি জ্বালানিচালিত গাড়ি নেই। নয়টি গাড়ি পুরোপুরি বিদ্যুৎচালিত এবং একটি পেট্রোল-হাইব্রিড। মাত্র দুই বছর আগেও তালিকায় জ্বালানিচালিত গাড়ির উপস্থিতি ছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাজারের রুচি দ্রুত বদলেছে।
গাড়ির ধরন ও ব্যবহারিক দিক
শীর্ষ দশের মধ্যে ছয়টি স্পোর্টস ইউটিলিটি যান, তিনটি সাত আসনের বহুমুখী পারিবারিক যান এবং একটি চার দরজার সেলুন। ব্যবহারিক সুবিধা ও দামের সঠিক মানের ওপর জোর দেওয়ায় এই ধরনের গাড়িগুলোর আধিপত্য দেখা যাচ্ছে।
বিওয়াইডির শক্ত অবস্থান ও নতুন ব্র্যান্ড
চীনা নির্মাতা বিওয়াইডি একাই তিনটি মডেল নিয়ে তালিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে। গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি নতুন গাড়ি বাজারে আনার ফলই এতে স্পষ্ট। পাশাপাশি নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে স্পেনের কুপরা এবং যৌথ উদ্যোগের আইএম মোটরস প্রথমবারের মতো তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। এই দুই ব্র্যান্ডই গত বারো মাসে সিঙ্গাপুরে যাত্রা শুরু করেছে।
মূল্যায়নের মানদণ্ড
গাড়িগুলোকে নয়টি বিষয়ে বিচার করা হয়েছে, যার মধ্যে পারফরম্যান্স, চালনানুভূতি, আরাম, নির্মাণমান, ব্যবহারিক সুবিধা, দক্ষতা, নকশা, দামের মূল্য এবং বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। ব্যবহারিক দিক ও দামের মানকে তুলনামূলক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে শুধু চালকের অভিজ্ঞতা নয়, দৈনন্দিন ব্যবহারও বিবেচনায় থাকে। এই পদ্ধতি দুই হাজার বাইশ সাল থেকে চালু।
ফল ঘোষণার অপেক্ষা
চূড়ান্ত দশে থাকতে হলে নিজ নিজ শ্রেণিতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকতে হয়েছে। কোন গাড়ি শেষ পর্যন্ত বছরের সেরা হয়, তা জানা যাবে উনিশ ডিসেম্বর।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















