দেশের পুঁজিবাজারে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বড় ধরনের দরপতন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সোমবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম—উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেই সূচক কমেছে, অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম নেমেছে এবং লেনদেনের পরিমাণও স্পষ্টভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চিত্র
লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে যায়। শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস সূচক ১১ পয়েন্ট এবং ভালো মানের শেয়ার নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট হারায়।
দিনজুড়ে বাজারে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। এদিন ২৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দর কমে যায়, অল্পসংখ্যক কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়ে এবং ৪৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
ব্লক মার্কেটে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ফাইন ফুডসের শেয়ার লেনদেনই ছিল প্রায় ১০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেনের পরিমাণও কমে আসে। সোমবার শেয়ার ও ইউনিট মিলিয়ে লেনদেন হয় প্রায় ৪১৩ কোটি টাকার, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৪৫৭ কোটি টাকা।
এদিন দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে ছিল ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিপরীতে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে ছিল এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম ৮ শতাংশের বেশি কমেছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই ধরনের নেতিবাচক চিত্র দেখা গেছে। এদিন সিএএসপিআই সূচক ৭৬ পয়েন্ট কমে যায়।
এ বাজারে ৯৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে, ৪৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে এবং ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তিত ছিল।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সোমবার মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার, যেখানে আগের দিন লেনদেন ছিল প্রায় ১২ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম বাজারে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম ৯ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম ১৬ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
#StockMarket #BangladeshEconomy #DSE #CSE #CapitalMarket #ShareMarket #MarketDownturn
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















