নীতি সংকেত বিনিয়োগকারীদের মনোভাব গড়ে দিচ্ছে
মঙ্গলবার বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে ছিল সংযত গতি। প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নতুন বার্তায় ২০২৬ সালে সুদের হার কমানোর গতি ধীর হতে পারে—এমন ইঙ্গিত পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থান নেয়। ইউরোপ ও এশিয়ার শেয়ার সূচকগুলো মিশ্রভাবে লেনদেন শেষ করে, আর যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার প্রায় অপরিবর্তিত থাকে। বন্ডের ফলন কিছুটা বাড়ে, যা দীর্ঘ সময় কড়াকড়ি নীতি বজায় থাকার প্রত্যাশা প্রতিফলিত করে।

মুদ্রাবাজারেও বড় ওঠানামা হয়নি। ডলার সামান্য শক্তিশালী হয়, কারণ ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে নতুন করে হিসাব কষছেন ট্রেডাররা। পণ্যদামের স্থিতিশীলতা ও বড় ভূরাজনৈতিক ধাক্কার অভাবে উদীয়মান বাজারের মুদ্রাগুলো তুলনামূলক স্থির ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, স্পষ্ট দিকনির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বড় বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে যেতে চাইছেন না অনেকেই।
নীতি ঝুঁকি এখনো কেন্দ্রে
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি কমলেও লক্ষ্যমাত্রায় ফেরার পথ মসৃণ হবে—এমন নিশ্চয়তা নেই। সেবাখাতে মূল্যচাপ ও শ্রমবাজারের দৃঢ়তা দেখিয়ে তারা আগেভাগে নীতি শিথিল না করার আহ্বান জানান। এতে মাসের শুরুতে নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতির তথ্য ঘিরে তৈরি হওয়া আশাবাদ কিছুটা কমে যায়।
![]()
এখন বিনিয়োগকারীরা ২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধি নিয়ে প্রত্যাশা নতুন করে সাজাচ্ছেন। অর্থনীতিবিদদের মতে, কঠোর আর্থিক পরিবেশ বিনিয়োগে চাপ ফেলতে পারে, তবে ভোক্তা ব্যয় আশঙ্কার চেয়ে ভালো আছে। পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপকদের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান ও উৎপাদনশীলতা ও জ্বালানি রূপান্তর–সংযুক্ত খাতে নির্বাচিত ঝুঁকি নেওয়ার ভারসাম্য রাখা।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















