প্যারিসের ফ্যাশন মঞ্চে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। চ্যানেলের নতুন সৃজনশীল পরিচালক ম্যাথিউ ব্লাজির প্রথম প্রদর্শনী শুধু একটি শো নয়, বরং দীর্ঘ প্রস্তুতি, নীরব চাপ আর নিখুঁততার সাধনার ফল। কয়েক মাস ধরে চলা এই প্রস্তুতির প্রতিটি স্তরেই ছিল শৃঙ্খলা, পরীক্ষানিরীক্ষা আর ঐতিহ্যকে নতুনভাবে দেখার সাহস। ভোগে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই আড়ালের গল্প, যেখানে সাফল্যের ঝলকানির আগে ছিল নিভৃত পরিশ্রমের দীর্ঘ পথচলা
চ্যানেলের উত্তরাধিকার আর নতুন ভাষা
চ্যানেল মানেই শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য, সূক্ষ্ম কারুশিল্প আর নির্ভুল নান্দনিকতা। সেই ভারী উত্তরাধিকার কাঁধে নিয়ে ম্যাথিউ ব্লাজি শুরু থেকেই জানতেন, এখানে হঠাৎ করে কিছু বদলে দেওয়া যাবে না। বরং পরিচিত সিলুয়েট, কাপড়ের স্পর্শ আর নির্মাণশৈলীর ভেতর দিয়েই নতুন ভাষা তৈরি করতে হবে। প্রস্তুতির প্রতিটি দিনে তিনি দলকে নিয়ে ফিরেছেন পুরনো নকশার আর্কাইভে, আবার একই সঙ্গে নজর রেখেছেন সমসাময়িক বাস্তবতায়।
মাসব্যাপী প্রস্তুতির নীরব চাপ
এই শোর প্রস্তুতি ছিল মাসব্যাপী এক গভীর প্রক্রিয়া। কাপড় বাছাই থেকে শুরু করে কাটিং, ফিটিং আর আলো পরিকল্পনা—সবকিছুই হয়েছে ধাপে ধাপে। সহকর্মীদের ভাষায়, ব্লাজির কাজের ধরন ছিল শান্ত কিন্তু দৃঢ়। তিনি তাড়াহুড়ো করেননি, আবার কোনো আপসও করেননি। প্রতিটি পোশাক যেন নিজস্ব গল্প বলে, সেটিই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য।

প্রথম শো, দর্শকের আবেগ
অবশেষে যখন প্রথম প্রদর্শনী মঞ্চে এলো, দর্শকের প্রতিক্রিয়া ছিল উচ্ছ্বসিত। সমালোচকরা বলছেন, এই শোতে চ্যানেলের পরিচিত সৌন্দর্য অক্ষুণ্ন থেকেছে, আবার একই সঙ্গে দেখা গেছে এক নতুন আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টিভঙ্গি। র্যাম্পে হাঁটা প্রতিটি পোশাক যেন জানিয়ে দিয়েছে, ব্র্যান্ডটি অতীতকে সম্মান করেই ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে।
ফ্যাশন জগতে ব্লাজির বার্তা
এই অভিষেক শোর মধ্য দিয়ে ম্যাথিউ ব্লাজি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি শুধু উত্তরাধিকার রক্ষা করতে আসেননি, বরং সেটিকে সময়ের সঙ্গে সংলাপে আনতেই তার যাত্রা। চ্যানেলের ভবিষ্যৎ পথচলায় তাই দেখা যেতে পারে আরও পরিমিত কিন্তু গভীর পরিবর্তন, যেখানে নীরব পরিশ্রমই হবে সবচেয়ে বড় শক্তি।
#চ্যানেল #ম্যাথিউব্লাজি #ফ্যাশনসংবাদ #ফ্যাশনদুনিয়া #প্যারিসফ্যাশন #সৃজনশীলপরিচালক
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















