সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম—উভয় বাজারেই প্রধান সূচক কমেছে। তবে লেনদেনের চিত্রে ভিন্নতা দেখা গেছে। ঢাকার বাজারে লেনদেন কমলেও চট্টগ্রামের বাজারে তা বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিস্থিতি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দিন শেষে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স চার পয়েন্ট কমেছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস এক পয়েন্ট এবং বড় মূলধনি কোম্পানির সূচক ডিএসথার্টি ছয় পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। সূচক কমলেও বাজারে অংশ নেওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এদিন একশ একষট্টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, একশ সাতান্নটির দর কমেছে এবং সত্তরটি কোম্পানির শেয়ারের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ব্লক মার্কেট ও লেনদেনের চিত্র
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে প্রায় উনিশ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিশটি কোম্পানির। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির শেয়ারে, যার পরিমাণ সাত দশমিক ছয় কোটি টাকা। সার্বিকভাবে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে দুইশ তিরানব্বই কোটি টাকায়, যা আগের কার্যদিবসে ছিল তিনশ তিন কোটি টাকা।
শেয়ারের দর বাড়া ও কমার চিত্র
দিনের লেনদেনে রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসি শীর্ষ লাভের তালিকায় উঠে এসেছে। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দশ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে ফ্যামিলিটেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারের দর আট শতাংশের বেশি কমে দিনের সর্বোচ্চ দরপতনের শিকার হয়েছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের অবস্থা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সূচক পতন হয়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক ক্যাসপি তেষট্টি পয়েন্ট কমেছে। এ বাজারে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। চুরানব্বইটি কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে, পঁয়তাল্লিশটির দর বেড়েছে এবং চৌদ্দটির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
লেনদেনে গতি ফেরাল চট্টগ্রাম বাজার
সূচক কমলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে স্পষ্ট উন্নতি দেখা গেছে। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে বারো কোটি টাকা, যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল চার দশমিক পাঁচ কোটি টাকা। রিলায়েন্স ওয়ান মিউচুয়াল ফান্ড শীর্ষ দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে, যার শেয়ারের দাম নয় দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আর দরপতনের তালিকায় সবার নিচে অবস্থান করেছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















