ঢাকা সেনানিবাসে জানাজা
সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর নামাজে জানাজা রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল নয়টা পনেরো মিনিটে জানাজা শুরু হয়।
রাষ্ট্র ও বাহিনীর শীর্ষ প্রতিনিধিদের উপস্থিতি
জানাজায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মো. নজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খানসহ তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শহীদ শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সময়ে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিরাও কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান।
সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত ও দোয়া
জানাজার আগে নিহত প্রত্যেক শান্তিরক্ষীর সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করা হয়। এরপর তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয়
নিহত ছয়জন হলেন নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মণ্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের মেস ওয়েটার মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার লন্ড্রি কর্মী মো. সবুজ মিয়া।
মরদেহ নিজ নিজ জেলায় প্রেরণ
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টারে করে মরদেহগুলো তাঁদের নিজ নিজ বাড়ি জেলায় পাঠানো হয়।
ঢাকায় মরদেহ আগমন
এর আগে শনিবার সকালে বিশেষ একটি উড়োজাহাজে করে নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়।
ড্রোন হামলার পটভূমি
গত তেরো ডিসেম্বর জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে দক্ষিণ সুদানের আবেই এলাকার কাদুগলি লজিস্টিক বেসে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় এই ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হন। একই হামলায় আরও নয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত হন।
আহতদের অবস্থা
হামলায় আহতরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার খালেকুজ্জামান, সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, করপোরাল আফরোজা পারভীন ইতি, ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, সৈনিক মো. উম্মে হানি আখতার, সৈনিক চুমকি আখতার ও সৈনিক মো. মানাজির আহসান।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















