০৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
পাকিস্তানে সেনা শক্তির নতুন অধ্যায়, অসামরিক রাজনীতির সীমা কোথায় গাজা চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ শুরু হতে পারে আগামী বছরের শুরুতেই, বলছে তুরস্ক ইন্ডিয়া টু ডে’র প্রতিবেদন: দীপু দাসের পিটিয়ে হত্যার পর দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে ব্যাপক বিক্ষোভ বৃদ্ধ বাবা-মায়ের চাপ থেকে সন্তানকে বাঁচাতে আগাম প্রস্তুতি, বদলে যাচ্ছে আমেরিকার পরিবারচিত্র উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের দাপট বাড়ছে, সপ্তাহজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা খুলনায় চলতি বছরে ৩৬ হত্যাকাণ্ড, নেপথ্যে অপরাধী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কা সংখ্যাগত আধিপত্যে ড্রোন ঝাঁক, যুদ্ধজয়ের চাবিকাঠি স্যাচুরেশন হামলা: পিএলএ মুখপত্র চকবাজারের গলিতে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন গণতন্ত্রের পথে বাধা দিতে গভীর চক্রান্ত চলছে: মির্জা ফখরুল

কিশোর উদ্যোক্তার এআই বিপ্লব: স্কুলের বেঞ্চ থেকেই গড়ে উঠছে নতুন স্টার্টআপ জগৎ

সকালের স্কুলঘণ্টা শেষ হতেই শুরু হয় অন্য এক জগতের কাজ। পড়ার টেবিলের পাশেই বসে এআইভিত্তিক স্টার্টআপ গড়ার স্বপ্ন দেখছে একদল কিশোর। বয়স পনেরো কি ষোলো, কিন্তু ভাবনায় তারা ইতিমধ্যেই উদ্যোক্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন তাদের জন্য শুধু শেখার বিষয় নয়, বরং ব্যবসা তৈরির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে

এআই সহজ করেছে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের উদ্যোগে এআইভিত্তিক পণ্য ও সেবা তৈরি করছে। উন্নত মডেল ব্যবহার করে আর্থিক বিশ্লেষণ, কোড লেখা কিংবা ব্যবসায়িক পূর্বাভাস দিচ্ছে এসব প্ল্যাটফর্ম। আগে যেখানে বড় দল ও দীর্ঘ সময় লাগত, এখন সেখানে একজন কিশোরও এআইয়ের সহায়তায় কার্যকর পণ্য দাঁড় করাতে পারছে।

These Teenagers Are Already Running Their Own AI Companies - WSJ

স্কুলজীবন আর স্টার্টআপের সমান্তরাল যাত্রা

ওয়াশিংটনের এক পনেরো বছর বয়সী শিক্ষার্থী স্কুলের ক্লাসের ফাঁকেই তৈরি করেছে এআইভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। নিজে খুব বেশি কোড না লিখেও সে বিভিন্ন এআই মডেল ব্যবহার করে সফটওয়্যার চালাচ্ছে। বিনা মূল্যে ব্যবহারযোগ্য এই প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক রূপ নেওয়ার পথে এগোচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের নতুন নজর

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল জগতে এখন বয়স আর বড় বাধা নয়। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এআই জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। কেউ কেউ কিশোর বয়সী প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সরাসরি অর্থ বিনিয়োগে এখনই না গেলেও, তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নজরে রাখছেন। এই বয়সেই শেখার গতি ও সাহসী মানসিকতাকে বড় সম্পদ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

These teenagers are already running their own AI companies

সাফল্যের পাশাপাশি চাপের বাস্তবতা

তবে সবাই মনে করছেন না যে এত অল্প বয়সে উদ্যোক্তার চাপ নেওয়া সহজ। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মতে, ধারণা জন্মানোর জন্য স্কুলজীবন ভালো সময় হলেও, দল গড়া ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য পরবর্তী ধাপগুলো গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ, ব্যর্থতা সামলানো এবং দীর্ঘমেয়াদি ধৈর্য—এসব বিষয় কিশোর বয়সে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভবিষ্যতের ইঙ্গিত

সবকিছু মিলিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন প্রজন্মের হাতে উদ্যোক্তার দরজা অনেক আগেই খুলে দিয়েছে। আজ যারা স্কুলে পড়ছে, আগামী দিনে তারাই হয়তো বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারের নেতৃত্ব দেবে। বয়স কম হলেও তাদের ভাবনা ও উদ্যোগ যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই।

AI Startup Funding: Mega-Round Trends, Pitfalls & Exits Explained

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকিস্তানে সেনা শক্তির নতুন অধ্যায়, অসামরিক রাজনীতির সীমা কোথায়

কিশোর উদ্যোক্তার এআই বিপ্লব: স্কুলের বেঞ্চ থেকেই গড়ে উঠছে নতুন স্টার্টআপ জগৎ

০৪:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

সকালের স্কুলঘণ্টা শেষ হতেই শুরু হয় অন্য এক জগতের কাজ। পড়ার টেবিলের পাশেই বসে এআইভিত্তিক স্টার্টআপ গড়ার স্বপ্ন দেখছে একদল কিশোর। বয়স পনেরো কি ষোলো, কিন্তু ভাবনায় তারা ইতিমধ্যেই উদ্যোক্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন তাদের জন্য শুধু শেখার বিষয় নয়, বরং ব্যবসা তৈরির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে

এআই সহজ করেছে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও নিজেদের উদ্যোগে এআইভিত্তিক পণ্য ও সেবা তৈরি করছে। উন্নত মডেল ব্যবহার করে আর্থিক বিশ্লেষণ, কোড লেখা কিংবা ব্যবসায়িক পূর্বাভাস দিচ্ছে এসব প্ল্যাটফর্ম। আগে যেখানে বড় দল ও দীর্ঘ সময় লাগত, এখন সেখানে একজন কিশোরও এআইয়ের সহায়তায় কার্যকর পণ্য দাঁড় করাতে পারছে।

These Teenagers Are Already Running Their Own AI Companies - WSJ

স্কুলজীবন আর স্টার্টআপের সমান্তরাল যাত্রা

ওয়াশিংটনের এক পনেরো বছর বয়সী শিক্ষার্থী স্কুলের ক্লাসের ফাঁকেই তৈরি করেছে এআইভিত্তিক আর্থিক গবেষণা প্ল্যাটফর্ম। নিজে খুব বেশি কোড না লিখেও সে বিভিন্ন এআই মডেল ব্যবহার করে সফটওয়্যার চালাচ্ছে। বিনা মূল্যে ব্যবহারযোগ্য এই প্ল্যাটফর্ম ইতিমধ্যেই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী পেয়েছে, যা ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক রূপ নেওয়ার পথে এগোচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের নতুন নজর

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল জগতে এখন বয়স আর বড় বাধা নয়। বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এআই জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকেই তরুণ উদ্যোক্তাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। কেউ কেউ কিশোর বয়সী প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সরাসরি অর্থ বিনিয়োগে এখনই না গেলেও, তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নজরে রাখছেন। এই বয়সেই শেখার গতি ও সাহসী মানসিকতাকে বড় সম্পদ হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

These teenagers are already running their own AI companies

সাফল্যের পাশাপাশি চাপের বাস্তবতা

তবে সবাই মনে করছেন না যে এত অল্প বয়সে উদ্যোক্তার চাপ নেওয়া সহজ। অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীদের মতে, ধারণা জন্মানোর জন্য স্কুলজীবন ভালো সময় হলেও, দল গড়া ও ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য পরবর্তী ধাপগুলো গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ, ব্যর্থতা সামলানো এবং দীর্ঘমেয়াদি ধৈর্য—এসব বিষয় কিশোর বয়সে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ভবিষ্যতের ইঙ্গিত

সবকিছু মিলিয়ে স্পষ্ট হচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন প্রজন্মের হাতে উদ্যোক্তার দরজা অনেক আগেই খুলে দিয়েছে। আজ যারা স্কুলে পড়ছে, আগামী দিনে তারাই হয়তো বৈশ্বিক প্রযুক্তি বাজারের নেতৃত্ব দেবে। বয়স কম হলেও তাদের ভাবনা ও উদ্যোগ যে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই।

AI Startup Funding: Mega-Round Trends, Pitfalls & Exits Explained