অভিনয়জগতে সাফল্যের শিখরে ওঠার আগে চেহারা নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল মাধুরী দীক্ষিতকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁকে নাক ঠিক করার পরামর্শ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছিল। তবে সময়ই প্রমাণ করেছে, সেই তথাকথিত ত্রুটিই একদিন তাঁর স্বাতন্ত্র্যের শক্তি হয়ে উঠেছে।
ক্যারিয়ারের শুরুতে চেহারা নিয়ে চাপ
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সহঅভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন মাধুরী। সেই সময়ে নানা মহল থেকে তাঁর চেহারা নিয়ে মন্তব্য আসত বলে জানিয়েছেন তিনি। কখনও নাক, কখনও শরীরের গড়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন অনেকে। এসব কথা শুনে তিনি প্রায়ই মায়ের কাছে অভিযোগ করতেন। তখন মায়ের একটাই ভরসার কথা ছিল, একটি সফল ছবি এলেই মানুষ যেটা নিয়ে আজ সমালোচনা করছে, সেটাকেই ভালোবাসবে।

তেজাব আর রাতারাতি বদলে যাওয়া বাস্তবতা
মায়ের সেই বিশ্বাস তখন মানতে কষ্ট হলেও ‘তেজাব’ মুক্তির পর সবকিছু বদলে যায়। ছবির সাফল্যের সঙ্গে রাতারাতি তারকা হয়ে ওঠেন মাধুরী। এরপর আর কেউ তাঁকে রোগা হওয়া বা চেহারা বদলানোর কথা বলেনি। মানুষ তাঁকে যেমন ছিলেন, তেমনভাবেই গ্রহণ করে নেয়।
নতুনদের প্রতি মাধুরীর বার্তা
এই অভিজ্ঞতা থেকেই আজকের প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উদ্দেশে মাধুরীর স্পষ্ট পরামর্শ, নির্দিষ্ট কোনো ছাঁচে নিজেকে ঢোকানোর চেষ্টা না করা। নায়িকা মানেই এমন দেখতে হবে, এই ধারণা ভাঙার কথাই বলেন তিনি। কারও আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকলে সেটাকেই নিজের শক্তি হিসেবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন মাধুরী।
![]()
সাম্প্রতিক কাজেও ভিন্ন রূপ
সম্প্রতি ‘মিসেস দেশপাণ্ডে’ ওয়েব ধারাবাহিকে এক ভিন্নধর্মী চরিত্রে দেখা গেছে মাধুরীকে। এই সিরিজে তিনি এক ধারাবাহিক খুনির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়েও ভিন্ন ধরনের চরিত্রের সুযোগ পাওয়ায় পরিচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















