মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজার লেনদেন শুরু হয় ইতিবাচক ধারায়। তবে দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সেই উত্থান টেকেনি। বিপরীতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল।
ডিএসইতে সূচকের পতন
লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট কমে যায়। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট হ্রাস পায়। তবে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসথার্টি সামান্য ১ পয়েন্ট বেড়েছে।
বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে
ডিএসইতে দিনের লেনদেনে দরপতনের প্রভাবই ছিল বেশি। মোট ২৪২টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বিপরীতে ৮৪টি কোম্পানির দর বেড়েছে এবং ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে
সূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কিছুটা বেড়েছে। দিনভর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে প্রায় ৪০৭ কোটি টাকার, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৩৯৫ কোটি টাকা।
ডিএসইতে শীর্ষ লাভ ও ক্ষতি
দিনের লেনদেনে অ্যাপেক্স ফুডস লিমিটেড সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড ছিল সবচেয়ে বড় দরপতনের তালিকায়, যার শেয়ারদর প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে।
চট্টগ্রাম বাজারে ইতিবাচক ধারা
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এদিনও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সিএসইর সার্বিক সূচক কাসপি ১২ পয়েন্ট বেড়েছে।
চসেকে শেয়ারের অবস্থা
চট্টগ্রাম বাজারে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। একই সময়ে ৬৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এবং ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল।
চসের লেনদেন ও শীর্ষ শেয়ার
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে। এদিন শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকার, যেখানে আগের দিন লেনদেন ছিল ১৫ কোটি টাকা। লাভের শীর্ষে ছিল প্রাইম ব্যাংক প্রথম আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ড, যার দর ১০ শতাংশ বেড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে হামি ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির, যার শেয়ারদর ১০ শতাংশ কমেছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















