বড়দিন মানেই ছুটি আর বিশ্বাস স্থগিত রাখার সময়—এমন ধারণা থাকলেও উৎসবের মাঝেই লুকিয়ে আছে মজার বিজ্ঞান। মিষ্টি, টার্কি কিংবা গাছের ঝরে পড়া পাইন পাতাও হয়ে উঠতে পারে শেখার উপকরণ। ঘরে বসেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে করা যায় এমন কিছু সহজ পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে পারে।
উৎসবের মিষ্টিতে স্বাদের রহস্য
চোখ বন্ধ করে, নাক চেপে ধরে একটি জেলি মিষ্টি চিবালে বেশিরভাগ মানুষই শুধু মিষ্টি স্বাদটাই বুঝতে পারেন। কয়েক সেকেন্ড পর নাক ছেড়ে দিলেই হঠাৎ করে স্বাদের বিস্ফোরণ ঘটে এবং প্রকৃত গন্ধ ও স্বাদ ধরা পড়ে। এই অভিজ্ঞতা দেখায়, স্বাদের বড় অংশই আসলে ঘ্রাণের ওপর নির্ভরশীল। মুখে চিবোনোর সময় খাবারের গন্ধ নাকের ভেতরের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে, তখনই তৈরি হয় পূর্ণ স্বাদ।
টার্কির হাড়ে লুকোনো নড়াচড়ার বিজ্ঞান
বড়দিনের টার্কি খাওয়ার পর শুধু প্লেট ভরাই নয়, হাড়গুলোও হতে পারে শেখার বিষয়। ডানার সংযোগস্থল আর উইশ বোন দেখে বোঝা যায় কীভাবে পাখির ডানা ওপরে নিচে নড়ে এবং কীভাবে বিশেষ হাড় শক্তি সঞ্চয় করে। শিশুদের জন্য এটি শরীরবিদ্যার এক জীবন্ত পাঠ।

বরফ, লবণ আর আইসক্রিমের রসায়ন
শীতকালে রাস্তায় লবণ ছিটানোর কারণ বোঝাতে ঘরেই বানানো যায় আইসক্রিম। দুধ, ডিমের কুসুম আর চিনি মিশিয়ে তৈরি কাস্টার্ড একটি ব্যাগে ভরে আরেক ব্যাগে রাখা বরফ ও লবণের সঙ্গে মেশালে তাপমাত্রা দ্রুত নেমে যায়। কয়েক মুহূর্তেই তরল কাস্টার্ড জমে নরম আইসক্রিমে পরিণত হয়। লবণ বরফ গলিয়ে দেয়, কিন্তু আবার জমতে দেয় না—এই সহজ রসায়নেই তৈরি হয় উৎসবের মিষ্টি বিস্ময়।
পাইন পাতায় গণিতের খেলা
ক্রিসমাস ট্রির ঝরে পড়া পাইন পাতাও ফেলনা নয়। সমান দৈর্ঘ্যের কিছু পাইন পাতা কাগজে আঁকা রেখার ওপর ছড়িয়ে দিয়ে কতগুলো পাতা রেখা ছুঁয়েছে তা গুনলেই আনুমানিকভাবে পাইয়ের মান বের করা যায়। খেলাচ্ছলে গণিত শেখার এমন সুযোগ বড়দিনের আনন্দকে বাড়িয়ে দেয়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















