০৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোয় শিল্প স্থাপনায় আগুন ইন্দোনেশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক সমঝোতা চূড়ান্তের পথে, জানুয়ারিতে স্বাক্ষরের সম্ভাবনা শিকাগোতে সেনা মোতায়েন আটকাল সুপ্রিম কোর্ট, ট্রাম্প প্রশাসনের ক্ষমতা প্রশ্নের মুখে কুয়েত-চীনের চারশ কোটি ডলারের চুক্তিতে বদলে যাচ্ছে বন্দর ভবিষ্যৎ, জোরালো হবে বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বোমা আর বাস্তুচ্যুতির মাঝখানে গাজা, ফের ঘরছাড়া হওয়ার আতঙ্কে অবরুদ্ধ মানুষ উত্তর সীমান্তে আকাশজুড়ে আলোর স্তম্ভ বিস্ময়ে মুগ্ধ বাসিন্দারা, বিরল শীতের ইঙ্গিত বিশ্ব কূটনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রিয়াদ: সংঘাত নিরসনে সৌদি আরবের সংজ্ঞায়িত বছর ইয়েমেনে বন্দিবিনিময়ে বড় অগ্রগতি, দুই হাজার নয়শ’ জনের মুক্তিতে সমঝোতা অর্থনীতি টিকে থাকলেও জীবনের চাপে ক্লান্ত আমেরিকা, দুশ্চিন্তায় নতুন বছর

বিজ্ঞানেই প্রতিরোধ: আগ্রাসী প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন কৌশল

যুক্তরাজ্যে পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে এবার সামনে আসছে এক ভিন্নধর্মী বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ। আগ্রাসী বিদেশি উদ্ভিদ ও প্রাণীর দাপটে বিপন্ন দেশীয় জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে গবেষণাগারে জন্মানো বিশেষ প্রজাতিকে প্রকৃতিতে ছাড়ছে সরকারি বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য একটাই—প্রকৃতির ভেতর থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

আগ্রাসী প্রজাতির চাপে সংকট
ব্রিটেনে জাপানি নটউইড, হিমালয়ান বালসাম, সিগন্যাল ক্রে-ফিশ কিংবা ভাসমান পেনিওয়ার্টের মতো আগ্রাসী প্রজাতি নদী, জলাভূমি ও বনাঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীকে ঠেলে দিচ্ছে বিলুপ্তির দিকে। এই প্রজাতিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, বাড়াচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতিও।

বিজ্ঞানীদের নতুন অস্ত্র
এই সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের পোকা ব্যবহার করে ভাসমান পেনিওয়ার্টের বিস্তার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক বছর ধরে যেসব এলাকায় এই পোকা ছাড়া হয়েছে, সেখানে উদ্ভিদের ঘনত্ব কমতে দেখা গেছে। একইভাবে জাপানি নটউইড দমনে বিশেষ এক পোকা এবং হিমালয়ান বালসামের বিরুদ্ধে ছত্রাক পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Experts identify the 108 species with the highest risk of becoming invasive  in Spain

কেন এই পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জীবন্ত নিয়ন্ত্রক একবার কার্যকর হলে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মানুষের শ্রম ও খরচ কমে আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে আগ্রাসী প্রজাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নতুন ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় এই পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

দেশীয় প্রজাতি রক্ষার লড়াই
আগ্রাসী সিগন্যাল ক্রে-ফিশের কারণে ব্রিটেনের দেশীয় সাদা নখওয়ালা ক্রে-ফিশ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এদের বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ইয়র্কশায়ার ও ডেভনে বিশেষ হ্যাচারিতে এদের বংশবিস্তার করে নিরাপদ এলাকায় ছাড়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে শতাধিক ক্রে-ফিশকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও পরিবেশের দ্বৈত চাপ
সরকারি হিসাব অনুযায়ী আগ্রাসী বিদেশি প্রজাতির কারণে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বছরে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। তাই পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রজাতির বিস্তার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও নীতিনির্ধারণের সমন্বয়েই এই লক্ষ্য পূরণের আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন চিপ শুল্ক নীতি

বিজ্ঞানেই প্রতিরোধ: আগ্রাসী প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন কৌশল

১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাজ্যে পরিবেশ রক্ষার লড়াইয়ে এবার সামনে আসছে এক ভিন্নধর্মী বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ। আগ্রাসী বিদেশি উদ্ভিদ ও প্রাণীর দাপটে বিপন্ন দেশীয় জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে গবেষণাগারে জন্মানো বিশেষ প্রজাতিকে প্রকৃতিতে ছাড়ছে সরকারি বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য একটাই—প্রকৃতির ভেতর থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

আগ্রাসী প্রজাতির চাপে সংকট
ব্রিটেনে জাপানি নটউইড, হিমালয়ান বালসাম, সিগন্যাল ক্রে-ফিশ কিংবা ভাসমান পেনিওয়ার্টের মতো আগ্রাসী প্রজাতি নদী, জলাভূমি ও বনাঞ্চলে দেশীয় উদ্ভিদ ও প্রাণীকে ঠেলে দিচ্ছে বিলুপ্তির দিকে। এই প্রজাতিগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, বাড়াচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতিও।

বিজ্ঞানীদের নতুন অস্ত্র
এই সংকট মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করছেন জীববৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের পোকা ব্যবহার করে ভাসমান পেনিওয়ার্টের বিস্তার কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কয়েক বছর ধরে যেসব এলাকায় এই পোকা ছাড়া হয়েছে, সেখানে উদ্ভিদের ঘনত্ব কমতে দেখা গেছে। একইভাবে জাপানি নটউইড দমনে বিশেষ এক পোকা এবং হিমালয়ান বালসামের বিরুদ্ধে ছত্রাক পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Experts identify the 108 species with the highest risk of becoming invasive  in Spain

কেন এই পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জীবন্ত নিয়ন্ত্রক একবার কার্যকর হলে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে মানুষের শ্রম ও খরচ কমে আসে এবং দীর্ঘমেয়াদে আগ্রাসী প্রজাতির সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে নতুন ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় এই পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়েছে।

দেশীয় প্রজাতি রক্ষার লড়াই
আগ্রাসী সিগন্যাল ক্রে-ফিশের কারণে ব্রিটেনের দেশীয় সাদা নখওয়ালা ক্রে-ফিশ প্রায় বিলুপ্তির পথে। এদের বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ইয়র্কশায়ার ও ডেভনে বিশেষ হ্যাচারিতে এদের বংশবিস্তার করে নিরাপদ এলাকায় ছাড়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে শতাধিক ক্রে-ফিশকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও পরিবেশের দ্বৈত চাপ
সরকারি হিসাব অনুযায়ী আগ্রাসী বিদেশি প্রজাতির কারণে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বছরে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। তাই পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই প্রজাতির বিস্তার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও নীতিনির্ধারণের সমন্বয়েই এই লক্ষ্য পূরণের আশা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।