বড়দিনের আগের রাত মানেই শিশুদের উত্তেজনা, চোখে ঘুম নেই, মনে উপহারের অপেক্ষা। ঘরে ঘরে তখন বাবা-মায়েদের ব্যস্ততা, কেউ উপহার মোড়াচ্ছেন, কেউ সাজসজ্জায় ডুবে। ঠিক এই সময়ে শিশুদের ঘুম ঠিক রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস আর পরিকল্পনাতেই বড়দিনের আগের রাতটা শান্ত রাখা সম্ভব, বলছেন ঘুম বিশেষজ্ঞরা।
বড়দিনের আগের দিনের প্রস্তুতি কেন জরুরি
বিশেষজ্ঞদের মতে, বড়দিনের আগের দিন সকাল থেকেই পরিকল্পনা থাকা দরকার। সকালে শিশুদের বাইরে খেলাধুলার সুযোগ দিলে শরীর যেমন ক্লান্ত হয়, তেমনি রোদ পেলে শরীরের ঘুমের স্বাভাবিক ছন্দ ঠিক থাকে। এতে রাতে ঘুম আসতে সুবিধা হয়। বিকেলের পর ধীরে ধীরে উত্তেজনা কমানো জরুরি। নির্দিষ্ট ঘুমের সময় ঠিক করে সবাই মিলে তা মানার সিদ্ধান্ত নিলে শিশুরাও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে।
চিনি আর মিষ্টির ফাঁদে পা না দেওয়া ভালো
বড়দিন মানেই মিষ্টি আর নানান খাবার। কিন্তু রাত যত ঘনিয়ে আসে, ততই চিনি কমানো দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি শিশুদের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে এবং ঘুমের মান নষ্ট হয়। বিশেষ করে ঘুমানোর দুই ঘণ্টার মধ্যে ভারী বা মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। বাড়িতে অতিথি থাকলে তাদেরও বিষয়টি জানানো দরকার, যাতে অজান্তে শিশুদের হাতে অতিরিক্ত মিষ্টি না পৌঁছে যায়।
বড়দিনের আগের রাতের উপহার কৌশল
শিশুদের উত্তেজনা কমাতে বড়দিনের আগের রাতে একটি করে উপহার দেওয়া যেতে পারে। সঙ্গে সান্তার পক্ষ থেকে একটি ছোট চিঠি থাকলে শিশুদের কল্পনাজগৎ আরও আনন্দে ভরে ওঠে। সেই চিঠিতে ঘুমানোর অনুরোধ থাকলে অনেক শিশুই তাড়াতাড়ি বিছানায় যেতে রাজি হয়।
শেষ উপায় হিসেবে সান্তার কথা মনে করিয়ে দেওয়া
সব চেষ্টা ব্যর্থ হলে শেষ উপায় হিসেবে সান্তার কথাই কাজে আসে। শিশুদের জানানো যেতে পারে, তারা জেগে থাকলে সান্তা উপহার দিতে আসবেন না। একটু কড়া শোনালেও অনেক সময় এই কথাতেই কাজ হয়, আর শিশুরা ঘুমিয়ে পড়ে।
শান্ত ঘুমে ভর করুক বড়দিনের আনন্দ
শিশুরা ঘুমিয়ে পড়লে তখনই বাবা-মায়েদের আসল কাজ শুরু হয়। উপহার মোড়ানো, ঘর সাজানো আর বড়দিনের সকালের প্রস্তুতি। সবকিছু মিলিয়ে বড়দিনের আগের রাতটা যদি শান্ত থাকে, তবে পরদিনের আনন্দও হয় দ্বিগুণ।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















