মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলান নাগরিকদের এল সালভাদরের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে পাঠানো হয় , পরে ভেনেজুয়েলায় ফেরত আসা একদল ভেনেজুয়েলান নাগরিক এবার যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে নিজেদের বহিষ্কারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ চেয়েছেন। শুক্রবার কারাকাসে সংবাদমাধ্যমের সামনে তারা মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান।
আদালতের রায় ও প্রশাসনের বাধ্যবাধকতা
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ রায় দেন, ভেনেজুয়েলার শত শত নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়ে বহিষ্কার করা প্রক্রিয়াগত ন্যায্যতার লঙ্ঘন। রায়ে বলা হয়, বহিষ্কৃতদের যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে শুনানির অধিকার আছে এবং তাদের সে সুযোগ দিতে প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রায়ের আলোকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেরত আনার পরিকল্পনা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বন্দিদের বক্তব্য ও দাবি
সাবেক বন্দি ইস্কেইবেল পেনালোসা বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আইনি শুনানির সুযোগ নিশ্চিত করাই এখন মূল দাবি। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্র ও এল সালভাদর—দুই সরকারকেই আদালতের আদেশ পুরোপুরি মানতে হবে এবং ন্যায্য শুনানির পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন, যদিও কী ধরনের সহায়তা প্রয়োজন তা স্পষ্ট করেননি।
কীভাবে এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছিল
চলতি বছরের মার্চে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আঠারো শতকের এক যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করে ভেনেজুয়েলার কিছু নাগরিককে গ্যাং সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করে কোনো শুনানি বা স্বাভাবিক অভিবাসন প্রক্রিয়া ছাড়াই এল সালভাদরে পাঠায়। পরে আইনজীবী ও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, অভিযুক্ত অনেকের সঙ্গেই গ্যাং সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ ছিল না এবং অনেক সময় তাদের অবস্থান সম্পর্কেও পরিবারকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।
মানবাধিকার উদ্বেগ ও আইনি লড়াই
এই বহিষ্কার সিদ্ধান্ত ঘিরে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনা শুরু হয় এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই জোরদার হয়। ভেনেজুয়েলানদের দাবি, আদালতের রায় কার্যকর হলে শুধু তাদের নয়, ভবিষ্যতে এমন বহিষ্কারের ক্ষেত্রেও ন্যায়বিচারের পথ খুলবে।
#ভেনেজুয়েলা #যুক্তরাষ্ট্র #এলসালভাদর #বহিষ্কার #আদালতেররায় #মানবাধিকার #আইনিলড়াই
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















