ফ্রন্টলাইন চাপ ও দীর্ঘ-পাল্লার কৌশল
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক নেতৃত্ব রাশিয়ার অভ্যন্তরে আরও গভীরে ড্রোন হামলা সম্প্রসারণের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, দেশীয়ভাবে উৎপাদিত ড্রোনের সক্ষমতা দ্রুত বাড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়েছে। একই সময়ে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, রেল ও শিল্প অবকাঠামোতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে।
কিয়েভ দাবি করছে, এসব ড্রোন হামলার লক্ষ্য বেসামরিক এলাকা নয়, বরং সামরিক রসদ ও সরবরাহ কাঠামো। ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের মতে, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের জ্বালানি গুদাম, রসদ কেন্দ্র ও কমান্ড নোডগুলো যুদ্ধের বৈধ লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। প্রতিরোধমূলক বিমান প্রতিরক্ষার পাশাপাশি সরাসরি ব্যাঘাত সৃষ্টির কৌশল হিসেবে ড্রোনের ভূমিকা বাড়ছে।

কূটনৈতিক বার্তা ও মিত্রদের হিসাব
ইউক্রেনের এই অবস্থান পশ্চিমা মিত্রদের কাছেও স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে। বিদেশি অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কিয়েভ নিজস্বভাবে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। বিশ্লেষকদের মতে, এতে মিত্রদের আশ্বস্ত করা এবং একই সঙ্গে মস্কোকে কৌশলগত চাপ দেওয়ার চেষ্টা রয়েছে।
রাশিয়া ইতোমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পনগরীগুলোতে বিমান প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে এবং ইউক্রেনের ড্রোন হামলাকে ‘লাল সীমা অতিক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলা অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে এবং বিদ্যুৎ রেশনিং চালু করতে হচ্ছে।

মাঠপর্যায়ে শীত বড় ধরনের সেনা অগ্রযাত্রা ধীর করলেও আর্টিলারি ও ড্রোন যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আসন্ন মাসগুলোতে দূরপাল্লার ড্রোন হামলা যুদ্ধের একটি স্বাভাবিক কৌশল হয়ে উঠবে, যা সংঘাতের নতুন নিয়ম তৈরি করবে।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















