চট্টগ্রামে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আগে চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তার পরিবর্তে চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আসন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত
শনিবার বিকেলে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর আসন পরিবর্তন করা হয়েছে এবং তার আগের আসনে সাঈদ আল নোমানকে প্রার্থী করা হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম-৪ আসনে আসলাম চৌধুরীকেও দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের আসনভিত্তিক প্রার্থী চিত্র
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আগে ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিএনপি। তখন চট্টগ্রাম-১১ ও চট্টগ্রাম-১৪ আসন ফাঁকা ছিল। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চট্টগ্রাম-১১ আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ায় এখন কেবল চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি ফাঁকা রয়েছে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১১ আসনে আমির খসরুর ছেলে ইসরাফিল খসরু চৌধুরীও মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রার্থী পরিবর্তন ঘিরে আন্দোলন
প্রার্থী ঘোষণার পর চট্টগ্রামের সাতটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আন্দোলন, মশালমিছিল ও সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ আসন উল্লেখযোগ্য। সেখানে প্রথমে উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়।

নির্বাচনী প্রস্তুতি ও মনোনয়ন ফরম
চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও ৩৪টি থানা এলাকা নিয়ে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এর মধ্যে নগরে চারটি, উত্তরে সাতটি এবং দক্ষিণে পাঁচটি আসন। ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়। প্রার্থী হওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামে মোট ১৫০টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর চিত্র
বিএনপির মোট ৫৩ জন নেতা দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ১৩ জন প্রার্থীও ফরম নিয়েছেন। ফলে প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের বাইরে রয়েছেন। কোনো কোনো আসনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি সর্বোচ্চ আটজন বিএনপি নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















