০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকচক্রের ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা মিয়ানমারে সেনাবাহিনী সমর্থিত দলের অভূতপূর্ব অগ্রগতি গ্রামীণ শ্রমের অধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজায় রক্তপাত, অক্টোবরের পর প্রাণ গেল চার শতাধিক ফিলিস্তিনির ভারত থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হলো তাইওয়ানের কাছে মহড়ার দ্বিতীয় দিনে চীনের রকেট উৎক্ষেপণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিএনএফ প্রেসিডেন্ট এস এম আবুল কালাম আজাদের গভীর শোক মার্কিন শীতঝড়ে আকাশপথে অচলাবস্থা, বাতিল ও বিলম্বে ষোলো হাজারের বেশি ফ্লাইট নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, আহত অ্যান্থনি জোশুয়া, নিহত ঘনিষ্ঠ দুই সতীর্থ সাংস্কৃতিক জাগরণে নতুন অধ্যায়: দুই হাজার পঁচিশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বমুখী অর্জন

গ্রামীণ শ্রমের অধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক

নয়াদিল্লি। মহাত্মা গান্ধীর নামে প্রণীত গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, এই পরিবর্তন কেবল একটি প্রকল্প সংশোধনের বিষয় নয়, বরং গরিবের অধিকার, যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো ও গান্ধীয় আদর্শের ওপর সরাসরি আঘাত।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গরিবের জন্য তৈরি একটি অধিকারভিত্তিক প্রকল্প ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ধনীদের জন্য অঢেল অর্থ থাকলেও শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য ন্যূনতম অংশ দিতে সরকারের সাহস নেই। এতে স্পষ্ট, শাসকরা ধনীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে, গরিবের পাশে নয়।

খাড়গে আরও বলেন, প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম সরানোর উদ্যোগ জাতির জনকের প্রতি চরম অবমাননা। তাঁর ভাষায়, সোনিয়া গান্ধী ও ড. মনমোহন সিং এই কর্মসূচিকে আইনি অধিকারে রূপ দিয়েছিলেন। এখন নাম বদলের আড়ালে গান্ধীর আদর্শকেই মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।

বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এই প্রকল্প কেবল কাজের সুযোগ নয়, এটি বিশ্বস্বীকৃত একটি উন্নয়ন মডেল, যেখানে অধিকার ও বিকেন্দ্রীকরণ একসঙ্গে কাজ করে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যগুলোর অর্থ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, গ্রামীণ পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে এবং শ্রমজীবী মানুষের নিশ্চিত মজুরি ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

রাহুল গান্ধীর মতে, এই পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আদিবাসী, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু ও দরিদ্র পরিবারগুলো। তাঁর অভিযোগ, গরিবের পকেট থেকে টাকা কেড়ে পছন্দের ধনীদের হাতে তুলে দেওয়াই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য। তিনি একে গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তর অর্থাৎ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ওপর আঘাত বলেও উল্লেখ করেন।

কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই ইস্যুতে রাজপথে নেমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং বিরোধী দলগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভেনেজুয়েলার উপকূলে মাদকচক্রের ঘাঁটিতে মার্কিন হামলা

গ্রামীণ শ্রমের অধিকার রক্ষায় কংগ্রেসের দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক

০৬:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

নয়াদিল্লি। মহাত্মা গান্ধীর নামে প্রণীত গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রস্তাবিত পরিবর্তনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, এই পরিবর্তন কেবল একটি প্রকল্প সংশোধনের বিষয় নয়, বরং গরিবের অধিকার, যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো ও গান্ধীয় আদর্শের ওপর সরাসরি আঘাত।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গরিবের জন্য তৈরি একটি অধিকারভিত্তিক প্রকল্প ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ধনীদের জন্য অঢেল অর্থ থাকলেও শ্রমজীবী মানুষের প্রাপ্য ন্যূনতম অংশ দিতে সরকারের সাহস নেই। এতে স্পষ্ট, শাসকরা ধনীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে, গরিবের পাশে নয়।

খাড়গে আরও বলেন, প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম সরানোর উদ্যোগ জাতির জনকের প্রতি চরম অবমাননা। তাঁর ভাষায়, সোনিয়া গান্ধী ও ড. মনমোহন সিং এই কর্মসূচিকে আইনি অধিকারে রূপ দিয়েছিলেন। এখন নাম বদলের আড়ালে গান্ধীর আদর্শকেই মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।

বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, এই প্রকল্প কেবল কাজের সুযোগ নয়, এটি বিশ্বস্বীকৃত একটি উন্নয়ন মডেল, যেখানে অধিকার ও বিকেন্দ্রীকরণ একসঙ্গে কাজ করে। তিনি দাবি করেন, রাজ্যগুলোর অর্থ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, গ্রামীণ পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে এবং শ্রমজীবী মানুষের নিশ্চিত মজুরি ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

রাহুল গান্ধীর মতে, এই পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আদিবাসী, দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু ও দরিদ্র পরিবারগুলো। তাঁর অভিযোগ, গরিবের পকেট থেকে টাকা কেড়ে পছন্দের ধনীদের হাতে তুলে দেওয়াই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য। তিনি একে গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তর অর্থাৎ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ওপর আঘাত বলেও উল্লেখ করেন।

কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে, এই ইস্যুতে রাজপথে নেমে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং বিরোধী দলগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হবে। বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।